ঢাকা ১১:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিয়ন্ত্রক সংস্থার অবহেলায় জালিয়াতি

  • আপডেট সময় : ০২:২৪:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ১১৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডিএসইর মনিটরিংয়ের অভাবে আমরা সবকিছু হারিয়ে পথে বসে গেছি। নিয়ন্ত্রক সংস্থা যদি ঠিক মতো মনিটরিং করতো তাহলে এ ধরনের জালিয়াতি ঘটতো না। এই জালিয়াতি দীর্ঘদিন ধরে করে আসছে তামহা সিকিউরিটিজ। গতকাল বুধবার ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) হল রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা এসব অভিযোগ করেন। এ সময় বিনিয়োগকারী ফখরুল ইসলাম বলেন, তামহা সিকিউরিটিজ ১৫ দিনের মধ্যে সমাধান করার আশ্বাস দিলেও আমাদের কোন সমাধান হয়নি। আমরা বিএসইসি ও ডিএসই থেকে এখনও কোন আশ্বাস না পেয়ে হতাশ। প্রতিষ্ঠানটির এমডি হারুন নিজেকে বাচাঁনোর জন্য অফিসের স্টাফদের উপর দোষ দিয়ে নিজেও বিএসইসিতে অভিযোগ জানিয়েছেন যে, তার প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি হয়েছে। মূলত তিনি নিজেই এই দুর্নীতির সাথে জড়িত। ভুক্তভোগী মজিবুর রহমান বলেন, আমার ১৩ লাখ টাকা এই কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছি কিন্তু এখন দেখতেছি আমার কোন টাকা নেই। আমার চাকরির পেনশনের সমস্ত টাকা হারিয়েছি এখানে। টাকা হারিয়ে এখন আমার সংসার চালাতে সমস্যায় পড়েছি। কোম্পানির প্রক্রিয়ায় এখনও আমাদের শেয়ার এবং টাকা দেখাচ্ছে যেটা সঠিক নয়। কারণ সিডিবিএলের কাছে কোন তথ্য নেই। ভুক্তভোগীরা আরও জানান, আমরা প্রায় দুই শতাধিক ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী তিন মাস ধরে পথে পথে ঘুরছি। কখনো বিএসইসি আবার কখনো ডিএসইতে। কেউ আমাদের টাকা ফেরতের আশ্বাস দিচ্ছেন না। সবকিছু হারিয়ে আমরা এই করোনায় অসহায় হয়ে পড়েছি। এমনকি নতুন বছরে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়াও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। জানা গেছে, ব্রোকারেজ হাউজটি প্রায় দুই হাজার গ্রাহকের শেয়ার ও জমাকৃত টাকার হিসাব রাখতে দুটি পৃথক ব্যাক অফিস সফটওয়্যার ব্যবহার করে, একটি দিয়ে প্রকৃত তথ্য এবং অন্যটি দিয়ে ভুয়া প্রতিবেদন তৈরি করতো। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) গত বছরের ৯ ডিসেম্বর বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পেয়ে স্টক ব্রোকারেজ ফার্ম তামহা সিকিউরিটিজের বাণিজ্য বন্ধ করে দেয়। এদিকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুরোধে গত ৫ জানুয়ারি তামহা সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হারুনুর রশিদসহ প্রতিষ্ঠানটির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নিয়ন্ত্রক সংস্থার অবহেলায় জালিয়াতি

আপডেট সময় : ০২:২৪:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : ডিএসইর মনিটরিংয়ের অভাবে আমরা সবকিছু হারিয়ে পথে বসে গেছি। নিয়ন্ত্রক সংস্থা যদি ঠিক মতো মনিটরিং করতো তাহলে এ ধরনের জালিয়াতি ঘটতো না। এই জালিয়াতি দীর্ঘদিন ধরে করে আসছে তামহা সিকিউরিটিজ। গতকাল বুধবার ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের (সিএমজেএফ) হল রুমে এক সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা এসব অভিযোগ করেন। এ সময় বিনিয়োগকারী ফখরুল ইসলাম বলেন, তামহা সিকিউরিটিজ ১৫ দিনের মধ্যে সমাধান করার আশ্বাস দিলেও আমাদের কোন সমাধান হয়নি। আমরা বিএসইসি ও ডিএসই থেকে এখনও কোন আশ্বাস না পেয়ে হতাশ। প্রতিষ্ঠানটির এমডি হারুন নিজেকে বাচাঁনোর জন্য অফিসের স্টাফদের উপর দোষ দিয়ে নিজেও বিএসইসিতে অভিযোগ জানিয়েছেন যে, তার প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি হয়েছে। মূলত তিনি নিজেই এই দুর্নীতির সাথে জড়িত। ভুক্তভোগী মজিবুর রহমান বলেন, আমার ১৩ লাখ টাকা এই কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছি কিন্তু এখন দেখতেছি আমার কোন টাকা নেই। আমার চাকরির পেনশনের সমস্ত টাকা হারিয়েছি এখানে। টাকা হারিয়ে এখন আমার সংসার চালাতে সমস্যায় পড়েছি। কোম্পানির প্রক্রিয়ায় এখনও আমাদের শেয়ার এবং টাকা দেখাচ্ছে যেটা সঠিক নয়। কারণ সিডিবিএলের কাছে কোন তথ্য নেই। ভুক্তভোগীরা আরও জানান, আমরা প্রায় দুই শতাধিক ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী তিন মাস ধরে পথে পথে ঘুরছি। কখনো বিএসইসি আবার কখনো ডিএসইতে। কেউ আমাদের টাকা ফেরতের আশ্বাস দিচ্ছেন না। সবকিছু হারিয়ে আমরা এই করোনায় অসহায় হয়ে পড়েছি। এমনকি নতুন বছরে ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়াও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। জানা গেছে, ব্রোকারেজ হাউজটি প্রায় দুই হাজার গ্রাহকের শেয়ার ও জমাকৃত টাকার হিসাব রাখতে দুটি পৃথক ব্যাক অফিস সফটওয়্যার ব্যবহার করে, একটি দিয়ে প্রকৃত তথ্য এবং অন্যটি দিয়ে ভুয়া প্রতিবেদন তৈরি করতো। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) গত বছরের ৯ ডিসেম্বর বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পেয়ে স্টক ব্রোকারেজ ফার্ম তামহা সিকিউরিটিজের বাণিজ্য বন্ধ করে দেয়। এদিকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুরোধে গত ৫ জানুয়ারি তামহা সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হারুনুর রশিদসহ প্রতিষ্ঠানটির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।