বিনোদন ডেস্ক: দেশের উৎসবে প্রশংসা কুড়িয়ে এবার নেপাল আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জায়গা করে নিয়েছে নির্মাতা বিপ্লব সরকারের সিনেমা ‘আগন্তুক’। দেশটিতে এবার বসছে উৎসবের অষ্টম আসর। যা চলবে মার্চের ২০ তারিখ থেকে থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত। বিপ্লব সরকার জানিয়েছেন, নেপাল চলচ্চিত্র উৎসবের ‘ওয়ার্ল্ড প্যানারোমা’ বিভাগে জায়গা করে নিয়েছে সিনেমাটি। উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে এই নির্মাতা বলেন, “ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবেও ‘আগন্তুক’ বেশ প্রশংসিত হয়েছে এবং প্রদর্শনীটি হাউসফুল ছিল। এখানকার দর্শকরা যে ভিন্নধর্মী ন্যারেটিভের সিনেমা দেখতে আগ্রহী তা বোঝা যাচ্ছে। “সিনেমা এবার নেপাল উৎসবে যাচ্ছে, এর আগেও দুটি উৎসবে ঘুরে এসেছে আগুন্তক।
সামনে গোয়াহাটি এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও দেখাবে সিনেমাটি। সব মিলিয়ে অনুভূতি দারুণ।” ‘আগন্তুক’ সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন মঞ্চ নাটকের দাপুটে অভিনেত্রী ফেরদৌসী মজুমদার। সিনেমাটি নিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “আগন্তুক অত্যন্ত সাহসী একটি প্রযোজনা। খুবই সময়োপযোগী গল্প এই চলচ্চিত্রে তুলে ধরা হয়েছে।” বিভিন্ন চরিত্রে আরও অভিনয় করেছেন সাহানা রহমান সুমি, রতন দেব, মাহমুদ আলম, এহান, রাফসান, হৃদয়, হাসিমুন, নাঈমা তাসনিমসহ আরো কয়েকজন। ‘আগন্তুক’ বিপ্লব সরকারের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র; যেটি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে সরকারি অনুদান পেয়েছিল। পাশাপাশি সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন রম্য রহিম চৌধুরী, তাজুল হক এবং বিপ্লব সরকার। পরিচালনার পাশাপাশি সিনেমাটির গল্প ও চিত্রনাট্যও লিখেছেন নির্মাতা নিজেই। সিনেমার গল্প আবর্তিত হয়েছে কাজল নামের ১০ বছর বয়সী এক শিশুকে ঘিরে। মা ও অসুস্থ দাদীকে নিয়ে কাজলের সংসার।
কাজলের বাবা দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর একদিন আগন্তুকের মত পরিবারে ফিরে আসে। এই পরিবারটির টানাপোড়েন আর দ্বন্দ্বের গল্প সিনেমায় তুলে ধরেছেন পরিচালক বিপ্লব। ২০২২ সালের মার্চ এপ্রিলে নাটোরের লালপুরে, মানিকগঞ্জ ও নবাবগঞ্জে আগুন্তকের দৃশ্যধারণ করা হয়েছে। সিনেমার চিত্রগ্রহণে ছিলেন মাজাহারুল রাজু, শিল্প নির্দেশনায় ছিলেন শিল্পী ওয়াকিলুর রহমান ও সাদ্দাম খন্দকার জয়, সাউন্ড ডিজাইন করেন সুকান্ত মজুমদার এবং সম্পাদনায় শঙ্খজিত বিশ্বাস ও বিপ্লব সরকার। নেপালের চলচ্চিত্র উৎসবে দেশের আরো দুইটি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা নির্বাচিত হয়েছে। সেগুলো হল ‘দ্য টেস্ট অব হানি’ এবং ‘আ স্নেইল উইদাউট শেল’।
‘আ স্নেইল উইদাউট শেল’ সিনেমাটি দেখা যাচ্ছে ‘শর্টস ইন্টারন্যাশনাল’ বিভাগে। মোহিন রাখাইন পরিচালিত এই সিনেমায় উঠে এসেছে গারো সম্প্রদায়ের জীবনভিত্তিক গল্প। এটি গারোদের আচিক ভাষায় নির্মিত সিনেমা। ১৫ মিনিট দৈর্ঘ্যের এই গল্পে অভিনয় করেছেন গারো সম্প্রদায়ের মানুষ। এটি প্রযোজনা করেছেন অভিনেতা মনোজ প্রামাণিক। ‘দ্য টেস্ট অব হানি’ সিনেমাটি নির্বাচিত হয়েছে ডকুস বিভাগে। মোহাম্মদ রাকিবুল হাসান ও ফাবিহা মনিরের পরিচালনায় স্বল্পদৈর্ঘ্য এই সিনেমার গল্পে উঠে এসেছে সুন্দরবনের মৌয়ালদের মধু সংগ্রহের সংগ্রামী গল্প।