ঢাকা ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নেপালে জেন-জি বিক্ষোভে নিহত বেড়ে ১৯

  • আপডেট সময় : ০৮:৫৮:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ২৭ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

প্রত্যাশা ডেস্ক: নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে তরুণদের বিক্ষোভে পুলিশের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ জন। তাদের মধ্যে ১৭ জনের প্রাণ গেছে দেশটির রাজধানী কাঠমান্ডুতে।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) কাঠমান্ডু ভ্যালি পুলিশ কার্যালয়ের মুখপাত্র শেখর খানালের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সমাবেশ চলাকালীন কাঠমান্ডুর বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হন। পূর্বাঞ্চলীয় শহর ইতাহারিতেও দুজন নিহত হয়েছেন।

‘জেন জি’ পরিচিত তরুণ ও শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ সমাবেশের সময় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে দেশটির বিভিন্ন শহরে স্থানীয় প্রশাসন কারফিউ জারি করেছে।

আজ বিকেল থেকে কাঠমান্ডু, পোখরা, বুটওয়াল, ভৈরহাওয়া এবং ইতাহারীসহ অন্যান্য এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। কারফিউ ঘোষণার পরও কাঠমান্ডুর নিউ বানেশ্বরে ফেডারেল পার্লামেন্ট ভবনের সামনে বিক্ষোভ থামেনি।

ভ্যালি পুলিশের মুখপাত্র খানাল বলেন, কিছু এলাকায় এখনও বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ থামেনি। কাঠমান্ডুর তিনটি হাসপাতালে এখনও একশ জনেরও বেশি আহত চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আরও ৪৫ জন চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।

সেখানকার জাতীয় ট্রমা সেন্টারে মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। হাসপাতালটির প্রধান সুপারিনটেন্ডেন্ট ডা. বদরি রিজাল জানান, চিকিৎসাধীন আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

নিউ বানেশ্বরের কাছে সিভিল সার্ভিস হাসপাতালে কিছু মরদেহ রাখা হয়েছে, যেগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে।

হাসপাতালের পরিচালক দীপক পাউডেল বলেন, হাসপাতালে আনা বেশিরভাগ আহতের শরীরে গুলি লেগেছে।

বেশ কিছু মরদেহ নতুন বানেশ্বরের এভারেস্ট হাসপাতালেও রাখা হয়েছে। হাসপাতাল প্রশাসনের সহকারী প্রধান অনিল অধিকারী বলেন, বিপুল সংখ্যক আহত ব্যক্তিকে আনার পর তাদের অন্যান্য হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

একইভাবে, সিনামঙ্গলের কেএমসি টিচিং হাসপাতালে একজন আহত ব্যক্তি মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের প্রশাসনিক প্রধান নারায়ণ দাহাল।

ক্রমেই আহতদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় সিভিল হাসপাতাল আহতদের কয়েকজনকে অন্যান্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

পুলিশ জানায়, আহতদের বেশিরভাগকে সিভিল সার্ভিস (সিভিল) হাসপাতাল এবং বীর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহত বেশ কয়েকজনকে সিনামঙ্গলের কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ টিচিং হাসপাতালেও নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ওআ/আপ্র/০৮/০৯/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নেপালে জেন-জি বিক্ষোভে নিহত বেড়ে ১৯

আপডেট সময় : ০৮:৫৮:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্রত্যাশা ডেস্ক: নেপালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে তরুণদের বিক্ষোভে পুলিশের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ জন। তাদের মধ্যে ১৭ জনের প্রাণ গেছে দেশটির রাজধানী কাঠমান্ডুতে।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) কাঠমান্ডু ভ্যালি পুলিশ কার্যালয়ের মুখপাত্র শেখর খানালের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সমাবেশ চলাকালীন কাঠমান্ডুর বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হন। পূর্বাঞ্চলীয় শহর ইতাহারিতেও দুজন নিহত হয়েছেন।

‘জেন জি’ পরিচিত তরুণ ও শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ সমাবেশের সময় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে দেশটির বিভিন্ন শহরে স্থানীয় প্রশাসন কারফিউ জারি করেছে।

আজ বিকেল থেকে কাঠমান্ডু, পোখরা, বুটওয়াল, ভৈরহাওয়া এবং ইতাহারীসহ অন্যান্য এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। কারফিউ ঘোষণার পরও কাঠমান্ডুর নিউ বানেশ্বরে ফেডারেল পার্লামেন্ট ভবনের সামনে বিক্ষোভ থামেনি।

ভ্যালি পুলিশের মুখপাত্র খানাল বলেন, কিছু এলাকায় এখনও বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ থামেনি। কাঠমান্ডুর তিনটি হাসপাতালে এখনও একশ জনেরও বেশি আহত চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আরও ৪৫ জন চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।

সেখানকার জাতীয় ট্রমা সেন্টারে মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। হাসপাতালটির প্রধান সুপারিনটেন্ডেন্ট ডা. বদরি রিজাল জানান, চিকিৎসাধীন আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

নিউ বানেশ্বরের কাছে সিভিল সার্ভিস হাসপাতালে কিছু মরদেহ রাখা হয়েছে, যেগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে।

হাসপাতালের পরিচালক দীপক পাউডেল বলেন, হাসপাতালে আনা বেশিরভাগ আহতের শরীরে গুলি লেগেছে।

বেশ কিছু মরদেহ নতুন বানেশ্বরের এভারেস্ট হাসপাতালেও রাখা হয়েছে। হাসপাতাল প্রশাসনের সহকারী প্রধান অনিল অধিকারী বলেন, বিপুল সংখ্যক আহত ব্যক্তিকে আনার পর তাদের অন্যান্য হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

একইভাবে, সিনামঙ্গলের কেএমসি টিচিং হাসপাতালে একজন আহত ব্যক্তি মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের প্রশাসনিক প্রধান নারায়ণ দাহাল।

ক্রমেই আহতদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় সিভিল হাসপাতাল আহতদের কয়েকজনকে অন্যান্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

পুলিশ জানায়, আহতদের বেশিরভাগকে সিভিল সার্ভিস (সিভিল) হাসপাতাল এবং বীর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহত বেশ কয়েকজনকে সিনামঙ্গলের কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ টিচিং হাসপাতালেও নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ওআ/আপ্র/০৮/০৯/২০২৫