ঢাকা ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

নির্বাচন হতে হবে স্বচ্ছ, কূটকৌশল সহ্য করা হবে না : সিইসি

  • আপডেট সময় : ০২:২২:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জুন ২০২২
  • ৭৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভোট অস্বচ্ছ করতে ‘ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউট’ সহ্য করা হবে না জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন হতে হবে স্বচ্ছ, ভোট নিয়ে কোনো কূটকৌশল করা যাবে না। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নির্বাচন ভবনে ভোটের পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে সংলাপে এ কথা বলেন সিইসি। সংলাপে মুভ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সাইফুল হক নির্বাচনের সময় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ইন্টারনেট বন্ধ না করার পরামর্শ দেন। সিইসি জানান, ভোট অস্বচ্ছ করতে ‘ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউট’ করা হয়ে থাকলে তা সহ্য করা হবে না। তিনি বলেন, “আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, নির্বাচন স্বচ্ছ হতে হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনো কূটকৌশল করতে পারবেন না। যদি নির্বাচনকে আড়াল করার জন্যে ‘ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউট’ করে থাকে তাহলে আামদের তরফ থেকে স্পষ্ট করে বক্তব্য থাকবে যে সেটা ‘টলারেট’ করা হবে না।” ভোটে অস্বচ্ছতা দূর করতে এসময় পর্যবেক্ষকদের আরও প্রশিক্ষিতি হওয়ার ওপর জোর দেন তিনি। পর্যবেক্ষদের উদ্দেশে সিইসি বলন, “নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অস্বচ্ছতার অভিযোগ আসছে, সেই অস্বচ্ছতাকে দুরীভূত করতে আপনারা একটা গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হতে পারেন। যার মাধ্যমে নির্বাচনে বিরাজমান অস্বচ্ছতাকে দূর করে আমরা আরও স্বচ্ছতা আনতে পারি। কাজেই অবজারভেশন হচ্ছে, আরও প্রশিক্ষিত হতে হবে।”
নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন- ইভিএমের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়াল জানান, “ইভিএম খুবই সুবিধাজনক একটি জিনিস। ভোটের দিন ভোটের সময় সহিংস রূপ ধারণ করে। ভোট কেন্দ্রে যে সহিংসতা হয়, তা নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে। “ইভিএম মেশিন আমি এতদিন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিজেও বুঝেছি, যদি এটার সপক্ষে সমর্থন পাই, এর নেতিবাচক দিকগুলো সম্পর্কে সন্দেহ দূর করতে পারি, তাহলে এটার একটা যুক্তিসঙ্গত ব্যবহার করেও নির্বাচন কেন্দ্রগুলোকে সহিংস থেকে কিছুটা অহিংস করে তুলতে পারি।” সংলাপে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের মহাসচিব সাইফুল ইসলাম দিলদার নির্বাচন কমিশনকে জনগনের আস্থা অর্জন করার পরামর্শ দেন। ইভিএমে ভুল-ত্রুটির কথা উল্লেখ করেন মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান গোলাম রহমান। নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের কার্ড দ্রুত দেওয়া ও সম্মানি দেওয়ার আহ্বান জানান মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোহাম্মাদ আবেদ আলী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে চলমান সংলাপের অংশ হিসেবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থার ২৬ জন প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করে কমিশন। সংলাপে চার নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নির্বাচন হতে হবে স্বচ্ছ, কূটকৌশল সহ্য করা হবে না : সিইসি

আপডেট সময় : ০২:২২:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জুন ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : ভোট অস্বচ্ছ করতে ‘ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউট’ সহ্য করা হবে না জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন হতে হবে স্বচ্ছ, ভোট নিয়ে কোনো কূটকৌশল করা যাবে না। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নির্বাচন ভবনে ভোটের পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে সংলাপে এ কথা বলেন সিইসি। সংলাপে মুভ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সাইফুল হক নির্বাচনের সময় নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ইন্টারনেট বন্ধ না করার পরামর্শ দেন। সিইসি জানান, ভোট অস্বচ্ছ করতে ‘ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউট’ করা হয়ে থাকলে তা সহ্য করা হবে না। তিনি বলেন, “আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, নির্বাচন স্বচ্ছ হতে হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনো কূটকৌশল করতে পারবেন না। যদি নির্বাচনকে আড়াল করার জন্যে ‘ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউট’ করে থাকে তাহলে আামদের তরফ থেকে স্পষ্ট করে বক্তব্য থাকবে যে সেটা ‘টলারেট’ করা হবে না।” ভোটে অস্বচ্ছতা দূর করতে এসময় পর্যবেক্ষকদের আরও প্রশিক্ষিতি হওয়ার ওপর জোর দেন তিনি। পর্যবেক্ষদের উদ্দেশে সিইসি বলন, “নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন অস্বচ্ছতার অভিযোগ আসছে, সেই অস্বচ্ছতাকে দুরীভূত করতে আপনারা একটা গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হতে পারেন। যার মাধ্যমে নির্বাচনে বিরাজমান অস্বচ্ছতাকে দূর করে আমরা আরও স্বচ্ছতা আনতে পারি। কাজেই অবজারভেশন হচ্ছে, আরও প্রশিক্ষিত হতে হবে।”
নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন- ইভিএমের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়াল জানান, “ইভিএম খুবই সুবিধাজনক একটি জিনিস। ভোটের দিন ভোটের সময় সহিংস রূপ ধারণ করে। ভোট কেন্দ্রে যে সহিংসতা হয়, তা নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সময় কঠিন হয়ে পড়ে। “ইভিএম মেশিন আমি এতদিন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিজেও বুঝেছি, যদি এটার সপক্ষে সমর্থন পাই, এর নেতিবাচক দিকগুলো সম্পর্কে সন্দেহ দূর করতে পারি, তাহলে এটার একটা যুক্তিসঙ্গত ব্যবহার করেও নির্বাচন কেন্দ্রগুলোকে সহিংস থেকে কিছুটা অহিংস করে তুলতে পারি।” সংলাপে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের মহাসচিব সাইফুল ইসলাম দিলদার নির্বাচন কমিশনকে জনগনের আস্থা অর্জন করার পরামর্শ দেন। ইভিএমে ভুল-ত্রুটির কথা উল্লেখ করেন মানবাধিকার ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান গোলাম রহমান। নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের কার্ড দ্রুত দেওয়া ও সম্মানি দেওয়ার আহ্বান জানান মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোহাম্মাদ আবেদ আলী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে চলমান সংলাপের অংশ হিসেবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থার ২৬ জন প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করে কমিশন। সংলাপে চার নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।