প্রত্যাশা ডেস্ক : ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের নয়ডাতে বহুল বিতর্কিত টুইন টাওয়ার বোমার সাহায্যে ‘ওয়াটার ফল’ বা পানি পড়ার কৌশল কাজে লাগিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল রোববার বাংলাদেশ সময় দুপুর তিনটায় ভবন দুটি গুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। ভবনটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার কারণে টুইন টাওয়ারের নির্মাণকারী সংস্থা সুপারটেকের প্রায় এক হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। ভবনটির পিলারে ৭০০টি বিস্ফোরক লাগানো হয়। মূলত ভবন দুটি যেন ‘ওয়াটার ফল’ বা পানি পড়ার কৌশলে বিধ্বস্ত করা হয়। যেন আশেপাশের ভবনের বাসিন্দা ও ভবনের কোনো ক্ষতি না হয়। ভবন বিধ্বস্তের কারণে প্রায় ৫৫ হাজার টন ইটের ধ্বংসাবশেষ পড়ে রয়েছে। এগুলো পরিষ্কার করতে অন্তত তিন মাসের বেশি সময় লাগবে। দেশটির ইতিহাসে এর আগে এত বড় ভবন গুড়িয়ে দেওয়ার কোনো নজির নেই। এত বড় ভবন বিধ্বস্তের ঘটনা স্বচক্ষে দেখতে আশেপাশের ভবনগুলোতে উৎসুক জনতার ভিড় ছিল। ভবন দুটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার আগে আশেপাশের বাড়িঘর থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নেওয়া হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় অ্যাম্বুলেন্সও রাখা হয়। ভবন গুড়িয়ে দেওয়ার কারণে পরিবেশের দূষণ এড়াতে দমকল কর্মীরা তৎপর ছিল। আর রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো কুকুরদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়। বহুতল ভবন দুটির নাম অ্যাপেক্স এবং সিয়ানে। এগুলোর মধ্যে একটির উচ্চতা ১০৩ মিটার। দ্বিতীয়টির উচ্চতা ৯৭ মিটার। বহুতল এই ভবনগুলো গুঁড়িয়ে দিতে হরিয়ানা থেকে ডিনামাইটসহ ৩ হাজার ৭০০ কেজি বিস্ফোরক আনা হয়েছে। এই কাজ খরচ হয়েছে ২০ কোটি টাকা। আদালতের নির্দেশে ভবন দুটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার সম্পূর্ণ খরচ নির্মাণকারী সংস্থাকে বহন করতে হয়েছে।
নির্মাণে লেগেছিল নয় বছর, ধূলিসাতে নয় সেকেন্ড
ট্যাগস :
নির্মাণে লেগেছিল নয় বছর
জনপ্রিয় সংবাদ