ঢাকা ০৭:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫

নেপালে বন্যায় ১৬ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ২২

  • আপডেট সময় : ১০:৪৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুন ২০২১
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নেপালে ভারী বৃষ্টি থেকে সৃষ্ট বন্যা ও ভুমিধ্বসে এক সপ্তাহে নেপালে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জন বিদেশি নাগরিকও রয়েছেন। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন ২২ জন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জনকরাজ দহল বলেন, আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। বিভিন্ন অবকাঠামো ও স্থাপনার ক্ষতির রিপোর্ট আমরা পেয়েছি। তবে সরকার এই মুহূর্তে অনুসন্ধান, উদ্ধার, এবং ত্রাণসামগ্রী সরবরাহের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে।
মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, সিন্ধুপালচক ও মানাং সবচাইতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা। পাশাপাশি পালপা, জুমলা, দাইলেখ, বাজুরা, বাঝাং অঞ্চলও বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নেপালে প্রতি বছর ১০০ জনেরও বেশি মানুষ বন্যা ও ভূমিধ্বসে প্রাণ হারান।
দেশজুড়ে ভারী বর্ষণে ইতিমধ্যেই নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে সরে যাবার জন্য সতর্কতা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। শুক্রবার (১৮ জুন) দোলাখা অঞ্চলের প্রশাসন প্রেস রিলিজে জানায়, রংজিয়া অঞ্চলে ভারী বর্ষণ হতে সৃষ্ট ভূমিধ্বসের কারণে নেপাল-চীন সিমান্তের তামাকোশি নদীর পানিপথ বন্ধ হয়ে গেছে। যেকোনো মুহূর্তে ভারী বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষকে বন্যা সম্পর্কে সতর্ক করে নিরাপদ স্থানে সরে গিয়ে উচু স্থানে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। এর আগে আবহাওয়াবিদরা সতর্ক করে জানিয়েছিলো যে ২০২১ সালে নেপাল এবং দক্ষিণ এশিয়ান দেশগুলোতে স্বাভাবিকের তুলনায় বৃষ্টির পরিমান বেশি হতে পারে। নেপালের আবহাওয়াবিদদের মতে, বৃষ্টি জুনের ১ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে এবং ধারণা করা হচ্ছে এটি প্রায় ৩ মাস স্থায়ী হতে পারে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নেপালে বন্যায় ১৬ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ২২

আপডেট সময় : ১০:৪৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ জুন ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নেপালে ভারী বৃষ্টি থেকে সৃষ্ট বন্যা ও ভুমিধ্বসে এক সপ্তাহে নেপালে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জন বিদেশি নাগরিকও রয়েছেন। এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন ২২ জন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জনকরাজ দহল বলেন, আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। বিভিন্ন অবকাঠামো ও স্থাপনার ক্ষতির রিপোর্ট আমরা পেয়েছি। তবে সরকার এই মুহূর্তে অনুসন্ধান, উদ্ধার, এবং ত্রাণসামগ্রী সরবরাহের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে।
মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, সিন্ধুপালচক ও মানাং সবচাইতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা। পাশাপাশি পালপা, জুমলা, দাইলেখ, বাজুরা, বাঝাং অঞ্চলও বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নেপালে প্রতি বছর ১০০ জনেরও বেশি মানুষ বন্যা ও ভূমিধ্বসে প্রাণ হারান।
দেশজুড়ে ভারী বর্ষণে ইতিমধ্যেই নাগরিকদের নিরাপদ স্থানে সরে যাবার জন্য সতর্কতা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন। শুক্রবার (১৮ জুন) দোলাখা অঞ্চলের প্রশাসন প্রেস রিলিজে জানায়, রংজিয়া অঞ্চলে ভারী বর্ষণ হতে সৃষ্ট ভূমিধ্বসের কারণে নেপাল-চীন সিমান্তের তামাকোশি নদীর পানিপথ বন্ধ হয়ে গেছে। যেকোনো মুহূর্তে ভারী বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষকে বন্যা সম্পর্কে সতর্ক করে নিরাপদ স্থানে সরে গিয়ে উচু স্থানে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। এর আগে আবহাওয়াবিদরা সতর্ক করে জানিয়েছিলো যে ২০২১ সালে নেপাল এবং দক্ষিণ এশিয়ান দেশগুলোতে স্বাভাবিকের তুলনায় বৃষ্টির পরিমান বেশি হতে পারে। নেপালের আবহাওয়াবিদদের মতে, বৃষ্টি জুনের ১ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে এবং ধারণা করা হচ্ছে এটি প্রায় ৩ মাস স্থায়ী হতে পারে।