ঢাকা ০১:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপ নতুন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

  • আপডেট সময় : ০৬:৫১:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

বিদেশের খবর ডেস্ক: ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে আলাপ করেছেন নতুন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। সে সময় ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা উল্লেখ করেন তিনি। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথগ্রহণের দুদিন পর বুধবার নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন রুবিও।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন অব্যাহত রাখবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এ বিষয়টিকে তিনি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবেন বলে নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলাপকালে নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুচ বলেছেন, হামাস ও হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রুবিও। তিনি এর পাশাপাশি গাজায় বন্দী থাকা বাকি সব জিম্মিকে মুক্ত করতে নিরলসভাবে সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এদিকে মেক্সিকো সীমান্তে দেড় হাজার সৈন্য মোতায়েনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে অবৈধ অভিবাসন মোকাবিলার অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

হোয়াইট হাউস বুধবার (২২ জানুয়ারি) এই আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, এই সৈন্যদের মধ্যে ৫০০ জন থাকবেন মেরিন সদস্য।
ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচনী প্রচারণার প্রধান বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল সীমান্ত নিরাপত্তা। দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই তিনি নির্বাহী আদেশে সই করে মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন।

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে বলা হয়, আমেরিকার সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে। অনিয়মিত অভিবাসনের কারণে দেশে বিশৃঙ্খলা ও ভোগান্তি বেড়েছে। আদেশে সীমান্তে সশস্ত্র বাহিনীর মোতায়েন এবং ড্রোন ব্যবহারসহ অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, এই পদক্ষেপ ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন। জনগণ দীর্ঘদিন ধরে এই মুহূর্তের অপেক্ষায় ছিল।

অন্যদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধ বন্ধ না হলে রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা, বাড়তি কর এবং শুল্ক আরোপ করা হবে।
ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশালে বলেন, ভ্লাদিমির এই যুদ্ধ বন্ধ করতেই হবে। তা না হলে আমি ব্যবস্থা নেবো। এখনই মীমাংসা করুন। এই হাস্যকর যুদ্ধ বন্ধ করুন। না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথমবার পুতিনের বিরুদ্ধে সরাসরি কথা বলেছেন ট্রাম্প। তিনি আরও বলেন, আপনি যদি চুক্তি না করেন, তাহলে রাশিয়া এবং যুদ্ধে অংশ নেওয়া অন্য দেশগুলোর বিরুদ্ধে চড়া কর, শুল্ক এবং নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি প্রেসিডেন্ট থাকলে এই যুদ্ধ শুরুই হতো না। এখন এটি বন্ধ করা প্রয়োজন। আমরা সহজ বা কঠিন পথ নিতে পারি। তবে সহজ পথই সেরা। তাই চুক্তি করার জন্য এটি উপযুক্ত সময়।

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আর্থিক খাতের ‘ডাকাতি’ খতিয়ে দেখতে প্রতিনিধি পাঠানোর আহ্বান :ড. ইউনূস

নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপ নতুন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

আপডেট সময় : ০৬:৫১:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

বিদেশের খবর ডেস্ক: ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে আলাপ করেছেন নতুন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। সে সময় ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন অব্যাহত রাখার কথা উল্লেখ করেন তিনি। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথগ্রহণের দুদিন পর বুধবার নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন রুবিও।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন অব্যাহত রাখবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এ বিষয়টিকে তিনি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবেন বলে নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলাপকালে নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুচ বলেছেন, হামাস ও হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সাফল্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রুবিও। তিনি এর পাশাপাশি গাজায় বন্দী থাকা বাকি সব জিম্মিকে মুক্ত করতে নিরলসভাবে সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এদিকে মেক্সিকো সীমান্তে দেড় হাজার সৈন্য মোতায়েনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে অবৈধ অভিবাসন মোকাবিলার অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

হোয়াইট হাউস বুধবার (২২ জানুয়ারি) এই আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, এই সৈন্যদের মধ্যে ৫০০ জন থাকবেন মেরিন সদস্য।
ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচনী প্রচারণার প্রধান বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল সীমান্ত নিরাপত্তা। দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই তিনি নির্বাহী আদেশে সই করে মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন।

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে বলা হয়, আমেরিকার সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে। অনিয়মিত অভিবাসনের কারণে দেশে বিশৃঙ্খলা ও ভোগান্তি বেড়েছে। আদেশে সীমান্তে সশস্ত্র বাহিনীর মোতায়েন এবং ড্রোন ব্যবহারসহ অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, এই পদক্ষেপ ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন। জনগণ দীর্ঘদিন ধরে এই মুহূর্তের অপেক্ষায় ছিল।

অন্যদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধ বন্ধ না হলে রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা, বাড়তি কর এবং শুল্ক আরোপ করা হবে।
ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশালে বলেন, ভ্লাদিমির এই যুদ্ধ বন্ধ করতেই হবে। তা না হলে আমি ব্যবস্থা নেবো। এখনই মীমাংসা করুন। এই হাস্যকর যুদ্ধ বন্ধ করুন। না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথমবার পুতিনের বিরুদ্ধে সরাসরি কথা বলেছেন ট্রাম্প। তিনি আরও বলেন, আপনি যদি চুক্তি না করেন, তাহলে রাশিয়া এবং যুদ্ধে অংশ নেওয়া অন্য দেশগুলোর বিরুদ্ধে চড়া কর, শুল্ক এবং নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি প্রেসিডেন্ট থাকলে এই যুদ্ধ শুরুই হতো না। এখন এটি বন্ধ করা প্রয়োজন। আমরা সহজ বা কঠিন পথ নিতে পারি। তবে সহজ পথই সেরা। তাই চুক্তি করার জন্য এটি উপযুক্ত সময়।