ক্রীড়া প্রতিবেদক: দুর্নীতির তথ্য গোপনের দায়ে আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় পড়ে দীর্ঘ সময় ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন নাসির হোসেন। সেই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে অবশেষে সোমবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ দিয়ে মাঠে ফিরেছেন তিনি। এদিন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে রূপগঞ্জ টাইগার্সের হয়ে মাঠে নামেন জাতীয় দলের এক সময়কার ফিনিশার খ্যাত ক্রিকেটার। লম্বা বিরতির পর মাঠে নেমে বল হাতে এক উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে ৯ রান করেছেন তিনি। খুব ভালো করতে না পারলেও নাসিরের উপস্থিতিতে জয়ের দেখা পেয়েছে রূপগঞ্জ টাইগার্স। সোমবার আগে ব্যাটিং করে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ১৫৯ রান করে। জবাবে ২ উইকেট হারিয়ে ৮ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে রূপগঞ্জ। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সোমবার রূপগঞ্জ টাইগার্সের একাদশ দেখে চোখ কপালে উঠার মতো অবস্থা তৈরি হয়।
নাসির ক্রিকেটে ফিরছেন সেটি অনুমিতই ছিল। তবে আবাহনী-মোহামেডান ছাপিয়ে নাসির যে রূপগঞ্জে খেলবেন, সেটি ছিল অপ্র্যাশিত। টস জিতে গাজী গ্রুপকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে আল আমিন জুনিয়র বল তুলে দেন নাসিরের হাতে। টানা বোলিং করে নাসির ১০ ওভার বোলিং করে ৩১ রান খরচায় শিকার করেন একটি উইকেট। নাসিরের পাশাপাশি মহিউদ্দিন তারেকের তিনটি এবং ফয়সাল ও হুসনা হাবিব মেহেদী মিলে দুটি করে উইকেট শিকার করে এনামুল হকের দলকে বিপদে ফেলে দেন। ৪২.১ ওভারে গাজী গ্রুপ অলআউট হয় ১৫৯ রানে।
১৬০ রানের জবাবে খেলতে নেমে রূপগঞ্জ ওপেনিং জুটিতেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। আব্দুল মজিদ ও অমিত মজুমদার মিলে গড়েন ১৩৮ রানের জুটি। মজিদ ৭৯ বলে ৫৩ রান করে স্বেচ্ছায় অবসরে গেলে ক্রিজে নামার সুযোগ পান নাসির। কিন্তু চার মেরে জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে গিয়ে আউট হয়ে যান দেড় বছর পর ক্রিকেটে ফেরা এই অলরাউন্ডার। ১১ বলে ২ চারে নাসির খেলেন ৯ রানের ইনিংস। তার আগে অবশ্য অমিত মজুমদার ৭৬ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। ৯৮ বলে ১০ চারে এই ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হন অমিত। গাজীর বোলারদের মধ্যে তোফায়েল আহমেদ ও আব্দুল গাফফার প্রত্যেকে একটি করে উইকেট শিকার করেন।