সাভার প্রতিনিধি : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘নতুন নির্বাচন কমিশন কোনও রাজনৈতিক চাপে নেই। চাপের প্রশ্নই আসে না। কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করবে।’
গতকাল মঙ্গলবার সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘যেহেতু আগামী নির্বাচনের দায়িত্বটা আমাদের কাছে এসেছে, তাই কীভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করবো, সে বিষয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করা হবে। এখনই কিছু বলতে পারবো না। আমাদের প্রত্যাশা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ আলোচনার মধ্য দিয়ে সমঝোতায় আসবেন।’
রাজনৈতিক মহল বা অন্য কোনও পক্ষ থেকে চাপ অনুভব করছেন কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার নিজেরই উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে। ওই প্রেসারের সঙ্গে আর একটু দায়িত্বের চাপ রয়েছে।’ এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ রাশেদা সুলতানা এমিলি, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান, ইসি সচিব হুমায়ুন কবির খোন্দকার, ঢাকা জেলা প্রশাসক সহিদুল ইসলাম ও জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার প্রমুখ।
জাতীয় ভোটার দিবস আজ : আজ ২ মার্চ জাতীয় ভোটার দিবস। দেশে চতুর্থবারের মতো পালিত হচ্ছে। দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, রক্ষা করবো ভোটাধিকার’। এ উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। ভোটার দিবসটি পালনের মধ্য দিয়ে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশনের হাতে প্রথম আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি পালিত হতে যাচ্ছে।
এদিকে ভোটার দিবস পালনের পাশাপাশি বুধবার হালানাগাদকৃত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হতে যাচ্ছে। ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী, প্রতি বছর ২ মার্চ হালানাগাদকৃত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অবশ্য তালিকা প্রকাশ হলেও এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়নি। সদ্য বিদায়ী কে এম নূরুল হুদা কমিশনের সময়ে ২০১৯ সালের পরে তথ্য সংগ্রহ করে ভোটার তালিকা হালনাগদ হয়নি। যেসব আগ্রহী নাগরিক নিজের উদ্যোগে অনলাইনে কিংবা ইসির মাঠ প্রশাসনের কার্যালয়ে গিয়ে ভোটার নিবন্ধন করেছে সেগুলোই এই হালনাগাদে স্থান পাচ্ছে। ভোটার দিবস উপলক্ষে বুধবার সকাল ৮টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ হতে একটি র্যালি বের করা হবে। এটি শেষ হবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সামনে। পরে বিকাল ৩টায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনা সভায় নতুন কমিশনের সব সদস্যদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘গণতন্ত্র, নির্বাচন ও ভোটাধিকার বিষয়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে’ প্রতিবছরের ১ মার্চকে জাতীয় ভোটার দিবস হিসেবে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ সরকার। একবছর ভোটার দিবস পালনের পরে এই তারিখ পরিবর্তন করে ২ মার্চ করা হয়। জাতীয় ভোটার দিবস ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত একটি দিবস। প্রমোশন ক্যাম্পেইন সংক্রান্ত দিবসগুলো ‘খ’ শ্রেণিতে থাকে।
নির্বাচন কমিশন কোনও রাজনৈতিক চাপে নেই: সিইসি
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ