ঢাকা ১০:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

নেটফ্লিক্সের পর এবার টিকটকও বন্ধ রাশিয়াতে

  • আপডেট সময় : ১০:২৫:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ মার্চ ২০২২
  • ৬৭ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসনের পর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আসছে রাশিয়ার উপর। এতে নতুন যোগ হলো ‘ভিডিও শেয়ারিং’ অ্যাপ টিকটকে’র নাম। নতুন করে ঘোষণা দিয়েছে নেটফ্লিক্সও।
রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বিষয়ে ‘গুজব প্রচার’ নিয়ে নতুন কঠোর আইন পাশ হওয়ার পর দেশটিতে লাইভ স্ট্রিমিং ও নতুন ভিডিও কনটেন্ট আটকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে টিকটক।
“রাশিয়াতে নতুন ‘গুজব আইন’ কার্যকরের পর আমাদের লাইভ স্ট্রিমিং ও নতুন ভিডিও কন্টেন্ট স্থগিত করতে বাধ্য হচ্ছি এবং বিষয়টি আমরা পর্যাবেক্ষণ করছি। কিন্তু আমাদের অ্যাপ মেসেজিং সেবা অব্যাহত থাকবে।”- এক টুইটে বলেছে টিকটক।

চীনা মালিকানাধীন ‘ভিডিও শেয়ারিং’ প্রতিষ্ঠানটির বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০০ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে। কিন্তু ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসন প্রশ্নে ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং টুইটারের মতো সরব না হওয়ায় সমালোচনা সহ্য করতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটিকে।
শেষ পর্যন্ত, ইউক্রেইনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনকে ‘বিধ্বংসী’ এবং ‘জনগনের জন্য বেদনাদায়ক’– বলে রোববার নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
রাশিয়ার সেনাবাহিনী নিয়ে কেউ অপপ্রচার করলে বা লিখলে নতুন আইনে পনেরো বছর পর্যন্ত কারাদ-ের বিধান রয়েছে। শুক্রবার থেকেই আইনটি কার্যকর করার কথা জানিয়েছে বিবিসি।
বর্তমানে দেশটিতে প্রায় সাড়ে তিন কোটির উপর টিকটক ব্যবহারকারী আছে। এই ব্যবহারকারী এবং দেশটিতে নিজেদের কর্মীদের সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ইউক্রেনের উপর সামরিক আগ্রাসনের প্রতিবাদে নেটফ্লিক্স আগেই তাদের কার্যক্রম রাশিয়াতে বন্ধ করেছে। ভিসা, মাস্টারকার্ড এবং শীর্ষ দুই নিরীক্ষণ প্রতিষ্ঠান কেপিএমজি ও প্রাইসওয়াটারহাউসকুপার্স এ নিষেধাজ্ঞা দাতার তালিকায় নতুন যোগ হয়েছে বলে উঠে এসেছে বিবিসির প্রতিবেদনে।
“টিকটক সাধারণত ‘কোনো দেশে ব্যবহারকারীর সংখ্যা’ প্রকাশ করে না, কিন্তু আমরা জানি, রাশিয়া তাদের প্রধান অঞ্চলগুলোর একটি।”- বিশ্লেষণে লিখেছেন বিবিসির সাইবার রিপোর্টার জো টিডি। রাশিয়ায় এই নিষেধাজ্ঞা সেখানকার প্রায় সাড়ে তিন কোটির উপর টিকটক ব্যবহারকারীকে কেবল দর্শক হিসেবে অন্যদের কন্টেন্ট দেখাবে। কারণ, সঙ্কটের সময় সামাজিক মাধ্যম পর্যাবেক্ষণ করা যথেষ্টই কঠিন। এর মধ্যে নতুন এ কঠোর আইনের চাপে সামাজিক মাধ্যমগুলো আরও সমস্যায় পড়বে।
“অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এমন সিদ্ধান্ত নিলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।” – লিখেছে বিবিসি।
ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসনের পর নেটফ্লিক্স রাশিয়াতে তাদের সব ধরনের ভবিষ্যত প্রকল্প সাময়িকভাবে বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় গত সপ্তাহে। স্ট্রিমিং সেবাটি ২০১৬ সালে রাশিয়ায় তাদের যাত্রা শুরু করে। সেখানে মাত্র ১০ লাখ ব্যবহারকারি থাকলেও বৈশ্বিকভাবে ২২ কোটির উপর মানুষ নেটফ্লিক্স ব্যবহার করছেন। রাশিয়ার ‘ন্যাশনাল মিডিয়া গ্রুপ’-এর সঙ্গে যৌথভাবে চারটি প্রকল্পে কাজ শুরু করার কথা ছিল নেটফ্লিক্সের। এর মধ্যে ‘জ্যাটো’ নামের একটি ক্রাইম থ্রিলার সিরিজের শুটিং মাঝপথেই স্থগিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। “সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে রাশিয়াতে আমাদের সব কার্যক্রম বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”– রোববার বলেছেন প্রতিষ্ঠানটির একজন মুখপাত্র।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নেটফ্লিক্সের পর এবার টিকটকও বন্ধ রাশিয়াতে

আপডেট সময় : ১০:২৫:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ মার্চ ২০২২

প্রযুক্তি ডেস্ক : ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসনের পর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আসছে রাশিয়ার উপর। এতে নতুন যোগ হলো ‘ভিডিও শেয়ারিং’ অ্যাপ টিকটকে’র নাম। নতুন করে ঘোষণা দিয়েছে নেটফ্লিক্সও।
রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বিষয়ে ‘গুজব প্রচার’ নিয়ে নতুন কঠোর আইন পাশ হওয়ার পর দেশটিতে লাইভ স্ট্রিমিং ও নতুন ভিডিও কনটেন্ট আটকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে টিকটক।
“রাশিয়াতে নতুন ‘গুজব আইন’ কার্যকরের পর আমাদের লাইভ স্ট্রিমিং ও নতুন ভিডিও কন্টেন্ট স্থগিত করতে বাধ্য হচ্ছি এবং বিষয়টি আমরা পর্যাবেক্ষণ করছি। কিন্তু আমাদের অ্যাপ মেসেজিং সেবা অব্যাহত থাকবে।”- এক টুইটে বলেছে টিকটক।

চীনা মালিকানাধীন ‘ভিডিও শেয়ারিং’ প্রতিষ্ঠানটির বিশ্বব্যাপী প্রায় ১০০ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে। কিন্তু ইউক্রেইনে রাশিয়ার আগ্রাসন প্রশ্নে ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং টুইটারের মতো সরব না হওয়ায় সমালোচনা সহ্য করতে হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটিকে।
শেষ পর্যন্ত, ইউক্রেইনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনকে ‘বিধ্বংসী’ এবং ‘জনগনের জন্য বেদনাদায়ক’– বলে রোববার নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
রাশিয়ার সেনাবাহিনী নিয়ে কেউ অপপ্রচার করলে বা লিখলে নতুন আইনে পনেরো বছর পর্যন্ত কারাদ-ের বিধান রয়েছে। শুক্রবার থেকেই আইনটি কার্যকর করার কথা জানিয়েছে বিবিসি।
বর্তমানে দেশটিতে প্রায় সাড়ে তিন কোটির উপর টিকটক ব্যবহারকারী আছে। এই ব্যবহারকারী এবং দেশটিতে নিজেদের কর্মীদের সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
ইউক্রেনের উপর সামরিক আগ্রাসনের প্রতিবাদে নেটফ্লিক্স আগেই তাদের কার্যক্রম রাশিয়াতে বন্ধ করেছে। ভিসা, মাস্টারকার্ড এবং শীর্ষ দুই নিরীক্ষণ প্রতিষ্ঠান কেপিএমজি ও প্রাইসওয়াটারহাউসকুপার্স এ নিষেধাজ্ঞা দাতার তালিকায় নতুন যোগ হয়েছে বলে উঠে এসেছে বিবিসির প্রতিবেদনে।
“টিকটক সাধারণত ‘কোনো দেশে ব্যবহারকারীর সংখ্যা’ প্রকাশ করে না, কিন্তু আমরা জানি, রাশিয়া তাদের প্রধান অঞ্চলগুলোর একটি।”- বিশ্লেষণে লিখেছেন বিবিসির সাইবার রিপোর্টার জো টিডি। রাশিয়ায় এই নিষেধাজ্ঞা সেখানকার প্রায় সাড়ে তিন কোটির উপর টিকটক ব্যবহারকারীকে কেবল দর্শক হিসেবে অন্যদের কন্টেন্ট দেখাবে। কারণ, সঙ্কটের সময় সামাজিক মাধ্যম পর্যাবেক্ষণ করা যথেষ্টই কঠিন। এর মধ্যে নতুন এ কঠোর আইনের চাপে সামাজিক মাধ্যমগুলো আরও সমস্যায় পড়বে।
“অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এমন সিদ্ধান্ত নিলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।” – লিখেছে বিবিসি।
ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসনের পর নেটফ্লিক্স রাশিয়াতে তাদের সব ধরনের ভবিষ্যত প্রকল্প সাময়িকভাবে বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় গত সপ্তাহে। স্ট্রিমিং সেবাটি ২০১৬ সালে রাশিয়ায় তাদের যাত্রা শুরু করে। সেখানে মাত্র ১০ লাখ ব্যবহারকারি থাকলেও বৈশ্বিকভাবে ২২ কোটির উপর মানুষ নেটফ্লিক্স ব্যবহার করছেন। রাশিয়ার ‘ন্যাশনাল মিডিয়া গ্রুপ’-এর সঙ্গে যৌথভাবে চারটি প্রকল্পে কাজ শুরু করার কথা ছিল নেটফ্লিক্সের। এর মধ্যে ‘জ্যাটো’ নামের একটি ক্রাইম থ্রিলার সিরিজের শুটিং মাঝপথেই স্থগিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি। “সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে রাশিয়াতে আমাদের সব কার্যক্রম বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”– রোববার বলেছেন প্রতিষ্ঠানটির একজন মুখপাত্র।