স্পোর্টস ডেস্ক: মাঠের ফুটবলে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল যে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী, সেটা বোঝা যায় ফুটবল বিশ্বকাপ ও কোপা আমেরিকার সময়। এ দুই মেজর টুর্নামেন্টে উপমহাদেশের ফুটবলপ্রেমীরা ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা দুই দলে বিভক্ত হয়ে যান। তবে মাঠের ফুটবল যতই উত্তাপ ছড়াক, দুই দলের ফুটবলারদের এক ক্লাবে বছরের পর বছর খেলার উদাহরণও রয়েছে অনেক।
নেইমারের কথাই ধরা যাক। বার্সেলোনা, প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)—ইউরোপের এ দুই ক্লাবে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি লিওনেল মেসির সঙ্গে খেলেছেন নেইমার। এ ছাড়া ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ও আনহেল দি মারিয়া পিএসজিতে সাত বছর খেলেছেন একসঙ্গে। আর আর্জেন্টিনার জার্সিতে একসঙ্গে অনেক মুহূর্তের সাক্ষী মেসি-দি মারিয়ার সম্পর্ক কতটা ভালো, সেটা আর নতুন করে না বললেও চলছে। কিন্তু ঘরোয়া ক্লাব রোজারিও সেন্ট্রালে সতীর্থ হিসেবে কাকে চান দি মারিয়া? এই প্রশ্নের উত্তরে ৩৭ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন উল্লেখ করেননি মেসির নাম। নেইমারকে রোজারিওতে কেন চান, সেই ব্যাখ্যায় দি মারিয়া বলেন, ‘নেইমারের সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠতা একটা কারণ। তাকে অনেক ভালোবাসি আমি। আমাদের সম্পর্কটাও ভালো। এখনো তার (নেইমার) সঙ্গে কথাবার্তা হয়। সে আর্জেন্টাইন ফুটবলকে কী পরিমাণ পছন্দ করে, সেটা আমার জানা। সেন্ট্রাল-নিওয়েল’স ম্যাচে থাকতে চাইত (নেইমার)।’
রোজারিও সেন্ট্রালে ক্লাব ক্যারিয়ার শুরু করা দি মারিয়া এরপর প্রায় দুই দশক ইউরোপে কাটিয়েছেন। রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, পিএসজিতে খেলার পর শৈশবের ক্লাব রোজারিও সেন্ট্রালে এ বছরের মে মাসে ফিরেছেন তিনি। দি মারিয়া ফিরলেও ক্যারিয়ারের পড়ন্তবেলায় মেসির শৈশবের ক্লাব নিওয়েলসে ফেরার সম্ভাবনা কম। হয়তোবা একারণেই মেসির নাম উল্লেখ করেননি দি মারিয়া। নেইমারকে আর্জেন্টাইন লিগে পেতে যেন দি মারিয়ার তর সইছে না। ৩৭ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন বলেন, ‘আমি তাকে (নেইমার) এখানে (আর্জেন্টিনা) দেখতে চাইছি। ভবিষ্যতে তাঁকে দাওয়াতও দেব আমি। সেটা হবে বিশেষ কিছু।’
শুধু বোকা জুনিয়র্স-রিভার প্লেট ম্যাচের পাশাপাশি রোজারিও সেন্ট্রাল-নিওয়েল’স ওল্ড বয়েজ দ্বৈরথও আর্জেন্টাইন ফুটবলে অনেক পুরোনো। ১২০ বছরের পুরোনো রোজারিও-নিওয়েল’স দ্বৈরথে এ সপ্তাহের রোববার আর্জেন্টিনার প্রিমেরা ডিভিশনে ১-০ গোলে জিতেছে রোজারিও সেন্ট্রাল। শৈশবের ক্লাব রোজারিওতে ফিরে এই ম্যাচে ফ্রিকিক থেকে চোখধাঁধানো গোল করেন দি মারিয়া। ২০২৪ কোপা আমেরিকা জয়ের পর আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলেছেন।
আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় না বললেও মেসি, নেইমার চোটের সঙ্গে লড়ছেন নিয়মিত। চোটের কারণে আল হিলালে ২০২৩ সালের আগস্টে নেইমার দুই বছরের চুক্তিতে গেলেও এ বছরের শুরুতে ক্লাবটি তাঁর সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে। তিনি ফিরে যান শৈশবের ক্লাব সান্তোসে। এখানেও নানা কারণে সব ম্যাচ খেলতে পারছেন না ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। এমনকি তাঁর জায়গা হয়নি ব্রাজিলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দলেও। সেপ্টেম্বরে চিলি ও বলিভিয়ার বিপক্ষে খেলবে ব্রাজিল।
ওআ/আপ্র/২৮/০৮/২০২৫