ঢাকা ১০:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নির্বাচন ছাড়া অন্য বিষয়ে সরকারের আগ্রহ সন্দেহজনক: গয়েশ্বর

  • আপডেট সময় : ০৭:৫১:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৬ বার পড়া হয়েছে

শনিবার একটি আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়ার পরিবর্তে অন্য বিষয়ে সরকারের বেশি আগ্রহ প্রকাশ করা সন্দেহজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্বাধীন বাংলা মাদকবিরোধী কল্যাণ সোসাইটি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

গয়েশ্বর বলেন, ‘১৭ বছর ধরে মানুষ ভোটাধিকার ও স্বাধীকার ফিরে পাওয়ার জন্য রক্ত দিয়েছে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়া ছাড়া বর্তমান সরকারের অন্য কিছুতে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করা সন্দেহজনক। জনগণের মধ্যে এখন এক ধরনের অবিশ্বাস ও অনাস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। ষড়যন্ত্র থাকবে, এটা রাজনীতিরই চরিত্র। রাজনৈতিক সমাধান রাজনৈতিক ব্যক্তিদের হাতেই ছেড়ে দেওয়া ভালো।’

তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণ কখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করে না। জনগণ কিন্তু আমাদের চাইতে বেশি বোঝে। এখন জনগণ কী চাইছে, সেটা অন্তর্বর্তী সরকার বুঝতে চাইছে না। দেশের তরুণ সমাজ কেন বিদেশে পাড়ি দিতে চায়? কারণ আমরা দেশটাকে বসবাসের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে পারিনি। দেশে ভালো চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। অথচ এটা জনগণের মৌলিক অধিকার।’

বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, ‘একবার প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আমাদের ডেকে নিয়েছিলেন। আমরা গিয়ে দেখি তিনি অস্থিরভাবে পায়চারি করছেন। তখন আমরা জিজ্ঞেস করলাম আপনার কী হয়েছে? তিনি বললেন, বলো তো আমার পরিবারের লোকসংখ্যা কত? আমরা বললাম আপনি, ম্যাডাম আর দুই ছেলে। আপনি কী তাদের নিয়ে চিন্তিত? তখন জিয়াউর রহমান বললেন, আমার পরিবার এতোটা ছোট হলে তো আর চিন্তা করতাম না। কারণ আমার পরিবারের লোকসংখ্যা হলো ১০ কোটি। সেখান থেকেই আমরা বুঝতে পারি তিনি দেশের মানুষকে নিজের পরিবারের মানুষ হিসেবে মনে করতেন, তাদের নিয়ে ভাবতেন, চিন্তা করতেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, এটা নিয়ে সমালোচনা করার কিছু নেই। আমরাও যে ৩২ দফা দিয়েছি, সেটা যে ৩২ দিনেই বাস্তবায়িত হয়ে যাবে, তা নয়। কিন্তু সে সংস্কারের সূচনা তো করতে হবে। কোনও কাজ যদি শুরু করা হয় তা শেষ করার লোক কিন্তু চলে আসবে। এক সরকার আসবে, আরেক সরকার যাবে, এটাই নিয়ম। তাই বলে কাজ এগোবে না, তার তো কোনও যৌক্তিকতা নেই।’

সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক এনাম, স্বাধীন বাংলা মাদকবিরোধী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সেলিম নিজামী, সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার রুহুল আমিন প্রমুখ।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নির্বাচন ছাড়া অন্য বিষয়ে সরকারের আগ্রহ সন্দেহজনক: গয়েশ্বর

আপডেট সময় : ০৭:৫১:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়ার পরিবর্তে অন্য বিষয়ে সরকারের বেশি আগ্রহ প্রকাশ করা সন্দেহজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্বাধীন বাংলা মাদকবিরোধী কল্যাণ সোসাইটি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

গয়েশ্বর বলেন, ‘১৭ বছর ধরে মানুষ ভোটাধিকার ও স্বাধীকার ফিরে পাওয়ার জন্য রক্ত দিয়েছে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়া ছাড়া বর্তমান সরকারের অন্য কিছুতে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করা সন্দেহজনক। জনগণের মধ্যে এখন এক ধরনের অবিশ্বাস ও অনাস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। ষড়যন্ত্র থাকবে, এটা রাজনীতিরই চরিত্র। রাজনৈতিক সমাধান রাজনৈতিক ব্যক্তিদের হাতেই ছেড়ে দেওয়া ভালো।’

তিনি বলেন, ‘দেশের জনগণ কখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করে না। জনগণ কিন্তু আমাদের চাইতে বেশি বোঝে। এখন জনগণ কী চাইছে, সেটা অন্তর্বর্তী সরকার বুঝতে চাইছে না। দেশের তরুণ সমাজ কেন বিদেশে পাড়ি দিতে চায়? কারণ আমরা দেশটাকে বসবাসের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে পারিনি। দেশে ভালো চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। অথচ এটা জনগণের মৌলিক অধিকার।’

বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, ‘একবার প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আমাদের ডেকে নিয়েছিলেন। আমরা গিয়ে দেখি তিনি অস্থিরভাবে পায়চারি করছেন। তখন আমরা জিজ্ঞেস করলাম আপনার কী হয়েছে? তিনি বললেন, বলো তো আমার পরিবারের লোকসংখ্যা কত? আমরা বললাম আপনি, ম্যাডাম আর দুই ছেলে। আপনি কী তাদের নিয়ে চিন্তিত? তখন জিয়াউর রহমান বললেন, আমার পরিবার এতোটা ছোট হলে তো আর চিন্তা করতাম না। কারণ আমার পরিবারের লোকসংখ্যা হলো ১০ কোটি। সেখান থেকেই আমরা বুঝতে পারি তিনি দেশের মানুষকে নিজের পরিবারের মানুষ হিসেবে মনে করতেন, তাদের নিয়ে ভাবতেন, চিন্তা করতেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, এটা নিয়ে সমালোচনা করার কিছু নেই। আমরাও যে ৩২ দফা দিয়েছি, সেটা যে ৩২ দিনেই বাস্তবায়িত হয়ে যাবে, তা নয়। কিন্তু সে সংস্কারের সূচনা তো করতে হবে। কোনও কাজ যদি শুরু করা হয় তা শেষ করার লোক কিন্তু চলে আসবে। এক সরকার আসবে, আরেক সরকার যাবে, এটাই নিয়ম। তাই বলে কাজ এগোবে না, তার তো কোনও যৌক্তিকতা নেই।’

সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক এনাম, স্বাধীন বাংলা মাদকবিরোধী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সেলিম নিজামী, সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার রুহুল আমিন প্রমুখ।