ঢাকা ১১:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫

নির্বাচনে নাশকতা ও আতঙ্ক সৃষ্টির পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তবে…’

  • আপডেট সময় : ০১:৫৩:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ১৩৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনে নাশকতা, আতঙ্ক ও শঙ্কা সৃষ্টি করার মতো পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। তবে একটি বা দুটি রাজনৈতিক দলের আহূত এসব সমস্যা ও শঙ্কা মোকাবিলা করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনি পরিবেশ গড়ে তোলার মতো অবস্থান এবং সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার আগারগাঁও নির্বাচন ভবন মিলনায়তনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়—সেজন্য যেসব কার্যক্রম পরিচালনা করা দরকার, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর, জেলা ও আশপাশের কয়েকটি জেলার কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এটি একটি সমন্বয় সভা বলা যেতে পারে। নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ হয়, কোনও সহিংসতা যাতে না হয়, তৃতীয় পক্ষ যাতে কোনও ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে না পারে এবং সমস্যা সৃষ্টি করলে যে ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে, সে বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে।’ নির্বাচন প্রতিহত করতে বিএনপির অসহযোগ আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অন্যান্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়ে পুলিশ, অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং স্টেকহোল্ডারদের একমুখী সমস্যা থাকে—সেটা হলো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের আচরণবিধি মানতে বাধ্য করা এবং নির্বাচনে সহিংসতাপূর্ণ পরিবেশ এড়িয়ে সুষ্ঠু ভোট আয়োজন করা। এবারের জাতীয় নির্বাচনে আরেকটি অতিরিক্ত বিষয় যুক্ত হয়েছে, সেটি হচ্ছে—নাশকতা, আতঙ্ক ও শঙ্কা সৃষ্টি করার মতো পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। একটি বা দুটি রাজনৈতিক দলের আহূত কর্মসূচি সামনে রেখে পুলিশের পক্ষ থেকে আমি বলতে পারি—এসব সমস্যা ও শঙ্কাগুলো মোকাবিলা করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনি পরিবেশ গড়ে তোলার মতো অবস্থান এবং সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে।’ রেলের নাশকতার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘একটি নাশকতা নয়, একাধিক নাশকতার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে বিভিন্নভাবে জ্বালাও পোড়াও, অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন ধরনের নাশকতামূলক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এর বেশিরভাগই পুলিশ উদঘাটন করতে এবং তাদের আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে। বাকি যারা আছে তারা আইনের আওতায় চলে আসবে বলে আশা করি। এগুলো যাতে ঘটাতে না পারে, সেজন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ট্রেন ও বিভিন্ন স্থাপনার নিরাপত্তার বিষয়ে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ রয়েছে। ট্রেন ও রেললাইনের নিরাপত্তায় আনসার মোতায়েন করা হয়েছে।’ ভোটকেন্দ্রে সকালে ব্যালট পেপার পাঠানোর বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থান জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ইসির যেসব আদেশ-নির্দেশ রয়েছে, তা মেনে চলার জন্য সবাই বদ্ধপরিকর ও সেটি মানতে বাধ্য। যারা নির্বাচন কমিশনের অধীনে কাজ করছে, তারা ইসির এ সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে। ভোটের আগের দিন নির্বাচনি-সামগ্রী ভোটকেন্দ্রে পৌঁছে যাবে। কেবল ব্যালট পেপার সকালে পৌঁছানো হবে। দুর্গম, হাওর, চরাঞ্চলগুলোতে ব্যতিক্রমী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইসির সিদ্ধান্ত রয়েছে এবং সেভাবে সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমি আশা করি, এতে কোনও সমস্যা হবে না। সবার সম্মিলিত প্রয়াস থাকলে সামনে যে নির্বাচনি যুদ্ধ, সেটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পারবো।’ নির্বাচনে পুলিশের নিরপেক্ষতা প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থী ও সমর্থকরা প্রচার চালাচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত আমি বলবো, প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষতা বজায় রয়েছে এবং সেভাবে তারা কাজ করছেন। নির্বাচন কমিশন যেভাবে নির্দেশনা দেবে, সেভাবে কাজ করার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর। কোথাও কোনও সমস্যা বা সরকার বা অন্য কোনও ধরনের হস্তক্ষেপের মুখোমুখি হয়নি। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের কার্যক্রম চলছে।’ ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে—এ বিষয়ে পুলিশের পদক্ষেপ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভোট উৎসবমুখর করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও অন্যান্য যারা রয়েছেন, তারা ইতোমধ্যে অনেকখানি করতে সক্ষম হয়েছেন। নাশকতা ও চোরাগোপ্তা হামলা চালানো হচ্ছে। এ ধরনের নাশকতা উপেক্ষা ও মোকাবিলা করে পুলিশ ও জনগণ একসঙ্গে ইসির অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে সক্ষম হবে।’

 

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারানোর দুঃসহ বেদনার দিন

নির্বাচনে নাশকতা ও আতঙ্ক সৃষ্টির পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তবে…’

আপডেট সময় : ০১:৫৩:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনে নাশকতা, আতঙ্ক ও শঙ্কা সৃষ্টি করার মতো পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। তবে একটি বা দুটি রাজনৈতিক দলের আহূত এসব সমস্যা ও শঙ্কা মোকাবিলা করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনি পরিবেশ গড়ে তোলার মতো অবস্থান এবং সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ঢাকা অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার আগারগাঁও নির্বাচন ভবন মিলনায়তনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়—সেজন্য যেসব কার্যক্রম পরিচালনা করা দরকার, সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর, জেলা ও আশপাশের কয়েকটি জেলার কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এটি একটি সমন্বয় সভা বলা যেতে পারে। নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ হয়, কোনও সহিংসতা যাতে না হয়, তৃতীয় পক্ষ যাতে কোনও ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে না পারে এবং সমস্যা সৃষ্টি করলে যে ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে, সে বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়েছে।’ নির্বাচন প্রতিহত করতে বিএনপির অসহযোগ আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অন্যান্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়ে পুলিশ, অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং স্টেকহোল্ডারদের একমুখী সমস্যা থাকে—সেটা হলো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের আচরণবিধি মানতে বাধ্য করা এবং নির্বাচনে সহিংসতাপূর্ণ পরিবেশ এড়িয়ে সুষ্ঠু ভোট আয়োজন করা। এবারের জাতীয় নির্বাচনে আরেকটি অতিরিক্ত বিষয় যুক্ত হয়েছে, সেটি হচ্ছে—নাশকতা, আতঙ্ক ও শঙ্কা সৃষ্টি করার মতো পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। একটি বা দুটি রাজনৈতিক দলের আহূত কর্মসূচি সামনে রেখে পুলিশের পক্ষ থেকে আমি বলতে পারি—এসব সমস্যা ও শঙ্কাগুলো মোকাবিলা করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনি পরিবেশ গড়ে তোলার মতো অবস্থান এবং সক্ষমতা পুলিশের রয়েছে।’ রেলের নাশকতার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘একটি নাশকতা নয়, একাধিক নাশকতার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে বিভিন্নভাবে জ্বালাও পোড়াও, অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন ধরনের নাশকতামূলক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এর বেশিরভাগই পুলিশ উদঘাটন করতে এবং তাদের আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে। বাকি যারা আছে তারা আইনের আওতায় চলে আসবে বলে আশা করি। এগুলো যাতে ঘটাতে না পারে, সেজন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ট্রেন ও বিভিন্ন স্থাপনার নিরাপত্তার বিষয়ে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ রয়েছে। ট্রেন ও রেললাইনের নিরাপত্তায় আনসার মোতায়েন করা হয়েছে।’ ভোটকেন্দ্রে সকালে ব্যালট পেপার পাঠানোর বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থান জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ইসির যেসব আদেশ-নির্দেশ রয়েছে, তা মেনে চলার জন্য সবাই বদ্ধপরিকর ও সেটি মানতে বাধ্য। যারা নির্বাচন কমিশনের অধীনে কাজ করছে, তারা ইসির এ সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে। ভোটের আগের দিন নির্বাচনি-সামগ্রী ভোটকেন্দ্রে পৌঁছে যাবে। কেবল ব্যালট পেপার সকালে পৌঁছানো হবে। দুর্গম, হাওর, চরাঞ্চলগুলোতে ব্যতিক্রমী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইসির সিদ্ধান্ত রয়েছে এবং সেভাবে সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমি আশা করি, এতে কোনও সমস্যা হবে না। সবার সম্মিলিত প্রয়াস থাকলে সামনে যে নির্বাচনি যুদ্ধ, সেটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে পারবো।’ নির্বাচনে পুলিশের নিরপেক্ষতা প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থী ও সমর্থকরা প্রচার চালাচ্ছেন। এখনও পর্যন্ত আমি বলবো, প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষতা বজায় রয়েছে এবং সেভাবে তারা কাজ করছেন। নির্বাচন কমিশন যেভাবে নির্দেশনা দেবে, সেভাবে কাজ করার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর। কোথাও কোনও সমস্যা বা সরকার বা অন্য কোনও ধরনের হস্তক্ষেপের মুখোমুখি হয়নি। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের কার্যক্রম চলছে।’ ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে—এ বিষয়ে পুলিশের পদক্ষেপ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভোট উৎসবমুখর করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও অন্যান্য যারা রয়েছেন, তারা ইতোমধ্যে অনেকখানি করতে সক্ষম হয়েছেন। নাশকতা ও চোরাগোপ্তা হামলা চালানো হচ্ছে। এ ধরনের নাশকতা উপেক্ষা ও মোকাবিলা করে পুলিশ ও জনগণ একসঙ্গে ইসির অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে সক্ষম হবে।’