ঢাকা ০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫

নীতিমালার কথা বলে দাতারা মাঝপথে ভাসিয়ে দিয়ে যায় : পরিকল্পনামন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০১:০৩:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • ৯৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : নীতিমালার কথা বলে ডোনাররা প্রকল্পের মাঝপথে চলে যায় বলে মন্তব্য করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, শুরুতে নানান নীতিমালার কথা বলে ডোনার সাহেবরা মাঝপথে ভাসিয়ে দিয়ে চলে যায়। কিন্তু বর্তমানে আমাদের অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘মাঝপথে ভাসিয়ে দিয়ে যদি ডোনার আমাদের থেকে বিদায় নেন, তাহলেও আমরা পারবো। আমাদের নিজস্ব সম্পদ দিয়ে চলতে পারবো।’
গতকাল রাজধানীর মিরপুরে আন্ডার প্রিভিলেজড চিলড্রেনস এডুকেশনাল (ইউসেপ) বাংলাদেশে ‘মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও ইউসেপের গৌরবময় অভিযাত্রা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে সক্ষমতা আছে, আমরা আর সহায়তা চাই না। তবে কেউ যদি সম্মানের সঙ্গে আমাদের পাবলিককে সালাম দিয়ে কাজ করতে চান, তাহলে করুক। ডোনাররা মাঝপথে নীতি পরিবর্তন করে ফেলে, এটা আর করতে দেওয়া যাবে না। নদীতে ভাসিয়ে দিয়ে চলে যাবে, সেই দিন আর আমাদের নেই। এগুলো আমাদের এড়িয়ে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ডোনাররা তাদের নীতিমালা পরিবর্তন করতেই পারে। তবে শেখ হাসিনা কখনও বলেন না যে উনার নীতিমালা পরিবর্তন করেছেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মানবিক। দেশের দায়িত্বগুলো শেষ বিচারে আমাদেরই বইতে হবে। এটাই আমাদের মূল কথা। আমাদের নিজস্ব সম্পদ আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। আমাদের লাখ লাখ মানুষ কাজ করছেন। কাজ করছেন বলেই সম্পদ বেড়েছে। বক্তৃতা দিয়ে কোনও সম্পদ সৃষ্টি হয় না। সম্পদ সৃষ্টি করতে হলে কাজ করতে হবে, লোহার ওপরে পেটাতে হবে, অথবা নৌকা বাইতে হবে, অথবা লাঙল বইতে হবে। লাখ লাখ মানুষ কাজ করছে বলেই সম্পদ সৃষ্টি হচ্ছে। এই সম্পদ আমাদের কাজে লাগাতে হবে। টেকনিক্যাল শিক্ষা কাজে লাগাতে হবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সুবিধাবঞ্চিত ও অবহেলিত মানুষের জন্য কাজ করছেন।’
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে শিক্ষার ঘাটতি আছে। এই শিক্ষা দিয়ে বাকি পথ পাড়ি দেওয়া যাবে না। দেশে সাক্ষরতার হারও সম্মানজনক না। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের প্রযুক্তিগত শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণ শুরু হয়ে গেছে। আমরা কৃষিপণ্য বিদেশে পাঠানোর জন্য কাজ করছি। মাছ, মাংস, ডিম ও দুধ বিদেশে পাঠাবো। কারণ, আমাদের দক্ষ জনশক্তি আছে।’
সভাপতির বক্তব্যে ইউসেপ বাংলাদেশের চেয়ারপারসন পারভীন মাহমুদ জানান, ইউসেপ বাংলাদেশ দীর্ঘ ৪৯ বছর যাবৎ বাংলাদেশে সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও যুবাদের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে ইউসেপ বাংলাদেশে কাজ করে যাচ্ছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নীতিমালার কথা বলে দাতারা মাঝপথে ভাসিয়ে দিয়ে যায় : পরিকল্পনামন্ত্রী

আপডেট সময় : ০১:০৩:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : নীতিমালার কথা বলে ডোনাররা প্রকল্পের মাঝপথে চলে যায় বলে মন্তব্য করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, শুরুতে নানান নীতিমালার কথা বলে ডোনার সাহেবরা মাঝপথে ভাসিয়ে দিয়ে চলে যায়। কিন্তু বর্তমানে আমাদের অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘মাঝপথে ভাসিয়ে দিয়ে যদি ডোনার আমাদের থেকে বিদায় নেন, তাহলেও আমরা পারবো। আমাদের নিজস্ব সম্পদ দিয়ে চলতে পারবো।’
গতকাল রাজধানীর মিরপুরে আন্ডার প্রিভিলেজড চিলড্রেনস এডুকেশনাল (ইউসেপ) বাংলাদেশে ‘মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও ইউসেপের গৌরবময় অভিযাত্রা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে সক্ষমতা আছে, আমরা আর সহায়তা চাই না। তবে কেউ যদি সম্মানের সঙ্গে আমাদের পাবলিককে সালাম দিয়ে কাজ করতে চান, তাহলে করুক। ডোনাররা মাঝপথে নীতি পরিবর্তন করে ফেলে, এটা আর করতে দেওয়া যাবে না। নদীতে ভাসিয়ে দিয়ে চলে যাবে, সেই দিন আর আমাদের নেই। এগুলো আমাদের এড়িয়ে যেতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ডোনাররা তাদের নীতিমালা পরিবর্তন করতেই পারে। তবে শেখ হাসিনা কখনও বলেন না যে উনার নীতিমালা পরিবর্তন করেছেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মানবিক। দেশের দায়িত্বগুলো শেষ বিচারে আমাদেরই বইতে হবে। এটাই আমাদের মূল কথা। আমাদের নিজস্ব সম্পদ আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। আমাদের লাখ লাখ মানুষ কাজ করছেন। কাজ করছেন বলেই সম্পদ বেড়েছে। বক্তৃতা দিয়ে কোনও সম্পদ সৃষ্টি হয় না। সম্পদ সৃষ্টি করতে হলে কাজ করতে হবে, লোহার ওপরে পেটাতে হবে, অথবা নৌকা বাইতে হবে, অথবা লাঙল বইতে হবে। লাখ লাখ মানুষ কাজ করছে বলেই সম্পদ সৃষ্টি হচ্ছে। এই সম্পদ আমাদের কাজে লাগাতে হবে। টেকনিক্যাল শিক্ষা কাজে লাগাতে হবে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সুবিধাবঞ্চিত ও অবহেলিত মানুষের জন্য কাজ করছেন।’
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে শিক্ষার ঘাটতি আছে। এই শিক্ষা দিয়ে বাকি পথ পাড়ি দেওয়া যাবে না। দেশে সাক্ষরতার হারও সম্মানজনক না। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের প্রযুক্তিগত শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণ শুরু হয়ে গেছে। আমরা কৃষিপণ্য বিদেশে পাঠানোর জন্য কাজ করছি। মাছ, মাংস, ডিম ও দুধ বিদেশে পাঠাবো। কারণ, আমাদের দক্ষ জনশক্তি আছে।’
সভাপতির বক্তব্যে ইউসেপ বাংলাদেশের চেয়ারপারসন পারভীন মাহমুদ জানান, ইউসেপ বাংলাদেশ দীর্ঘ ৪৯ বছর যাবৎ বাংলাদেশে সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও যুবাদের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে ইউসেপ বাংলাদেশে কাজ করে যাচ্ছে।