ঢাকা ০৫:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

নির্বাচনী প্রচারণায় বিড়ি-সিগারেট বিলি নিষিদ্ধ করতে হবে

  • আপডেট সময় : ০১:৫৬:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩
  • ৯০ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনতে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় বিড়ি-সিগারেট ব্যবহার নিষিদ্ধ করা উচিত বলে মনে সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত। তিনি বলেন, ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের পাশাপাশি ব্যাপক গণসচেতনতা ও মোটিভেশন দিয়ে তামাকের বহুল ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে।’
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ‘উন্নয়ন সমন্বয়’-এর আয়োজনে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও সমসাময়িক ভাবনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু। এতে সম্মানিত অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ, অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, মো. সাহিদুজ্জামান ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য শামসুন নাহার। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামসুল হক টুকু বলেন, প্রস্তাবিত সংশোধনীর মাধ্যমে দেশের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন আন্তর্জাতিক মানে উন্নিত হবে। এর মাধ্যমে যারা ধূমপান করছেন না, তাদের পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেওয়া এবং কিশোর-তরুণদের ধূমপান থেকে বিরত রাখা সম্ভব হবে। স্বার্থান্বেষী মহল তামাক আইনে অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে বলে অপপ্রচার করছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। তিনি বলেন, এ সংশোধনী বাস্তবায়িত হলে জনস্বাস্থ্যের ওপর যে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে, তার সুফল পাবে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি। সংসদ সদস্য শামসুন নাহার বলেন, শ্রমজীবী মানুষদের বড় অংশ ধূমপান করে থাকেন। এতে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করা হলে শ্রমজীবী মানুষ তামাক ছাড়তে উদ্ধুব্ধ হবেন। ফলে তাদের অর্থনৈতিক সাশ্রয়ও হবে। সভায় অন্য আলোচকরা বলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের যে ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন, তার ধারাবাহিকতায় ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য (ব্যবহার) নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ সংশোধনের খসড়া প্রস্তুত করেছে মন্ত্রণালয়। জনগণের দিক থেকে এ খসড়া বিষয়ে যে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে, তার প্রেক্ষিতে যত দ্রুত সম্ভব আইনটি সংশোধনের বিষয়ে নীতি-নির্ধারকরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে বিভিন্ন তামাকবিরোধী নাগরিক সংগঠনের পক্ষ থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া দ্রুততর করার আহ্বান জানানো হয়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নির্বাচনী প্রচারণায় বিড়ি-সিগারেট বিলি নিষিদ্ধ করতে হবে

আপডেট সময় : ০১:৫৬:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনতে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় বিড়ি-সিগারেট ব্যবহার নিষিদ্ধ করা উচিত বলে মনে সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত। তিনি বলেন, ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের পাশাপাশি ব্যাপক গণসচেতনতা ও মোটিভেশন দিয়ে তামাকের বহুল ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে।’
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ‘উন্নয়ন সমন্বয়’-এর আয়োজনে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও সমসাময়িক ভাবনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু। এতে সম্মানিত অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ, অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, মো. সাহিদুজ্জামান ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য শামসুন নাহার। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামসুল হক টুকু বলেন, প্রস্তাবিত সংশোধনীর মাধ্যমে দেশের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন আন্তর্জাতিক মানে উন্নিত হবে। এর মাধ্যমে যারা ধূমপান করছেন না, তাদের পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেওয়া এবং কিশোর-তরুণদের ধূমপান থেকে বিরত রাখা সম্ভব হবে। স্বার্থান্বেষী মহল তামাক আইনে অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে বলে অপপ্রচার করছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। তিনি বলেন, এ সংশোধনী বাস্তবায়িত হলে জনস্বাস্থ্যের ওপর যে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে, তার সুফল পাবে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি। সংসদ সদস্য শামসুন নাহার বলেন, শ্রমজীবী মানুষদের বড় অংশ ধূমপান করে থাকেন। এতে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করা হলে শ্রমজীবী মানুষ তামাক ছাড়তে উদ্ধুব্ধ হবেন। ফলে তাদের অর্থনৈতিক সাশ্রয়ও হবে। সভায় অন্য আলোচকরা বলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের যে ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন, তার ধারাবাহিকতায় ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য (ব্যবহার) নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ সংশোধনের খসড়া প্রস্তুত করেছে মন্ত্রণালয়। জনগণের দিক থেকে এ খসড়া বিষয়ে যে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে, তার প্রেক্ষিতে যত দ্রুত সম্ভব আইনটি সংশোধনের বিষয়ে নীতি-নির্ধারকরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে বিভিন্ন তামাকবিরোধী নাগরিক সংগঠনের পক্ষ থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া দ্রুততর করার আহ্বান জানানো হয়।