ঢাকা ০৪:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

নূপুরকে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত : ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

  • আপডেট সময় : ০৯:৩২:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ জুলাই ২০২২
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে

প্রত্যাশা ডেস্ক : ইসলাম ধর্মের প্রবর্তককে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করে সাবেক বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মা উত্তেজনা উসকে দিয়েছেন এবং সেজন্য তার ‘পুরো দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া’ উচিত বলে মন্তব্য করেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
রাজস্থানের উদয়পুরে এক হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে হত্যাসহ ভারতে এখন যা হচ্ছে তার জন্য শর্মাকে এককভাবে দায়ী করেছে আদালত। মুসলমানদের মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তির জেরে উদয়পুরে এক হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে দুই মুসলিম ব্যক্তি হত্যা করলে পুরো রাজ্যে ধর্মীয় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খুনিরা এ হত্যাকা-ের একটি ভিডিও অনলাইনে আপলোড করে। এরপর আরেকটি ভিডিওতে তারা এ হত্যাকা- নিয়ে গর্ব প্রকাশ করে এবং ভারী ছুরি প্রদর্শন করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হুমকি দেয়। পরে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নিজের কৃতকর্মের জন্য নূপুর শর্মার দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মনে করে আদালত। সুপ্রিম কোর্টের বিচারক সূর্য কান্ত বলেন, “কীভাবে বিতর্ক উসকে দেওয়া হয়েছে তা আমরা দেখেছি। কিন্তু সে যা বলেছে, এমনকি একজন আইনজীবী হিসেবেও তা খুবই বেমানান। পুরো দেশের কাছে তার ক্ষমা চাওয়া উচিত।”
নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল এফআইআর দিল্লিতে স্থানান্তরের একটি আবেদনের প্রতিক্রিয়া জানাতে সুপ্রিম কোর্ট এসব মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি। সূর্য কান্ত আরও বলেন, “সে হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে নাকি সে নিজেই নিরাপত্তা সংকট তৈরি করেছে? যেভাবে সে পুরো দেশের আবেগকে আলোড়িত করেছে। দেশে যা হচ্ছে তার জন্য সে একা দায়ী।”
এদিকে নূপুর শর্মা হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন জানিয়ে তার আইনজীবী বলেন, একটি টেলিভিশন বিতর্কে উপস্থাপকের প্রশ্নের জবাব দিতেই শর্মা এমন কথা বলেছিলেন। এ সময় আদালত ওই উপস্থাপকের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেন। নূপুর শর্মার আইনজীবী যুক্তি দিয়েছিলেন যে, এ ক্ষেত্রে নাগরিকদের কথা বলার অধিকার ক্ষুণ্ন হবে। বিচারক তখন কৌতুকের সুরে বলে, “গণতন্ত্রে প্রত্যেকের কথা বলার অধিকার আছে। ঘাস জন্মানোর অধিকার আছে এবং গাধার খাওয়ার অধিকার আছে। “তাকে সাংবাদিকের পদে বসানো যাবে না। তিনি টিভি বিতর্কে গিয়ে কটূক্তি করেন এবং সমাজ কাঠামোতে এর প্রভাব এবং পরিণতির কথা চিন্তা না করে দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য দেন।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নূপুরকে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত : ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

আপডেট সময় : ০৯:৩২:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ জুলাই ২০২২

প্রত্যাশা ডেস্ক : ইসলাম ধর্মের প্রবর্তককে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করে সাবেক বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মা উত্তেজনা উসকে দিয়েছেন এবং সেজন্য তার ‘পুরো দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া’ উচিত বলে মন্তব্য করেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
রাজস্থানের উদয়পুরে এক হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে হত্যাসহ ভারতে এখন যা হচ্ছে তার জন্য শর্মাকে এককভাবে দায়ী করেছে আদালত। মুসলমানদের মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তির জেরে উদয়পুরে এক হিন্দু ধর্মাবলম্বীকে দুই মুসলিম ব্যক্তি হত্যা করলে পুরো রাজ্যে ধর্মীয় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খুনিরা এ হত্যাকা-ের একটি ভিডিও অনলাইনে আপলোড করে। এরপর আরেকটি ভিডিওতে তারা এ হত্যাকা- নিয়ে গর্ব প্রকাশ করে এবং ভারী ছুরি প্রদর্শন করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হুমকি দেয়। পরে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নিজের কৃতকর্মের জন্য নূপুর শর্মার দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মনে করে আদালত। সুপ্রিম কোর্টের বিচারক সূর্য কান্ত বলেন, “কীভাবে বিতর্ক উসকে দেওয়া হয়েছে তা আমরা দেখেছি। কিন্তু সে যা বলেছে, এমনকি একজন আইনজীবী হিসেবেও তা খুবই বেমানান। পুরো দেশের কাছে তার ক্ষমা চাওয়া উচিত।”
নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে দায়ের করা সকল এফআইআর দিল্লিতে স্থানান্তরের একটি আবেদনের প্রতিক্রিয়া জানাতে সুপ্রিম কোর্ট এসব মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি। সূর্য কান্ত আরও বলেন, “সে হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে নাকি সে নিজেই নিরাপত্তা সংকট তৈরি করেছে? যেভাবে সে পুরো দেশের আবেগকে আলোড়িত করেছে। দেশে যা হচ্ছে তার জন্য সে একা দায়ী।”
এদিকে নূপুর শর্মা হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন জানিয়ে তার আইনজীবী বলেন, একটি টেলিভিশন বিতর্কে উপস্থাপকের প্রশ্নের জবাব দিতেই শর্মা এমন কথা বলেছিলেন। এ সময় আদালত ওই উপস্থাপকের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেন। নূপুর শর্মার আইনজীবী যুক্তি দিয়েছিলেন যে, এ ক্ষেত্রে নাগরিকদের কথা বলার অধিকার ক্ষুণ্ন হবে। বিচারক তখন কৌতুকের সুরে বলে, “গণতন্ত্রে প্রত্যেকের কথা বলার অধিকার আছে। ঘাস জন্মানোর অধিকার আছে এবং গাধার খাওয়ার অধিকার আছে। “তাকে সাংবাদিকের পদে বসানো যাবে না। তিনি টিভি বিতর্কে গিয়ে কটূক্তি করেন এবং সমাজ কাঠামোতে এর প্রভাব এবং পরিণতির কথা চিন্তা না করে দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য দেন।”