নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নতুন ভবনের পাশ থেকে উদ্ধার হওয়া মৃতদেহের পরিচয় মিলেছে।
মনির হোসেন রাসেল (৩০) হিসেবে তাকে স্বজনরা শনাক্ত করেন বলে জানান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি বলেন, গাজীপুরের বাসিন্দা রাসেল দুই মাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। নতুন ভবনের ৫০২ নম্বর ওয়ার্ডের ৩৭ নম্বর বেডে ছিলেন তিনি।
“তার মা রাশেদা তার দেখাশোনা করতেন। সকাল থেকে তাকে খুঁজে পাচ্ছিলো না তার মা। এরপর এখানে-সেখানে খোঁজাখুজি শুরু করেন। পরে তার মৃতদেহ হাসপাতালের নিচে পাওয়া যায়।”
গতকাল মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের ১০ তলা নতুন ভবনের পূর্বপাশে খোলা জায়গায় আবর্জনার মধ্যে থেকে পুলিশ একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। তখন তার পরিচয় জানা যায়নি।
তবে উপর থেকে পড়ে যাওয়ার কারণে আহত হয়ে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। বাচ্চু মিয়া বলেন, “যে পাশে মৃতদেহ পড়ে রয়েছে, ওইপাশে সিঁড়ি রয়েছে এবং সিঁড়ির প্রায় সব জানালা খোলা। বাইরে থেকে দেখে মনে হয়েছে, শরীরে একাধিক জখমের চিহ্ন রয়েছে।”
নিহতের ভগ্নিপতি ইয়াকুল আলী বলেন, “দুই বছর আগে একটি দুর্ঘটনায় রাসেলের মেরুদ-ের হাড় ভেঙ্গে যায়। এরপর একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসাও নিয়েছে সে। দুই মাস আগে আবার মেরুদ-ের ব্যথা শুরু হলে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি হয় রাসেল।
“হাসপাতালে এসে শুনেছি রাসেল ছয়তলা থেকে লাফ দিয়ে নিচে পড়ে গিয়ে মারা গেছে। এরজন্য আমরা কাউকে দায়ি করছি না। কারণ কীভাবে কী হয়েছে তা তো আমরা দেখিনি, জানিও না।” একসময় রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের একটি শাড়ি কাপড়ের দোকানে বিক্রয়কর্মী হিসেবে চাকরি করতেন রাসেল। তার স্ত্রী ও দুই মেয়ে রয়েছে।
নিহত সেই যুবক দুই মাস ধরে ভর্তি ছিলেন ঢাকা মেডিকেলে
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ