ঢাকা ১০:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫

নির্বাচনে অংশ নেবেন না মাহফুজ আলম

  • আপডেট সময় : ০৯:২৩:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • ৪ বার পড়া হয়েছে

মাহফুজ আলম -ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন না সাবেক তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।  সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিবিসি বাংলাকে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মাহফুজ আলম বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘আমি তো শুরু থেকেই বলে আসছি যে, নির্বাচন করবো না। এই কারণে আমি সরকার থেকে সরে যেতে চাইনি। কিন্তু সরকার মনে করেছে, ছাত্র প্রতিনিধিরা থাকলে নিরপেক্ষতা নিয়ে নির্বাচনের সময় প্রশ্ন উঠতে পারে। সেই কারণে আমি সরে গেছি। কিন্তু নির্বাচন করবো না, সেটা আমার আগে থেকেই সিদ্ধান্ত ছিল।’
লহ্মীপুর-১ আসনে মাহফুজ আলমের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছিল। এই আসনে তার ভাই ও এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম আগেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন।
এ প্রসঙ্গে মাহফুজ আলম বলেন, তিনি এনসিপির নেতা, তার নিজের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি নির্বাচন করবেন। এই বিষয়ে আমার কিছু বলার কিছু নেই’।
এর আগে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ৮টার দিকে নিজের ফেসবুক পেজে ‘আমার রাজনৈতিক অবস্থান’ শিরোনামে দেওয়া এক পোস্টে মাহফুজ লিখেছেন, নাগরিক কমিটি ও এনসিপি জুলাইয়ের সম্মুখসারির নেতৃত্বে সংগঠিত হয়েছিল। এ দুটি সংগঠনে আমার জুলাই সহযোদ্ধারা থাকায় গত দেড় বছর আমি চাহিবামাত্র তাদের পরামর্শ, নির্দেশনা এবং পলিসিগত জায়গায় সহযোগিতা করেছি। তিনি বলেন, ‘আমার অবস্থান স্পষ্ট। নতুন রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক বন্দোবস্ত, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক লড়াই, সামাজিক ফ্যাসিবাদ মোকাবিলা, রিকন্সিলিয়েশন, দায়-দরদের সমাজসহ অনেক কথাই আমি বলেছি। যেগুলো আমার জুলাই সহযোদ্ধারা উক্ত দুটি সংগঠন থেকে বারবার বলেছেন। কিন্তু, তারা এগুলো ধারণ করতেন? এনসিপিকে একটা বিগ জুলাই আম্ব্রেলা আকারে স্বতন্ত্র উপায়ে দাঁড় করানোর জন্য আমি সব চেষ্টাই করেছি। কিন্তু, অনেক কারণেই সেটা সম্ভব হয়নি।
মাহফুজ আলম বলেন, বিদ্যমান বাস্তবতায় আমার জুলাই সহযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান, স্নেহ এবং বন্ধুত্ব মুছে যাবে না। কিন্তু, আমি এ এনসিপির অংশ হচ্ছি না। আমাকে জামায়াত-এনসিপি জোট থেকে প্রস্তাব দেয়া হয়নি, এটা সত্য নয়। কিন্তু ঢাকার কোনো একটা আসনে জামায়াত-এনসিপি জোটের প্রার্থী হওয়ার চাইতে আমার লং স্ট্যান্ডিং পজিশন ধরে রাখা অধিক গুরুত্বপূর্ণ। পোস্টে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘ইতিহাসের এ চলতি পর্বে বাংলাদেশ একটা শীতল যুদ্ধে আছে। এ পর্বে কোনো পক্ষ না নিয়ে নিজেদের বক্তব্য ও নীতিতে অটল থাকাই শ্রেয়। বিকল্প তরুণ/ জুলাই শক্তির সম্ভাবনা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। বরং, আমি গত দেড় বছরে যা বলেছি, যে নীতিতে বিশ্বাস রেখেছি, তা অব্যাহত রাখব। রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক সব উপায়ে। ওভ ুড়ঁ পধৎব ঃড় লড়রহ সব, ুড়ঁ ধৎব সড়ংঃ বিষপড়সব. নতুন রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক বন্দোবস্ত সম্ভব ও বাস্তব। বিকল্প ও মধ্যপন্থি তরুণ/জুলাই শক্তির উত্থান অত্যাসন্ন।’

সানা/আপ্র/২৯/১২/২০২৫

 

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : prottashasmf@yahoo.com
আপলোডকারীর তথ্য

নির্বাচনে অংশ নেবেন না মাহফুজ আলম

আপডেট সময় : ০৯:২৩:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন না সাবেক তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।  সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিবিসি বাংলাকে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মাহফুজ আলম বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘আমি তো শুরু থেকেই বলে আসছি যে, নির্বাচন করবো না। এই কারণে আমি সরকার থেকে সরে যেতে চাইনি। কিন্তু সরকার মনে করেছে, ছাত্র প্রতিনিধিরা থাকলে নিরপেক্ষতা নিয়ে নির্বাচনের সময় প্রশ্ন উঠতে পারে। সেই কারণে আমি সরে গেছি। কিন্তু নির্বাচন করবো না, সেটা আমার আগে থেকেই সিদ্ধান্ত ছিল।’
লহ্মীপুর-১ আসনে মাহফুজ আলমের পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছিল। এই আসনে তার ভাই ও এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম আগেই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন।
এ প্রসঙ্গে মাহফুজ আলম বলেন, তিনি এনসিপির নেতা, তার নিজের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি নির্বাচন করবেন। এই বিষয়ে আমার কিছু বলার কিছু নেই’।
এর আগে রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ৮টার দিকে নিজের ফেসবুক পেজে ‘আমার রাজনৈতিক অবস্থান’ শিরোনামে দেওয়া এক পোস্টে মাহফুজ লিখেছেন, নাগরিক কমিটি ও এনসিপি জুলাইয়ের সম্মুখসারির নেতৃত্বে সংগঠিত হয়েছিল। এ দুটি সংগঠনে আমার জুলাই সহযোদ্ধারা থাকায় গত দেড় বছর আমি চাহিবামাত্র তাদের পরামর্শ, নির্দেশনা এবং পলিসিগত জায়গায় সহযোগিতা করেছি। তিনি বলেন, ‘আমার অবস্থান স্পষ্ট। নতুন রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক বন্দোবস্ত, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক লড়াই, সামাজিক ফ্যাসিবাদ মোকাবিলা, রিকন্সিলিয়েশন, দায়-দরদের সমাজসহ অনেক কথাই আমি বলেছি। যেগুলো আমার জুলাই সহযোদ্ধারা উক্ত দুটি সংগঠন থেকে বারবার বলেছেন। কিন্তু, তারা এগুলো ধারণ করতেন? এনসিপিকে একটা বিগ জুলাই আম্ব্রেলা আকারে স্বতন্ত্র উপায়ে দাঁড় করানোর জন্য আমি সব চেষ্টাই করেছি। কিন্তু, অনেক কারণেই সেটা সম্ভব হয়নি।
মাহফুজ আলম বলেন, বিদ্যমান বাস্তবতায় আমার জুলাই সহযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান, স্নেহ এবং বন্ধুত্ব মুছে যাবে না। কিন্তু, আমি এ এনসিপির অংশ হচ্ছি না। আমাকে জামায়াত-এনসিপি জোট থেকে প্রস্তাব দেয়া হয়নি, এটা সত্য নয়। কিন্তু ঢাকার কোনো একটা আসনে জামায়াত-এনসিপি জোটের প্রার্থী হওয়ার চাইতে আমার লং স্ট্যান্ডিং পজিশন ধরে রাখা অধিক গুরুত্বপূর্ণ। পোস্টে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘ইতিহাসের এ চলতি পর্বে বাংলাদেশ একটা শীতল যুদ্ধে আছে। এ পর্বে কোনো পক্ষ না নিয়ে নিজেদের বক্তব্য ও নীতিতে অটল থাকাই শ্রেয়। বিকল্প তরুণ/ জুলাই শক্তির সম্ভাবনা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। বরং, আমি গত দেড় বছরে যা বলেছি, যে নীতিতে বিশ্বাস রেখেছি, তা অব্যাহত রাখব। রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক সব উপায়ে। ওভ ুড়ঁ পধৎব ঃড় লড়রহ সব, ুড়ঁ ধৎব সড়ংঃ বিষপড়সব. নতুন রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক বন্দোবস্ত সম্ভব ও বাস্তব। বিকল্প ও মধ্যপন্থি তরুণ/জুলাই শক্তির উত্থান অত্যাসন্ন।’

সানা/আপ্র/২৯/১২/২০২৫