ঢাকা ১২:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

নির্বাচনের রোডম্যাপ অনুমোদন, বৃহস্পতিবার প্রকাশ

  • আপডেট সময় : ০৯:১৪:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫
  • ২২ বার পড়া হয়েছে

বুধবার নির্বাচন কমিশন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে কথা বলেন ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ - ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন; এখন কেবল আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
বুধবার (২৭ আগস্ট) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন এবং চার নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ও ইসি সচিব আখতার আহমেদ এ নিয়ে বৈঠক করেছেন।

বেলা ১ টায় সিইসির কক্ষ থেকে বের হয়ে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, কর্মপরিকল্পনার সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে গেছে। অনুমোদন হয়েছে, এখন শুধু টাইপিং চলছে। সংসদীয় আসনের সীমানা সংক্রান্ত শুনানি শেষ হচ্ছেও এদিন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, আমরা ব্রিফিংয়ে আসব। তখন সীমানার শুনানির বিষয়টির পাশাপাশি এ বিষয়টিও দেখা যাবে। এদিকে চূড়ান্ত রোডম্যাপ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
বুধবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে মিডিয়া সেন্টারে এসব কথা বলেন সচিব। কবে রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সচিব বলেন, আপনারা অপেক্ষা করেন কালকে রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা’ নিয়ে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি কর্মকর্তা বৈঠকে বসেছিলেন। ওইদিন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছিলেন, বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা ও বাস্তবায়নসূচির বিষয়ে ব্রিফ করা হবে।
ভোট প্রস্তুতির বিষয়ে ইসির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে দল নিবন্ধন, সীমানা নির্ধারণ, নির্বাচন পযবেক্ষক, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)সংস্কার, বিধিমালা ও নীতিমালা জারি, প্রবাসীদের জন্য আইটি সাপোর্টেড নিবন্ধন ও পোস্টাল ব্যালট পদ্ধতি, নির্বাচনী সরঞ্জাম কেনাকাটা বিষয়গুলো তুলে ধরা হয় রোডম্যাপে। গেল ৫ আগস্ট জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন। পরদিন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারও বলেছেন, ভোটের তারিখের প্রায় দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচন কমিশন সভায় আলোচনা শেষে জানানো হয়, ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল দেবে ইসি। তফসিল সামনে রেখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরে রোডম্যাপ ঘোষণা করার কথা বলেছিলেন ইসি সচিব।

এবারের রোডম্যাপে কী থাকছে, সেই ধারণ দিতে গিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, তারা অক্টোবরের মধ্যে ‘মূল প্রস্তুতি’ সেরে ফেলতে চান। এ সময়সীমার মধ্যে সীমানা পুনর্র্নিধারণ, দল নিবন্ধন, পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংস্কার, আচরণবিধিমালা জারি ও ভোটার তালিকার মতো বিষয় চূড়ান্ত করে ফেলার কথা রোডম্যাপে তুলে ধরা হবে। এছাড়া রোডম্যাপের মধ্যে সংলাপ, মত বিনিময়, মিটিং, ব্রিফিং, প্রশিক্ষণ, মুদ্রণ, বাজেট বরাদ্দ, আইটি ভিত্তিক প্রস্তুতি, প্রচারণা, সমন্বয় সেল, আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক থেকে যাবতীয় কর্মপরিকল্পনা মাথায় রেখে উল্লেখযোগ্য খাত ও বাস্তবায়নসূচি রয়েছে।

রোডম্যাপের ধারাবাহিকতা: নির্বাচন কমিশন প্রাক-নির্বাচন ও তফসিল পূর্ববর্তী ‘প্রাথমিক কর্মপরিকল্পনা’ এবং তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন পরিচালনার জন্য ‘কর্মপরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সূচি’ সংক্রান্ত করণীয় কাজের তালিকা তৈরি করে কাজের সুবিধার জন্য। ২০০৭-২০০৮ সালে প্রথমবারের মত রোডম্যাপ ঘোষণা করে তৎকালীন ইসি। ২০০৭ সালের ১৫ জুলাই দেড় বছরের রোডম্যাপ দেওয়া হয়, সেখানে ২০০৮ সালে অক্টোবর-ডিসেম্বরে তফসিল ও ভোটের সময়সূচি ধরা হয়। ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন শুরু হয়। আইন-বিধি সংস্কার, দল নিবন্ধনের পর সেই ভোটার তালিকা দিয়ে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন হয়। পরবর্তী সময়ে বিষয়টি রোডম্যাপ বা অ্যাকশনপ্ল্যান বা কর্মপরিকল্পনা বা চেক লিস্ট (করণীয় কাজের তালিকা) নামে পরিচিতি পায়। দশম সংসদ নির্বাচনের দুই বছর আগে রোডম্যাপ ঠিক করে তৎকালীন ইসি। একাদশ সংসদ ২০১৮ সালে অক্টোবরের মাঝামাঝি ভোটের কর্মপরিকল্পনা ও বাস্তবায়নসূচি অনুমোদন করে তৎকালীন কমিশন। সবশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ‘কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ’ অনুষ্ঠান করে তখনকার ইসি।

এসি/আপ্র/২৭/৮/২০২৫
সানা/আপ্র/২৭/৮/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচনের রোডম্যাপ অনুমোদন, বৃহস্পতিবার প্রকাশ

আপডেট সময় : ০৯:১৪:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন; এখন কেবল আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
বুধবার (২৭ আগস্ট) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন এবং চার নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ ও ইসি সচিব আখতার আহমেদ এ নিয়ে বৈঠক করেছেন।

বেলা ১ টায় সিইসির কক্ষ থেকে বের হয়ে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, কর্মপরিকল্পনার সবকিছু চূড়ান্ত হয়ে গেছে। অনুমোদন হয়েছে, এখন শুধু টাইপিং চলছে। সংসদীয় আসনের সীমানা সংক্রান্ত শুনানি শেষ হচ্ছেও এদিন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, আমরা ব্রিফিংয়ে আসব। তখন সীমানার শুনানির বিষয়টির পাশাপাশি এ বিষয়টিও দেখা যাবে। এদিকে চূড়ান্ত রোডম্যাপ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
বুধবার (২৭ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে মিডিয়া সেন্টারে এসব কথা বলেন সচিব। কবে রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সচিব বলেন, আপনারা অপেক্ষা করেন কালকে রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা’ নিয়ে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি কর্মকর্তা বৈঠকে বসেছিলেন। ওইদিন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছিলেন, বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা ও বাস্তবায়নসূচির বিষয়ে ব্রিফ করা হবে।
ভোট প্রস্তুতির বিষয়ে ইসির পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে দল নিবন্ধন, সীমানা নির্ধারণ, নির্বাচন পযবেক্ষক, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)সংস্কার, বিধিমালা ও নীতিমালা জারি, প্রবাসীদের জন্য আইটি সাপোর্টেড নিবন্ধন ও পোস্টাল ব্যালট পদ্ধতি, নির্বাচনী সরঞ্জাম কেনাকাটা বিষয়গুলো তুলে ধরা হয় রোডম্যাপে। গেল ৫ আগস্ট জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন। পরদিন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারও বলেছেন, ভোটের তারিখের প্রায় দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচন কমিশন সভায় আলোচনা শেষে জানানো হয়, ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল দেবে ইসি। তফসিল সামনে রেখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরে রোডম্যাপ ঘোষণা করার কথা বলেছিলেন ইসি সচিব।

এবারের রোডম্যাপে কী থাকছে, সেই ধারণ দিতে গিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, তারা অক্টোবরের মধ্যে ‘মূল প্রস্তুতি’ সেরে ফেলতে চান। এ সময়সীমার মধ্যে সীমানা পুনর্র্নিধারণ, দল নিবন্ধন, পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংস্কার, আচরণবিধিমালা জারি ও ভোটার তালিকার মতো বিষয় চূড়ান্ত করে ফেলার কথা রোডম্যাপে তুলে ধরা হবে। এছাড়া রোডম্যাপের মধ্যে সংলাপ, মত বিনিময়, মিটিং, ব্রিফিং, প্রশিক্ষণ, মুদ্রণ, বাজেট বরাদ্দ, আইটি ভিত্তিক প্রস্তুতি, প্রচারণা, সমন্বয় সেল, আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক থেকে যাবতীয় কর্মপরিকল্পনা মাথায় রেখে উল্লেখযোগ্য খাত ও বাস্তবায়নসূচি রয়েছে।

রোডম্যাপের ধারাবাহিকতা: নির্বাচন কমিশন প্রাক-নির্বাচন ও তফসিল পূর্ববর্তী ‘প্রাথমিক কর্মপরিকল্পনা’ এবং তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন পরিচালনার জন্য ‘কর্মপরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সূচি’ সংক্রান্ত করণীয় কাজের তালিকা তৈরি করে কাজের সুবিধার জন্য। ২০০৭-২০০৮ সালে প্রথমবারের মত রোডম্যাপ ঘোষণা করে তৎকালীন ইসি। ২০০৭ সালের ১৫ জুলাই দেড় বছরের রোডম্যাপ দেওয়া হয়, সেখানে ২০০৮ সালে অক্টোবর-ডিসেম্বরে তফসিল ও ভোটের সময়সূচি ধরা হয়। ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন শুরু হয়। আইন-বিধি সংস্কার, দল নিবন্ধনের পর সেই ভোটার তালিকা দিয়ে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচন হয়। পরবর্তী সময়ে বিষয়টি রোডম্যাপ বা অ্যাকশনপ্ল্যান বা কর্মপরিকল্পনা বা চেক লিস্ট (করণীয় কাজের তালিকা) নামে পরিচিতি পায়। দশম সংসদ নির্বাচনের দুই বছর আগে রোডম্যাপ ঠিক করে তৎকালীন ইসি। একাদশ সংসদ ২০১৮ সালে অক্টোবরের মাঝামাঝি ভোটের কর্মপরিকল্পনা ও বাস্তবায়নসূচি অনুমোদন করে তৎকালীন কমিশন। সবশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে ‘কর্মপরিকল্পনা প্রকাশ’ অনুষ্ঠান করে তখনকার ইসি।

এসি/আপ্র/২৭/৮/২০২৫
সানা/আপ্র/২৭/৮/২০২৫