ক্রীড়া ডেস্ক : প্রথম তিন ম্যাচে ১৭ গোল করা পিএসজি এবার আর গোল উৎসবে মাততে পারল না। বরং মোনাকোর বিপক্ষে শুরুর দিকে পিছিয়ে পড়া দলটির সামনে একটা পর্যায়ে চোখ রাঙাচ্ছিল পরাজয়। শেষ পর্যন্ত নেইমারের গোলে পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারে ক্রিস্তফ গালতিয়ের দল। প্যারিসে পিএসজির মাঠে রোববার রাতে লিগ ওয়ানের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। দুর্ভাগ্য বাধ না সাধলে স্বাগতিকরা জিততেও পারত। তাদের তিনটি প্রচেষ্টা পোস্টে লাগে। এবারের লিগ ওয়ানে প্রথমবার পয়েন্ট হারাল পিএসজি। গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা প্রথম তিন ম্যাচেই জিতেছিল গোল উৎসব করে। শুরু থেকে পিএসজিকে চেপে ধরে মোনাকো। সাফল্য মেলে ১৯তম মিনিটে। মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের পাস ধরে বক্সে ঢুকে পড়েন কেভিন ভলান্ড। সঙ্গে লেগে থাকা ডিফেন্ডার প্রেসনেল কিম্পেম্বের বাধা এড়িয়ে বাঁ পায়ের শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ৩০ বছর বয়সী জার্মান ফরোয়ার্ড। প্রথমার্ধে পিএসজি উল্লেখযোগ্য সুযোগই তৈরি করতে পারছিল না। যোগ করা সময়ে সমতায় ফিরতে পারত তারা। বক্সের বাইরে থেকে লিওনেল মেসির শট পোস্টে লাগে। ফিরতি বলে কিলিয়ান এমবাপের শট বাধা পায় অপর পোস্টে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আরেকটি সুযোগ পান এমবাপে। ফরাসি ফরোয়ার্ডের প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। ৫৮তম মিনিটে কাছ থেকে নেইমারের শটও ঠেকান তিনি। ৭১তম মিনিটে সফল স্পট কিকে সমতা টানেন নেইমার। ব্রাজিলিয়ান তারকা নিজেই ফাউলের শিকার হলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। আসরে চার ম্যাচে নেইমারের গোল হলো ৬টি। তিন মিনিট পর বক্সের বাইরে থেকে আশরাফ হাকিমির জোরাল শট পোস্টের বাইরের দিকে লাগে। ৮৩তম মিনিটে দলকে এগিয়ে নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ হারান এমবাপে। ওয়ান-অন-ওয়ানে তার শট ঝাঁপিয়ে বুক দিয়ে ঠেকিয়ে দেন মোনাকোর গোলরক্ষক। নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট বাকি থাকতে মেসিকে তুলে পাবলো সারাবিয়াকে নামান পিএসজি কোচ। তবে আর কোনো উল্লেখযোগ্য সুযোগ তৈরি করতে পারেনি তারা। ৪ ম্যাচে তিন জয় ও এক ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে পিএসজি। তাদের সমান পয়েন্ট নিয়ে পরের দুটি স্থানে আছে মার্সেই ও লঁস। এক জয় ও দুই ড্রয়ে ৫ পয়েন্ট নিয়ে ১২ নম্বরে আছে সবশেষ ২০১৬-১৭ আসরে শিরোপা জেতা মোনাকো।
নেইমারের গোলে পিএসজির রক্ষা
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ