ঢাকা ০১:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

নোবেলজয়ীদের ছবি আঁকেন যিনি

  • আপডেট সময় : ১২:১৮:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০২২
  • ৮৪ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : অক্টোবর মাস এলেই বিশ্বে এক চাপা উত্তেজনা দেখা যায়। কে এবার পাচ্ছেন শান্তিতে নোবেল, কিংবা কোন দেশের সাহিত্যিকের ঝুলিতে যাচ্ছে এই পুরস্কার। তবে একটা ব্যাপার নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন, নোবেল বিজয়ীদের হাতে আঁকা ছবি প্রকাশ করা হয়। মুহূর্তেই বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে হাতে আঁকা এই ছবিগুলো। একেবারে হুবহু সেই মানুষটার একটি স্কেচ ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের সব জায়গায়। সব অলংকরণইগুলো একই রকম দেখতে হওয়ায় অনেকেই মনে করেন এগুলো কম্পিউটারে আঁকা। একেবারেই না, এক কারিগরের হাতেই আঁকা এই ছবিগুলো। জানেন কি, এই ছবিগুলোর কারিগর কে? অক্টোবর মাস এলেই বেড়ে যায় তার ব্যস্ততা। একজনই এখন পর্যন্ত এই ছবিগুলো এঁকেছেন। তিনি নিকোলাস এলমেহেদ। পেশায় একজন সুইডিশ ফ্রিল্যান্সার। ২০১২ সাল থেকে তিনি নোবেলজয়ীদের ছবি আঁকছেন।
নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে তাকে বিজয়ীদের ছবি পাঠানো হয়। সেগুলো চটজলদি এঁকে ফেলেন তিনি। প্রতিবার নোবেল ঘোষণার পর বিজয়ীদের আঁকা অবয়ব দেখি আমরা। তাকে নোবেলজয়ীর শিল্পীও বলা হয়। ২০১২ সালে নোবেল মিডিয়ায় যোগ দেন তিনি। সে বছরই প্রথম হাতে-আঁকা নোবেলজয়ীর ছবি প্রকাশিত হয়। সেবছর যাদের স্পষ্ট ছবি পাওয়া যাচ্ছিল না, তাদের ছবি আঁকার নির্দেশনা পেয়েছিলেন তিনি। দুই বছর পর নোবেল মিডিয়ার চাকরিটা ছেড়ে দেন নিকোলাস। তবে নোবেল মিডিয়া ছাড়ল না তাকে। প্রথম বছরেই ঠিক হয়ে যায় সব নোবেলজয়ীর ছবিই এক রকম হবে এখন থেকে। আর তাই গত ১০ বছর ধরে এই কাজ করে যাচ্ছেন নিকোলাস। ২০১৭-১৮ সালে নীল আর হলুদ রঙে এঁকেছিলেন নোবেলজয়ীদের। ২০১৭ সাল থেকে সাদা-কালো মাধ্যমের সঙ্গে ধাতব ফয়েল দিয়ে সোনালি রং এনেছেন তিনি। তবে যদি নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি না হয়ে প্রতিষ্ঠান নোবেল পায় তাহলে প্রতিষ্ঠানটির কাজকেই ফুটিয়ে তোলেন ছবিতে। যেমন দুই বছর আগে শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন ‘ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম’। মুঠোয় ভরা শস্যের লোগো আঁকেন নিকোলাস। নোবেল জয়ীদের ছবি সামনে এলেও পেছনেই রয়ে গেছেন প্রতিভাবান শিল্পী নিকোলাস। খুব একটা মিডিয়ার সামনে আসেন না তিনি। আড়ালেই থাকতে পছন্দ করেন। তিনি তিন সন্তানের বাবা। সন্তানদের সময় দিতেই বেশি পছন্দ করেন। এছাড়াও জিমন্যাস্টিকস, ফুটবল, বাস্কেটবলসহ বিভিন্ন খেলাধুলার সঙ্গে জড়িত। সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে তিনি খুব বেশি ভাবেন না। সূত্র: এনডিটিভি

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শেখ হাসিনার পক্ষে মামলা লড়তে জেড আই খান পান্নার আবেদন

নোবেলজয়ীদের ছবি আঁকেন যিনি

আপডেট সময় : ১২:১৮:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অক্টোবর ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : অক্টোবর মাস এলেই বিশ্বে এক চাপা উত্তেজনা দেখা যায়। কে এবার পাচ্ছেন শান্তিতে নোবেল, কিংবা কোন দেশের সাহিত্যিকের ঝুলিতে যাচ্ছে এই পুরস্কার। তবে একটা ব্যাপার নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন, নোবেল বিজয়ীদের হাতে আঁকা ছবি প্রকাশ করা হয়। মুহূর্তেই বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে হাতে আঁকা এই ছবিগুলো। একেবারে হুবহু সেই মানুষটার একটি স্কেচ ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের সব জায়গায়। সব অলংকরণইগুলো একই রকম দেখতে হওয়ায় অনেকেই মনে করেন এগুলো কম্পিউটারে আঁকা। একেবারেই না, এক কারিগরের হাতেই আঁকা এই ছবিগুলো। জানেন কি, এই ছবিগুলোর কারিগর কে? অক্টোবর মাস এলেই বেড়ে যায় তার ব্যস্ততা। একজনই এখন পর্যন্ত এই ছবিগুলো এঁকেছেন। তিনি নিকোলাস এলমেহেদ। পেশায় একজন সুইডিশ ফ্রিল্যান্সার। ২০১২ সাল থেকে তিনি নোবেলজয়ীদের ছবি আঁকছেন।
নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে তাকে বিজয়ীদের ছবি পাঠানো হয়। সেগুলো চটজলদি এঁকে ফেলেন তিনি। প্রতিবার নোবেল ঘোষণার পর বিজয়ীদের আঁকা অবয়ব দেখি আমরা। তাকে নোবেলজয়ীর শিল্পীও বলা হয়। ২০১২ সালে নোবেল মিডিয়ায় যোগ দেন তিনি। সে বছরই প্রথম হাতে-আঁকা নোবেলজয়ীর ছবি প্রকাশিত হয়। সেবছর যাদের স্পষ্ট ছবি পাওয়া যাচ্ছিল না, তাদের ছবি আঁকার নির্দেশনা পেয়েছিলেন তিনি। দুই বছর পর নোবেল মিডিয়ার চাকরিটা ছেড়ে দেন নিকোলাস। তবে নোবেল মিডিয়া ছাড়ল না তাকে। প্রথম বছরেই ঠিক হয়ে যায় সব নোবেলজয়ীর ছবিই এক রকম হবে এখন থেকে। আর তাই গত ১০ বছর ধরে এই কাজ করে যাচ্ছেন নিকোলাস। ২০১৭-১৮ সালে নীল আর হলুদ রঙে এঁকেছিলেন নোবেলজয়ীদের। ২০১৭ সাল থেকে সাদা-কালো মাধ্যমের সঙ্গে ধাতব ফয়েল দিয়ে সোনালি রং এনেছেন তিনি। তবে যদি নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি না হয়ে প্রতিষ্ঠান নোবেল পায় তাহলে প্রতিষ্ঠানটির কাজকেই ফুটিয়ে তোলেন ছবিতে। যেমন দুই বছর আগে শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন ‘ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম’। মুঠোয় ভরা শস্যের লোগো আঁকেন নিকোলাস। নোবেল জয়ীদের ছবি সামনে এলেও পেছনেই রয়ে গেছেন প্রতিভাবান শিল্পী নিকোলাস। খুব একটা মিডিয়ার সামনে আসেন না তিনি। আড়ালেই থাকতে পছন্দ করেন। তিনি তিন সন্তানের বাবা। সন্তানদের সময় দিতেই বেশি পছন্দ করেন। এছাড়াও জিমন্যাস্টিকস, ফুটবল, বাস্কেটবলসহ বিভিন্ন খেলাধুলার সঙ্গে জড়িত। সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে তিনি খুব বেশি ভাবেন না। সূত্র: এনডিটিভি