ঢাকা ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫
আলোচনা সভায় ডা. জাহিদ হোসেন

নির্বাচন দীর্ঘায়িত হলে ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে দেশ

  • আপডেট সময় : ০৯:২৯:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫
  • ১১ বার পড়া হয়েছে

শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিশ্চিতে নির্বাচনের গুরুত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিলম্বিত হলে দেশ ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ পিআর সিস্টেম বোঝে না। তাই এমন কোনো আচরণ করা উচিত নয়, যা মানুষকে বিভ্রান্ত করে এবং দেশের অস্তিত্বের জন্য মহাবিপদ ডেকে আনে।’

শুক্রবার (২২ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে চিকিৎসক পরিষদ ও বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা, বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিশ্চিতে নির্বাচনের গুরুত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি বলেন পিআর সিস্টেম না হলে নির্বাচনে যাবেন না, তাহলে ভেবে দেখুন, যদি নির্বাচন প্রলম্বিত বা বিলম্বিত হয়, তাহলে লাভ কার হবে? লাভ হবে সেই সুবিধাভোগীদের, যারা দেশে-বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করছে। যারা বুঝে না বুঝে এই দাবি তুলে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চান, তারা কী প্রকারান্তরে স্বৈরাচারের পক্ষে কাজ করছেন না?’

ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, দয়া করে রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়ে মোকাবিলা করুন। গায়ের জোরে কিছু চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। গায়ের জোর যদি ন্যায়ের জন্য ব্যবহার করেন, মানুষ সাধুবাদ জানাবে। কিন্তু যদি অন্যায়ের জন্য ব্যবহার করেন, মানুষ আপনাকে উগ্রপন্থি বলবে। কথা বলার অধিকার আছে, কিন্তু কথা শোনার মানসিকতাও থাকতে হবে। তা না হলে এই দেশে গণতন্ত্র হবে না। আর গণতন্ত্র না হলে মানবাধিকারও থাকবে না। এই গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে জনগণকে তার ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দিতে হবে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যারা আজকে দেশের সংস্কার নিয়ে কথা বলেন, তাদের বোঝা উচিত—এই সংস্কারের সূচনা বিএনপিই করেছিল, তারা নয়। তাদের কোনো ট্র্যাক রেকর্ড নেই যে তারা কোনো সংস্কার করতে পেরেছে। বিএনপি সব সময় মানুষের পাশে থাকে, মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে এবং তাদের মৌলিক অধিকার ও সুশাসন নিয়ে চিন্তা করে।’

গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘সংস্কার-সংস্কার করে ১২ মাস পার করে দিলেন। আর কত সময় লাগবে? জনগণের নেতা নির্বাচনের একমাত্র পথ দ্রুত নির্বাচন, কোনো অজুহাত নয়।’

 

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

আলোচনা সভায় ডা. জাহিদ হোসেন

নির্বাচন দীর্ঘায়িত হলে ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে দেশ

আপডেট সময় : ০৯:২৯:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিলম্বিত হলে দেশ ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ পিআর সিস্টেম বোঝে না। তাই এমন কোনো আচরণ করা উচিত নয়, যা মানুষকে বিভ্রান্ত করে এবং দেশের অস্তিত্বের জন্য মহাবিপদ ডেকে আনে।’

শুক্রবার (২২ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে চিকিৎসক পরিষদ ও বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা, বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিশ্চিতে নির্বাচনের গুরুত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি বলেন পিআর সিস্টেম না হলে নির্বাচনে যাবেন না, তাহলে ভেবে দেখুন, যদি নির্বাচন প্রলম্বিত বা বিলম্বিত হয়, তাহলে লাভ কার হবে? লাভ হবে সেই সুবিধাভোগীদের, যারা দেশে-বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করছে। যারা বুঝে না বুঝে এই দাবি তুলে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে চান, তারা কী প্রকারান্তরে স্বৈরাচারের পক্ষে কাজ করছেন না?’

ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘আমরা বলতে চাই, দয়া করে রাজনীতিকে রাজনীতি দিয়ে মোকাবিলা করুন। গায়ের জোরে কিছু চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। গায়ের জোর যদি ন্যায়ের জন্য ব্যবহার করেন, মানুষ সাধুবাদ জানাবে। কিন্তু যদি অন্যায়ের জন্য ব্যবহার করেন, মানুষ আপনাকে উগ্রপন্থি বলবে। কথা বলার অধিকার আছে, কিন্তু কথা শোনার মানসিকতাও থাকতে হবে। তা না হলে এই দেশে গণতন্ত্র হবে না। আর গণতন্ত্র না হলে মানবাধিকারও থাকবে না। এই গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে জনগণকে তার ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দিতে হবে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যারা আজকে দেশের সংস্কার নিয়ে কথা বলেন, তাদের বোঝা উচিত—এই সংস্কারের সূচনা বিএনপিই করেছিল, তারা নয়। তাদের কোনো ট্র্যাক রেকর্ড নেই যে তারা কোনো সংস্কার করতে পেরেছে। বিএনপি সব সময় মানুষের পাশে থাকে, মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে এবং তাদের মৌলিক অধিকার ও সুশাসন নিয়ে চিন্তা করে।’

গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘সংস্কার-সংস্কার করে ১২ মাস পার করে দিলেন। আর কত সময় লাগবে? জনগণের নেতা নির্বাচনের একমাত্র পথ দ্রুত নির্বাচন, কোনো অজুহাত নয়।’