ঢাকা ০৫:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নির্বাচন বানচালের লক্ষণ দেখছেন প্রধান উপদেষ্টা, সতর্ক হতে বললেন

  • আপডেট সময় : ০৮:১৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৯ বার পড়া হয়েছে

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ৭টি রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা -ছবি পিআইডি

নিজস্ব প্রতিবেদক: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্বাচন পর্যন্ত পৌঁছাতে দিতে চায় না তারা যত রকম ভাবে পারে বাধা দেবে। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করবে যেন নির্বাচন না হয়, এগুলোর কিছু কিছু লক্ষণ এখন দেখা যাচ্ছে। সামনে আরো আসবে। এজন্য আমাদের আরো সতর্ক হতে হবে।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ৭টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠককালে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। বৈঠকের পর তার বাসভবনের বাইরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম প্রধান উপদেষ্টার এসব বক্তব্য তুলে ধরেন।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা আরো বলেন, বাংলাদেশের সত্ত্বাকে গড়ে তুলতে তারা বাধা দেবে। তারা নির্বাচন বানচাল করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। আমাদের চেষ্টা হবে নির্বাচন করার এবং নির্বাচন ফেব্রুয়ারি প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচিত সরকারের হাতে আমরা ক্ষমতা হস্তান্তর করবো।

প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচন ২০২৬-এর ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই অনুষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পরামর্শ চেয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, আনন্দ ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে। জীবনে কখনো ভোট দিতে পারেননি তাদের জন্য এ নির্বাচনে ভালো অভিজ্ঞতা দিতে হবে। যারা ভোট দিতে গিয়ে পূর্বে তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন তাদেরও ভালো অভিজ্ঞতা দিতে হবে। কেউ যেন বলতে না পারে যে আমাকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি।

প্রেস সচিব বলেন, এবারের নির্বাচন অনন্য নির্বাচন। এটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্বাচন নয়, এটা এ দেশের সব মানুষের, সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচন। এ নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষা হলো ভবিষ্যতের বাংলাদেশ নির্মাণের। এ নির্বাচন হবে নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর, সাহস অর্জনের, নিজের ভঙ্গিতে দেশ পরিচালনার নির্বাচন। এ নির্বাচনে অন্য কোনো দেশের থাবা দেওয়ার কোনো সুযোগ যেন না থাকে। আমরা এই নির্বাচন আয়োজনে আপনাদের সর্বাত্মক সমর্থন চাই।

প্রতি পদে পদে বাধা আসবে উল্লেখ করে তিনি আরোও বলেন, সবার মনে দ্বন্দ্ব তৈরি করার চেষ্টা করবে, আমরা যেন সঠিক থাকি, স্থির থাকি, সবাই একসঙ্গে সহযোগিতা করি।

সানা/আপ্র/০৩/০৯/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নির্বাচন বানচালের লক্ষণ দেখছেন প্রধান উপদেষ্টা, সতর্ক হতে বললেন

আপডেট সময় : ০৮:১৮:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্বাচন পর্যন্ত পৌঁছাতে দিতে চায় না তারা যত রকম ভাবে পারে বাধা দেবে। এমন পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করবে যেন নির্বাচন না হয়, এগুলোর কিছু কিছু লক্ষণ এখন দেখা যাচ্ছে। সামনে আরো আসবে। এজন্য আমাদের আরো সতর্ক হতে হবে।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ৭টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠককালে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। বৈঠকের পর তার বাসভবনের বাইরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম প্রধান উপদেষ্টার এসব বক্তব্য তুলে ধরেন।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা আরো বলেন, বাংলাদেশের সত্ত্বাকে গড়ে তুলতে তারা বাধা দেবে। তারা নির্বাচন বানচাল করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। আমাদের চেষ্টা হবে নির্বাচন করার এবং নির্বাচন ফেব্রুয়ারি প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচিত সরকারের হাতে আমরা ক্ষমতা হস্তান্তর করবো।

প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, নির্বাচন ২০২৬-এর ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই অনুষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পরামর্শ চেয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, আনন্দ ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে। জীবনে কখনো ভোট দিতে পারেননি তাদের জন্য এ নির্বাচনে ভালো অভিজ্ঞতা দিতে হবে। যারা ভোট দিতে গিয়ে পূর্বে তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন তাদেরও ভালো অভিজ্ঞতা দিতে হবে। কেউ যেন বলতে না পারে যে আমাকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি।

প্রেস সচিব বলেন, এবারের নির্বাচন অনন্য নির্বাচন। এটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্বাচন নয়, এটা এ দেশের সব মানুষের, সব রাজনৈতিক দলের নির্বাচন। এ নির্বাচনের আকাঙ্ক্ষা হলো ভবিষ্যতের বাংলাদেশ নির্মাণের। এ নির্বাচন হবে নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর, সাহস অর্জনের, নিজের ভঙ্গিতে দেশ পরিচালনার নির্বাচন। এ নির্বাচনে অন্য কোনো দেশের থাবা দেওয়ার কোনো সুযোগ যেন না থাকে। আমরা এই নির্বাচন আয়োজনে আপনাদের সর্বাত্মক সমর্থন চাই।

প্রতি পদে পদে বাধা আসবে উল্লেখ করে তিনি আরোও বলেন, সবার মনে দ্বন্দ্ব তৈরি করার চেষ্টা করবে, আমরা যেন সঠিক থাকি, স্থির থাকি, সবাই একসঙ্গে সহযোগিতা করি।

সানা/আপ্র/০৩/০৯/২০২৫