ঢাকা ০৪:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

নির্বাচনে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আওয়ামী লীগের নেই: প্রেস সচিব

  • আপডেট সময় : ১১:১৩:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫
  • ৮ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফেব্রুয়ারির নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে। সম্ভবত সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনও হতে পারে। তিনটি সাম্প্রতিক ঘটনা এমন বিশ্বাসকে আরো দৃঢ় করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের তৃণমূল ভেঙে গেছে বা প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোতে মিলিয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি তাদের হাতে অবশিষ্ট নেই।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি যে তিনটি ঘটনার উল্লেখ করেন তা নিম্নরূপ-

১. নির্বিঘ্নে বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণা

বিএনপি সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করলে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে- এমন শঙ্কা ছিল সর্বত্র। অনেকেই ধারণা করেছিলেন, শত শত বিদ্রোহী প্রত্যাশী প্রার্থী সিদ্ধান্ত মানতে অস্বীকৃতি জানাবেন, বিক্ষোভ করবেন, এমনকি দলীয় মনোনীত প্রার্থীদের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষও বাঁধতে পারে। কিন্তু এক-দুটি ক্ষুদ্র ঘটনার বাইরে পুরো ঘোষণা প্রক্রিয়া আশ্চর্যজনকভাবে শান্তিপূর্ণ ছিল।

এতে প্রমাণিত হয় বিএনপি নেতৃত্ব যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়েছিল। মনোনয়ন নিয়ে দলের ভেতরে বিস্তৃত গ্রহণযোগ্যতা দেখায় যে, নির্বাচনি প্রচারণা ও ভোটের সময় দলীয় অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের সম্ভাবনা খুবই কম।

২. আওয়ামী লীগের সক্ষমতার সীমা এখন পরিষ্কার এবং তা খুবই নগন্য

আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে এসেছে যে, তাদের বিশাল তৃণমূল নেটওয়ার্ক আছে যা যে কোনো নির্বাচন ব্যাহত করতে সক্ষম। কিন্তু গত কয়েকদিনের ঘটনাপ্রবাহ প্রমাণ করেছে- তাদের বাস্তব মাঠ-সংগঠনের ক্ষমতা অত্যন্ত সীমিত। দলটি এখন মূলত ভাড়াটে কিছু টোকাই-শ্রেণির সমস্যা সৃষ্টিকারীর ওপর নির্ভরশীল, যারা পরিত্যক্ত বাসে আগুন ধরানো, ৩০ সেকেন্ডের ঝটিকা মিছিল করা, কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এআই-ভিত্তিক বিভ্রান্তি ছড়ানোর মতো কাজ করতে পারে।

ফলে, দলটি কার্যত ফেসবুক-নির্ভর এক প্রতিবাদী গোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে- যার মাঠে কোনো উল্লেখযোগ্য সাংগঠনিক শক্তি নেই। আমার দীর্ঘদিনের পর্যবেক্ষণ এখনো যৌক্তিক যে, দলটির তৃণমূল ভেঙে গেছে বা প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোতে মিলিয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি তাদের হাতে অবশিষ্ট নেই।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে দৃশ্যমানভাবে স্থিতিশীল হয়েছে, তা পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী এবং মাঠ প্রশাসন- ডিসি, এসপি, ইউএনও, ওসিসহ সংশ্লিষ্ট সবার মাঝে নতুন আস্থা সঞ্চার করেছে। নির্বাচন প্রক্রিয়া তদারকির জন্য সবচেয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি নিশ্চিত- তারা জাতির প্রত্যাশা অনুযায়ী একটি শান্তিপূর্ণ ও শৃঙ্খলাপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে সক্ষম হবেন।

এসি/আপ্র/১৫/১১/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

নির্বাচনে ৯ দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নির্বাচনে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি আওয়ামী লীগের নেই: প্রেস সচিব

আপডেট সময় : ১১:১৩:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফেব্রুয়ারির নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হবে। সম্ভবত সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনও হতে পারে। তিনটি সাম্প্রতিক ঘটনা এমন বিশ্বাসকে আরো দৃঢ় করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের তৃণমূল ভেঙে গেছে বা প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোতে মিলিয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি তাদের হাতে অবশিষ্ট নেই।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি যে তিনটি ঘটনার উল্লেখ করেন তা নিম্নরূপ-

১. নির্বিঘ্নে বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণা

বিএনপি সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করলে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে- এমন শঙ্কা ছিল সর্বত্র। অনেকেই ধারণা করেছিলেন, শত শত বিদ্রোহী প্রত্যাশী প্রার্থী সিদ্ধান্ত মানতে অস্বীকৃতি জানাবেন, বিক্ষোভ করবেন, এমনকি দলীয় মনোনীত প্রার্থীদের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষও বাঁধতে পারে। কিন্তু এক-দুটি ক্ষুদ্র ঘটনার বাইরে পুরো ঘোষণা প্রক্রিয়া আশ্চর্যজনকভাবে শান্তিপূর্ণ ছিল।

এতে প্রমাণিত হয় বিএনপি নেতৃত্ব যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়েছিল। মনোনয়ন নিয়ে দলের ভেতরে বিস্তৃত গ্রহণযোগ্যতা দেখায় যে, নির্বাচনি প্রচারণা ও ভোটের সময় দলীয় অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের সম্ভাবনা খুবই কম।

২. আওয়ামী লীগের সক্ষমতার সীমা এখন পরিষ্কার এবং তা খুবই নগন্য

আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরে দাবি করে এসেছে যে, তাদের বিশাল তৃণমূল নেটওয়ার্ক আছে যা যে কোনো নির্বাচন ব্যাহত করতে সক্ষম। কিন্তু গত কয়েকদিনের ঘটনাপ্রবাহ প্রমাণ করেছে- তাদের বাস্তব মাঠ-সংগঠনের ক্ষমতা অত্যন্ত সীমিত। দলটি এখন মূলত ভাড়াটে কিছু টোকাই-শ্রেণির সমস্যা সৃষ্টিকারীর ওপর নির্ভরশীল, যারা পরিত্যক্ত বাসে আগুন ধরানো, ৩০ সেকেন্ডের ঝটিকা মিছিল করা, কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এআই-ভিত্তিক বিভ্রান্তি ছড়ানোর মতো কাজ করতে পারে।

ফলে, দলটি কার্যত ফেসবুক-নির্ভর এক প্রতিবাদী গোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে- যার মাঠে কোনো উল্লেখযোগ্য সাংগঠনিক শক্তি নেই। আমার দীর্ঘদিনের পর্যবেক্ষণ এখনো যৌক্তিক যে, দলটির তৃণমূল ভেঙে গেছে বা প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোতে মিলিয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনে ব্যাঘাত ঘটানোর মতো শক্তি তাদের হাতে অবশিষ্ট নেই।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে দৃশ্যমানভাবে স্থিতিশীল হয়েছে, তা পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী এবং মাঠ প্রশাসন- ডিসি, এসপি, ইউএনও, ওসিসহ সংশ্লিষ্ট সবার মাঝে নতুন আস্থা সঞ্চার করেছে। নির্বাচন প্রক্রিয়া তদারকির জন্য সবচেয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি নিশ্চিত- তারা জাতির প্রত্যাশা অনুযায়ী একটি শান্তিপূর্ণ ও শৃঙ্খলাপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে সক্ষম হবেন।

এসি/আপ্র/১৫/১১/২০২৫