পিরোজপুর প্রতিনিধি : পিরোজপুরের নেছারাবাদে নির্বাচনি চা খাওয়ার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে মারামারিতে একই গ্রুপের তিন জন আহত হয়েছে। রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার স্বরূপকাঠি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে যুবলীগ অফিসের সামনে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। আহতের উদ্ধার করে নেছারাবাদ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি নিয়েছেন। আহতরা সবাই পিরোজপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মহিউদ্দীন মহারাজের ঈগল প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনি কাজ করছেন। আহতরা হলেন- সৌমিত মজুমদার রাজু (৩৯), ফাইজুল হক (৫০) ও জামান (৩০)। আহত সৌমিত মজুমদার রাজু অভিযোগ করেন, তিনি ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের পক্ষে কাজ করছিলেন। তার দাবি, ‘আমরা মহারাজ ভাইয়ের পক্ষে অনেক পরিশ্রম করছি। সে সুবাদে তিনি আমাদের নির্বাচনি কিছু খরচ দিয়েছেন। ওই দিন রাত ৯টার দিকে আমরা ইউনিয়ন যুবলীগের অফিসে বসা ছিলাম। এ সময় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন দলবল নিয়ে এসে সেই খরচের ভাগ চাচ্ছিল। আমরা খরচের ভাগ দিতে অনীহা প্রকাশ করায় তিনিসহ তার বাহিনী আমাদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা করে। এতে আমাদের যুবলীগের ১৪-১৫ জন লোক আহত হয়েছে।’ স্বরূপকাঠি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম দাবি করেন, ‘ইউনিয়নের আমি সৌমিত মজুমদার রাজুসহ সবাই মহারাজ ভাইয়ের পক্ষে কাজ করছি। আরিফ হোসেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। নির্বাচনে দল বেঁধে সবাইকে সামান্য কিছু নির্বাচনি খরচ দেওয়া হয়। আরিফ যুবলীগের টাকার ভাগ চাওয়ায় সৌমিত মজুমদার রাজু দিতে চায়নি। তাই নিজেদের মধ্য একটু হাতাহাতি হয়েছে মাত্র।’ তিনি আরও দাবি করেন, ‘আমরা ইউনিয়নের সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মহারাজ ভাইয়ের জন্য অনেক পরিশ্রম করছি। সামান্য কিছু চা খাওয়ার টাকা নিয়ে আরিফের এটা করা ঠিক হয়নি। এটা একটা লজ্জার বিষয়।’
হামলা করে প্রচারণা বন্ধ করা যাবে না: হিরো আলম
নিজস্ব প্রতিবেদক
হামলা করে নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেস মনোনীত প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। গতকাল সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় নির্বাচনী এলাকা নন্দীগ্রাম উপজেলার রণবাঘা বাজারে গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি। হিরো আলম বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা আমার জনপ্রিয়তা দেখে হামলা করছেন। পরপর দুইবার হামলা করা হয়েছে। আমরা মনোবল হারায়নি, মাঠে আছি। ভোটের দিন পর্যন্ত মাঠে থাকবো। আমার ওপর যতই হামলা, জুলুম হোক না কেন; ভোটের মাঠ থেকে যাবো না।’ তিনি আরও বলেন, হিরো আলম ভয় পায় না ভোটাররা তা জানেন। নির্বাচন ও জনগণের সেবা করতে গেলে বুকে সাহস লাগে। আমি সাহস নিয়েই নির্বাচনী মাঠে এগিয়ে চলছি। এসময় ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে এসে ডাব প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান হিরো আলম। গতকাল শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নন্দীগ্রাম উপজেলার মুরাদপুর বাজারে ও রোববার সন্ধ্যায় কাহালু বাজারে হিরো আলমের ওপর হামলা চালানো হয়। নৌকা প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা এ হামলা চালান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (একতারা প্রতীক) হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন হিরো আলম। এরমধ্যে বগুড়া-৪ আসনে ১৪দলীয় জোটের শরিক জাসদের একেএম রেজাউল করিমের কাছে ৮৩৪ ভোটে হেরে যান। এরপর ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে আবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে আলোচনায় আসেন হিরো আলম। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এ কনটেন্ট ক্রিয়েটর।