ঢাকা ০৭:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫

নুহাশের সিনেমায় সরকারি বরাদ্দ বাতিল!

  • আপডেট সময় : ০৫:০৮:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
  • ৪৫ বার পড়া হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক: বছর চারেক আগে ‘মুভিং বাংলাদেশ’ নামে নিজের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন নুহাশ হুমায়ূন। সে সিনেমার জন্য ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলো তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। সিনেমাটির চিত্রনাট্যের কাজ এখনও চলছে! এদিকে খোঁজ মিলেছে, বরাদ্দকৃত ৫০ লাখ টাকা বাতিল করা হয়েছে মন্ত্রণালয় থেকে। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘‘মন্ত্রণালয়ের ডিপিপিতে (ডিজিটাল প্রোডাকশন পার্টনারশিপ) ‘মুভিং বাংলাদেশ’ নামে সিনেমার জন্য ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। এই মুহূর্তে প্রকল্প থেকে এই সিনেমাটি নির্মাণের ইচ্ছা নাই। আর সিনেমা বানানো তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কাজও না। তাই আপাতত সিনেমায় বিনিয়োগের পদক্ষেপ থেকে সরে আসা হয়েছে।’’
ছবিটির প্রযোজকদের একজন আরিফুর রহমান। তিনি ঘটনাটির সত্যতা মেনে নিয়ে মনে করছেন, মন্ত্রণালয় সরে দাঁড়ালেও ছবিটির নির্মাণকাজে ব্যাঘাত ঘটবে না। তার ভাষায়, ‘‘একটা সিনেমা নিয়ে আমাদের তিন থেকে পাঁচ বছর সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। দীর্ঘ এই সময়ে প্রযোজকের কাজ ফান্ড সংগ্রহ করা। এরমধ্যে অনেক লগ্নিকারী আসছে–যাচ্ছে। আমরাও অনেক সময় লগ্নিকারী ফেরত দিই। দেরি হওয়ায় অনেকে অপেক্ষা করতে চায় না, ফেরত যায়। এখন ‘মুভিং বাংলাদেশ’ বানানোর জন্য যে ধরনের অর্থ দরকার, সেখানে ৫০ লাখ টাকা খুবই ছোট অ্যামাউন্ট। এটি সিনেমা নির্মাণে বাধা হবে না।’’ এদিকে নুহাশ এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমে বলেন, ‘‘আমার কাছে মনে হয়, গল্প ঠিকঠাক থাকলে চিন্তা নাই। আমার সব কাজেই আমি গল্প ও চিত্রনাট্যে বেশি সময় দিই। আমি তো শর্টফিল্ম, ওয়েবের কাজ করেছি কিন্তু এবারই প্রথম ফিচার ফিল্ম করছি। ‘মুভিং বাংলাদেশ’ সিনেমার জন্য দেশের বাইরে থেকে অনেক ফান্ডই আমরা পেয়েছি। কাজও এগিয়ে নিচ্ছি।’’ নুহাশ হুমায়ূনের ‘মুভিং বাংলাদেশ’ প্রথম আলোচনায় আসে তাইওয়ানের তাইপে ফিল্ম কমিশনের ৮৯ হাজার ৮০০ ডলারের তহবিল পেয়ে। এরপর ছবিটি টোকিও গ্রান্ট ফাইনান্সিং মার্কেট, কান উৎসবের মার্শে দ্যু ফিল্ম বাজার, লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসব ও ভারতের ফিল্ম বাজার থেকেও সহযোগিতা পায়। কিন্তু চার বছর আগের প্রজেক্ট, কবে কোথায় শুটিং হবে—জানতে চাইলে নুহাশ বলেন, ‘আগে সিনেমার চিত্রনাট্যের কাজ। সেটি সঠিকভাবে শেষ হলেই জ্বলে উঠবে লাইট, ক্যামেরা।’

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের হুঁশিয়ারি

নুহাশের সিনেমায় সরকারি বরাদ্দ বাতিল!

আপডেট সময় : ০৫:০৮:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

বিনোদন ডেস্ক: বছর চারেক আগে ‘মুভিং বাংলাদেশ’ নামে নিজের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন নুহাশ হুমায়ূন। সে সিনেমার জন্য ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলো তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। সিনেমাটির চিত্রনাট্যের কাজ এখনও চলছে! এদিকে খোঁজ মিলেছে, বরাদ্দকৃত ৫০ লাখ টাকা বাতিল করা হয়েছে মন্ত্রণালয় থেকে। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের অধীন সংস্থা বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘‘মন্ত্রণালয়ের ডিপিপিতে (ডিজিটাল প্রোডাকশন পার্টনারশিপ) ‘মুভিং বাংলাদেশ’ নামে সিনেমার জন্য ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। এই মুহূর্তে প্রকল্প থেকে এই সিনেমাটি নির্মাণের ইচ্ছা নাই। আর সিনেমা বানানো তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কাজও না। তাই আপাতত সিনেমায় বিনিয়োগের পদক্ষেপ থেকে সরে আসা হয়েছে।’’
ছবিটির প্রযোজকদের একজন আরিফুর রহমান। তিনি ঘটনাটির সত্যতা মেনে নিয়ে মনে করছেন, মন্ত্রণালয় সরে দাঁড়ালেও ছবিটির নির্মাণকাজে ব্যাঘাত ঘটবে না। তার ভাষায়, ‘‘একটা সিনেমা নিয়ে আমাদের তিন থেকে পাঁচ বছর সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। দীর্ঘ এই সময়ে প্রযোজকের কাজ ফান্ড সংগ্রহ করা। এরমধ্যে অনেক লগ্নিকারী আসছে–যাচ্ছে। আমরাও অনেক সময় লগ্নিকারী ফেরত দিই। দেরি হওয়ায় অনেকে অপেক্ষা করতে চায় না, ফেরত যায়। এখন ‘মুভিং বাংলাদেশ’ বানানোর জন্য যে ধরনের অর্থ দরকার, সেখানে ৫০ লাখ টাকা খুবই ছোট অ্যামাউন্ট। এটি সিনেমা নির্মাণে বাধা হবে না।’’ এদিকে নুহাশ এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমে বলেন, ‘‘আমার কাছে মনে হয়, গল্প ঠিকঠাক থাকলে চিন্তা নাই। আমার সব কাজেই আমি গল্প ও চিত্রনাট্যে বেশি সময় দিই। আমি তো শর্টফিল্ম, ওয়েবের কাজ করেছি কিন্তু এবারই প্রথম ফিচার ফিল্ম করছি। ‘মুভিং বাংলাদেশ’ সিনেমার জন্য দেশের বাইরে থেকে অনেক ফান্ডই আমরা পেয়েছি। কাজও এগিয়ে নিচ্ছি।’’ নুহাশ হুমায়ূনের ‘মুভিং বাংলাদেশ’ প্রথম আলোচনায় আসে তাইওয়ানের তাইপে ফিল্ম কমিশনের ৮৯ হাজার ৮০০ ডলারের তহবিল পেয়ে। এরপর ছবিটি টোকিও গ্রান্ট ফাইনান্সিং মার্কেট, কান উৎসবের মার্শে দ্যু ফিল্ম বাজার, লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসব ও ভারতের ফিল্ম বাজার থেকেও সহযোগিতা পায়। কিন্তু চার বছর আগের প্রজেক্ট, কবে কোথায় শুটিং হবে—জানতে চাইলে নুহাশ বলেন, ‘আগে সিনেমার চিত্রনাট্যের কাজ। সেটি সঠিকভাবে শেষ হলেই জ্বলে উঠবে লাইট, ক্যামেরা।’