ঢাকা ০১:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেসি দায়িত্ব পালনে ৩০০ বিচারক চান সিইসি

নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেসি দায়িত্ব পালনে ৩০০ বিচারক চান সিইসি

  • আপডেট সময় : ০৭:৪১:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩
  • ১০০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেসি দায়িত্ব পালনের জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে ৩০০ বিচারক চেয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। পরে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পাঠানোর জন্য সিইসিকে পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
গতকাল বুধবার (১ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টে অনুষ্ঠিত প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সিইসির বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা (বিচারকরা) যেন দায়িত্ব পালন করেন, সে বিষয়ে প্রধান বিচারপতির সহযোগিতা চান সিইসি। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এমনটাই জানান তিনি। সিইসি বলেন, বিচারকরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রোরাল ইনকোয়ারি কমিটির দায়িত্ব পালন করে থাকেন। কিন্তু এবার নির্বাচন চলাকালে (ডিসেম্বর মাস) সিভিল কোর্টের বিচারকরা ছুটিতে থাকবেন। তাই প্রধান বিচারপতিকে জানিয়ে রেখেছি যেন ওই সময়ে বিচারকরা দায়িত্ব চলমান রাখেন। আর জানুয়ারি মাসে তো বিচারকরা আগের মতো করেই দায়িত্ব পালন করবেন। এটুকুই আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতি তাকে আশ্বস্ত করেছেন বলেও জানা গেছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বিষয়ে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সঙ্গে বৈঠকে করতে সুপ্রিম কোর্টে আসেন সিইসি ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চার কমিশনার। দুপুর ২টা ৫৫ মিনিট থেকে বিকেল পৌনে ৪টা পর্যন্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান বিচারপতির খাসকামরায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান ও আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। গত ২৯ অক্টোবর সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাসহ সার্বিক বিষয় অবহিত করতে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান বিচারপতির সাক্ষাৎ চায় ইসি। তাদের সাক্ষাৎ চেয়ে রোববার (২৯ অক্টোবর) এ বিষয়ে দুটি আলাদা চিঠি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয় বলে জানায় ইসির একাধিক সূত্র। ইসি জানায়, আগামী ১ থেকে ৫ নভেম্বরের মধ্যে সাক্ষাতের জন্য সময় চেয়েছে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন। সাক্ষাতের কিছুদিনের মধ্যেই সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতি সংসদ নির্বাচনের আগে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে এ ধরনের সাক্ষাতের জন্য সময় চাওয়া হয়। এবারও তাই চাওয়া হয়েছে।
২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসেছিল। সে হিসেবে আগামী ২৮ জানুয়ারি চলতি সংসদের মেয়াদ শেষ হবে। সাংবিধানিক বিধান মতে, সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার সাপেক্ষে পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই হিসেবে ৩১ অক্টোবর থেকে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন, নভেম্বরের প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। আর ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারির প্রথমার্ধে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ইসির সভা: শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা: একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যাতে নির্বাচনের সময় কোথাও কোনো ধরনের সমস্যা সৃষ্টি না হয়। জবাবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ইসিকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সচিব ও দপ্তরের প্রধানদের সঙ্গে ইসির বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের এসব কথা জানিয়েছেন।
গতকাল বুধবার সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা এই বৈঠক চলে। বৈঠক শেষে ইসি সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ইসি কিছু নির্দেশনা দিয়েছে, যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নির্বাচন আয়োজন করা যায়। আন্তমন্ত্রণালয় সভায় সব অ্যাজেন্ডা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের বার্তা একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে যাঁর যে দায়িত্ব, তাঁরা যেন যথাযথভাবে পালন করেন। মো. জাহাংগীর আলম বলেন, সংবিধানের মধ্যে যে সময় রয়েছে, তার মধ্যে নির্বাচন করতে ইসি বদ্ধপরিকর। এ আয়োজনকে সুষ্ঠু ও সুন্দর করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দপ্তর, বিভাগের প্রধানদের নিয়ে পর্যায়ক্রমে সভা হচ্ছে। ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা ও গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধানদের নিয়ে সভা হয়েছে। ইসি সচিব আরও বলেন, জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র, অর্থ, তথ্য, শিক্ষা, সড়ক পরিবহন, নৌপরিবহন, প্রাথমিক শিক্ষা, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাসহ সব বিভাগকে কার কী করণীয়, তা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে নির্বাচনের সময় কোথাও কোনো ধরনের সমস্যা সৃষ্টি না হয়। কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা, যাতায়াত, গণমাধ্যম, প্রচারণা, পররাষ্ট্র, পর্যবেক্ষক, বিদেশি পর্যবেক্ষক, ঋণখেলাপিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেসি দায়িত্ব পালনে ৩০০ বিচারক চান সিইসি

নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেসি দায়িত্ব পালনে ৩০০ বিচারক চান সিইসি

আপডেট সময় : ০৭:৪১:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেসি দায়িত্ব পালনের জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে ৩০০ বিচারক চেয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। পরে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পাঠানোর জন্য সিইসিকে পরামর্শ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
গতকাল বুধবার (১ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টে অনুষ্ঠিত প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সিইসির বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা (বিচারকরা) যেন দায়িত্ব পালন করেন, সে বিষয়ে প্রধান বিচারপতির সহযোগিতা চান সিইসি। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এমনটাই জানান তিনি। সিইসি বলেন, বিচারকরা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রোরাল ইনকোয়ারি কমিটির দায়িত্ব পালন করে থাকেন। কিন্তু এবার নির্বাচন চলাকালে (ডিসেম্বর মাস) সিভিল কোর্টের বিচারকরা ছুটিতে থাকবেন। তাই প্রধান বিচারপতিকে জানিয়ে রেখেছি যেন ওই সময়ে বিচারকরা দায়িত্ব চলমান রাখেন। আর জানুয়ারি মাসে তো বিচারকরা আগের মতো করেই দায়িত্ব পালন করবেন। এটুকুই আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতি তাকে আশ্বস্ত করেছেন বলেও জানা গেছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বিষয়ে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সঙ্গে বৈঠকে করতে সুপ্রিম কোর্টে আসেন সিইসি ও নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চার কমিশনার। দুপুর ২টা ৫৫ মিনিট থেকে বিকেল পৌনে ৪টা পর্যন্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান বিচারপতির খাসকামরায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান ও আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। গত ২৯ অক্টোবর সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাসহ সার্বিক বিষয় অবহিত করতে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান বিচারপতির সাক্ষাৎ চায় ইসি। তাদের সাক্ষাৎ চেয়ে রোববার (২৯ অক্টোবর) এ বিষয়ে দুটি আলাদা চিঠি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয় বলে জানায় ইসির একাধিক সূত্র। ইসি জানায়, আগামী ১ থেকে ৫ নভেম্বরের মধ্যে সাক্ষাতের জন্য সময় চেয়েছে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন। সাক্ষাতের কিছুদিনের মধ্যেই সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতি সংসদ নির্বাচনের আগে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে এ ধরনের সাক্ষাতের জন্য সময় চাওয়া হয়। এবারও তাই চাওয়া হয়েছে।
২০১৮ সালের ২৯ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসেছিল। সে হিসেবে আগামী ২৮ জানুয়ারি চলতি সংসদের মেয়াদ শেষ হবে। সাংবিধানিক বিধান মতে, সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার সাপেক্ষে পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই হিসেবে ৩১ অক্টোবর থেকে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানিয়েছেন, নভেম্বরের প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। আর ডিসেম্বরের শেষ থেকে জানুয়ারির প্রথমার্ধে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ইসির সভা: শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা: একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যাতে নির্বাচনের সময় কোথাও কোনো ধরনের সমস্যা সৃষ্টি না হয়। জবাবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ইসিকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সচিব ও দপ্তরের প্রধানদের সঙ্গে ইসির বৈঠক শেষে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের এসব কথা জানিয়েছেন।
গতকাল বুধবার সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা এই বৈঠক চলে। বৈঠক শেষে ইসি সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ইসি কিছু নির্দেশনা দিয়েছে, যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নির্বাচন আয়োজন করা যায়। আন্তমন্ত্রণালয় সভায় সব অ্যাজেন্ডা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের বার্তা একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে যাঁর যে দায়িত্ব, তাঁরা যেন যথাযথভাবে পালন করেন। মো. জাহাংগীর আলম বলেন, সংবিধানের মধ্যে যে সময় রয়েছে, তার মধ্যে নির্বাচন করতে ইসি বদ্ধপরিকর। এ আয়োজনকে সুষ্ঠু ও সুন্দর করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দপ্তর, বিভাগের প্রধানদের নিয়ে পর্যায়ক্রমে সভা হচ্ছে। ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা ও গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধানদের নিয়ে সভা হয়েছে। ইসি সচিব আরও বলেন, জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র, অর্থ, তথ্য, শিক্ষা, সড়ক পরিবহন, নৌপরিবহন, প্রাথমিক শিক্ষা, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাসহ সব বিভাগকে কার কী করণীয়, তা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে নির্বাচনের সময় কোথাও কোনো ধরনের সমস্যা সৃষ্টি না হয়। কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা, যাতায়াত, গণমাধ্যম, প্রচারণা, পররাষ্ট্র, পর্যবেক্ষক, বিদেশি পর্যবেক্ষক, ঋণখেলাপিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।