ক্রীড়া ডেস্ক : ঐতিহাসিক মারাকানা আবারও শোকের সাগরে ভাসাল ব্রাজিলকে। ১৯৫০ বিশ্বকাপে ফাইনালে পরিণত হওয়া শেষ ম্যাচে উরুগুয়ের কাছে হেরেছিল তারা। রবিবার ভোরে একই ভেন্যুতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার কাছে হারল কোপার ফাইনাল। এত কাছে গিয়েও তাই নেইমার, থিয়াগো সিলভাদের জেতা হলো না কোপার শিরোপা। এ জন্য হতাশ কোচ তিতে। আর্জেন্টিনার নেতিবাচক ফুটবলের সমালোচনা করেছেন তিনি। তবে হারের জন্য দায় দিচ্ছেন নিজেদেরই। ব্রাজিল কোচ বলেন, ‘নেতিবাচক ফুটবল হয়েছে। খেলায় কোনো ছন্দ ছিল না। তবে আর্জেন্টিনাকে বাহবা দিতেই হবে। গোলরক্ষক থেকে শুরু করে রক্ষণের চারজন—সবাই অসাধারণ ছিল ওদের। ম্যাচ যতই নেতিবাচক হোক না কেন, সেটা বলে আমাদের ব্যর্থতা আড়াল করার সুযোগ নেই। আমরা পারিনি, এটাই আসল কথা। খেলাটাকে এত বেশিবার থামানো হয়েছে! পুরো সময়টাই দেখা গেল ফাউল আদায়ের জন্য ডাইভিং। সেই ফাউলের জন্য ওরা সময় নিয়েছে অনন্তকাল। রেফারি খেলাটাকে চালু রাখতে পারেননি। কৌশলই ছিল গতি নষ্ট করা।’ ব্রাজিলের মাঠগুলো এমনিতেই ছিল নি¤œমানের। এই অভিযোগ করে একবার জরিমানা গুনেছেন তিতে। এর পরও ফাইনাল শেষে মাঠ আর কনমেবল কর্তাদের একহাতে নিলেন ব্রাজিলিয়ান কোচ। তিনি বলেন, ‘এই টুর্নামেন্ট যারা এত তাড়াতাড়ি আয়োজন করেছে, তাদের কিছু জবাবদিহি করতে হবে। মাঠের মান খুবই খারাপ ছিল। এ জন্য আর একটু হলে এভারতনকে হারাতাম। খারাপ মাঠের কারণে ও আঙুলে চোট পেয়েছে। কনমেবলের সভাপতি আলেহান্দ্রোর কথা বলছি, যিনি অল্প সময়ে এই টুর্নামেন্টটা আয়োজন করেছেন।’