রাজবাড়ী সংবাদদাতা: রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নূরাল পাগলার দরবারে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন মামলার বাদী নূরাল পাগলার শ্যালিকা শিরিন বেগম।
সোমবার দুপুরে তিনি রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ আমলী আদালতে এ মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন বলে জানান বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. শরিফুল ইসলাম। আদালত আবেদন গ্রহণ করে আগামী ২২ ডিসেম্বর শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
শরিফুল ইসলাম বলেন, “নূরাল পাগলার দরবারে হামলার ঘটনায় গত ১৩ নভেম্বর ৯৬ জনের নাম উল্লেখ এবং ৪০০ থেকে ৫০০ জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন শিরিন বেগম। আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামজিদ হোসেন অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেন।
পরে মামলার বাদী শিরিন বেগম ও মামলার আসামিদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছানোর সিদ্ধান্ত হয়। ফলে তিনি মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, গত ২৩ অগাস্ট গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে ‘নুরাল পাগলা’ মারা যাওয়ার পর মাটি থেকে কিছুটা উপরে কবর তৈরি করে তাকে দাফন করা হয়। কবরটিতে কাবা শরিফের আদল দেওয়া হয়। এ নিয়ে শুরু হয় উত্তেজনা। এরপর থেকে কবর নিচু করার দাবি করে আসছিল আলেম সমাজ।
৫ সেপ্টেম্বর গোয়ালন্দ বাজারে বিক্ষোভ শেষে নূরাল পাগলার দরবারে হামলার ঘটনায় তার লাশ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে ফেলা হয়। এতে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন এবং গুরুতর আহত ভক্ত রাসেল মোল্লার মৃত্যু হয়।
পরে ওই রাতেই পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরে অভিযোগে তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ওই থানার এসআই মো. সেলিম।
পরে ৮ সেপ্টেম্বর নুরাল পাগলার বাড়ি ও দরবারে হামলা, অগ্নিসংযোগ, চুরি, জখম, হত্যা ও কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে পোড়ানোর অভিযোগে অজ্ঞাত পরিচয় সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার জনকে আসামি করে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন দরবারের ভক্ত নিহত রাসেলের বাবা আজাদ মোল্লা।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, নুরাল পাগলের দরবারে হামলার দিন পুলিশের ওপর হামলা মামলায় এখন পর্যন্ত ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর দরবারের নিহত ভক্ত রাসেলের বাবা আজাদ মোল্লার মামলায় পুলিশ এখন পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে।
বাকি আসামিদের গ্রেফতার অব্যহত রয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
এসি/আপ্র/২৫/১১/২০২৫





















