ঢাকা ০১:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নির্বাচকদের সঙ্গে দুই দফায় আলোচনার পর সময় নিলেন তামিম

  • আপডেট সময় : ০৭:৫০:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৩১ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক: বিপিএলের অনুশীলনে দলগুলোর ঠিকানা সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। কিন্তু তাতে বুধবার আগ্রহ একদমই কম। সবার চোখ স্টেডিয়াম থেকে মিনিট দশেক দূরত্বের গ্র্যান্ড সিলেট হোটেল। এখানেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার বিষয়ে তামিম ইকবালের সঙ্গে দুই বৈঠকে বসেন নির্বাচকরা। তামিমের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল অনেকদিন। তবে তাকে যে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দলে চান নির্বাচকরা, তাই স্পষ্ট হয় এই বৈঠকের মাধ্যমে।

কিন্তু তামিম কি ফিরবেন? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য দিতে পারেননি প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। বিকেলে ওই বৈঠকশেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল ঘোষণার শেষ সময় ১২ জানুয়ারি। এজন্য তামিমকে কিছুদিন সময় দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘আগেই হয়তো তামিমের সঙ্গে আমাদের আরেকটু আলোচনা হতে পারতো।

যাই হোক, সামনে আমাদের একটা বড় ইভেন্ট আছে। আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কোনো আলোচনাতেই সঙ্গে সঙ্গে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় না। কারণ এটা অনেক বড় একটা সিদ্ধান্ত। ’
‘তার ঘনিষ্ঠজন, পরিবার, বন্ধু-বান্ধব অনেক সময়, কিংবা তার প্রিয় কোচ অথবা শুভাকাঙ্ক্ষী তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার একটা ব্যাপার থাকে। সেক্ষেত্রে একটু সময় নেওয়ার তো ব্যাপার এসেই যায়। আমাদের যেহেতু ১২ জানুয়ারির মধ্যে দল ঘোষণা করতে হবে, তার আগেই আমাদেরকে দলটা দিতে হবে বোর্ডের কাছে।

আমাদের কাছে মনে হয়েছে সময় আছে, সে সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিক। তাড়াহুড়োর কিছু নেই। ’
প্রায় দেড় বছর মতো সময় ধরে জাতীয় দলের বাইরে তামিম। কিছুদিন আগে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদির সঙ্গে আড্ডায় জানিয়েছিলেন, জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি। বেশ কিছু সাক্ষাৎকারেও তামিম জানিয়েছিলেন, জাতীয় দলে আর ফেরার আগ্রহ নেই। এখন তামিম কি ওই সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরও সরাসরি দেননি প্রধান নির্বাচক। তার চাওয়া, কিছু জানানোর থাকলে সেটা যেন তামিমই জানান।

লিপু বলেন, ‘তামিম কী করতে চান, সে ব্যাপারে তিনি আগে থেকেই ভেবে রেখেছেন আমার বিশ্বাস। এত বড় খেলোয়াড়। তারপরও কোন একটা কিছুর ক্ষেত্রে কিছু কিছু সময় সংশয় সৃষ্টি হয় তখন পরিবার থেকে, পরিবারকে কে না সম্মান করে! প্রত্যেকেই করে। কাজেই কোন একটা বিষয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষেত্রে পরিবারের কাছ থেকে একটা মতামতের বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়। ’ ‘আমি যদি স্টেটমেন্ট দেই, এটা একটা ঘোষণার মতো হয়ে যাবে তামিমের পক্ষে।

আমি ব্যক্তিগতভাবে চাইবো এ ঘটনাটা, ফেরত আসা অথবা না আসা; আপনারা যে দোদুল্যমান অবস্থায় আছেন; সেটা তামিম ইকবালের কাছ থেকেই আসুক। তিনি যেহেতু তার পরিবারের কাছ থেকে দূরে আছেন, সিলেটে আছেন, চট্টগ্রামে তার পরিবার থাকে; তো সে কারণেই আমার মনে হয় যে এটা ফেয়ার কল। ’

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

আর্থিক খাতের ‘ডাকাতি’ খতিয়ে দেখতে প্রতিনিধি পাঠানোর আহ্বান :ড. ইউনূস

নির্বাচকদের সঙ্গে দুই দফায় আলোচনার পর সময় নিলেন তামিম

আপডেট সময় : ০৭:৫০:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫

ক্রীড়া ডেস্ক: বিপিএলের অনুশীলনে দলগুলোর ঠিকানা সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। কিন্তু তাতে বুধবার আগ্রহ একদমই কম। সবার চোখ স্টেডিয়াম থেকে মিনিট দশেক দূরত্বের গ্র্যান্ড সিলেট হোটেল। এখানেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার বিষয়ে তামিম ইকবালের সঙ্গে দুই বৈঠকে বসেন নির্বাচকরা। তামিমের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল অনেকদিন। তবে তাকে যে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দলে চান নির্বাচকরা, তাই স্পষ্ট হয় এই বৈঠকের মাধ্যমে।

কিন্তু তামিম কি ফিরবেন? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য দিতে পারেননি প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। বিকেলে ওই বৈঠকশেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল ঘোষণার শেষ সময় ১২ জানুয়ারি। এজন্য তামিমকে কিছুদিন সময় দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘আগেই হয়তো তামিমের সঙ্গে আমাদের আরেকটু আলোচনা হতে পারতো।

যাই হোক, সামনে আমাদের একটা বড় ইভেন্ট আছে। আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কোনো আলোচনাতেই সঙ্গে সঙ্গে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় না। কারণ এটা অনেক বড় একটা সিদ্ধান্ত। ’
‘তার ঘনিষ্ঠজন, পরিবার, বন্ধু-বান্ধব অনেক সময়, কিংবা তার প্রিয় কোচ অথবা শুভাকাঙ্ক্ষী তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার একটা ব্যাপার থাকে। সেক্ষেত্রে একটু সময় নেওয়ার তো ব্যাপার এসেই যায়। আমাদের যেহেতু ১২ জানুয়ারির মধ্যে দল ঘোষণা করতে হবে, তার আগেই আমাদেরকে দলটা দিতে হবে বোর্ডের কাছে।

আমাদের কাছে মনে হয়েছে সময় আছে, সে সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিক। তাড়াহুড়োর কিছু নেই। ’
প্রায় দেড় বছর মতো সময় ধরে জাতীয় দলের বাইরে তামিম। কিছুদিন আগে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদির সঙ্গে আড্ডায় জানিয়েছিলেন, জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি। বেশ কিছু সাক্ষাৎকারেও তামিম জানিয়েছিলেন, জাতীয় দলে আর ফেরার আগ্রহ নেই। এখন তামিম কি ওই সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরও সরাসরি দেননি প্রধান নির্বাচক। তার চাওয়া, কিছু জানানোর থাকলে সেটা যেন তামিমই জানান।

লিপু বলেন, ‘তামিম কী করতে চান, সে ব্যাপারে তিনি আগে থেকেই ভেবে রেখেছেন আমার বিশ্বাস। এত বড় খেলোয়াড়। তারপরও কোন একটা কিছুর ক্ষেত্রে কিছু কিছু সময় সংশয় সৃষ্টি হয় তখন পরিবার থেকে, পরিবারকে কে না সম্মান করে! প্রত্যেকেই করে। কাজেই কোন একটা বিষয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষেত্রে পরিবারের কাছ থেকে একটা মতামতের বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়। ’ ‘আমি যদি স্টেটমেন্ট দেই, এটা একটা ঘোষণার মতো হয়ে যাবে তামিমের পক্ষে।

আমি ব্যক্তিগতভাবে চাইবো এ ঘটনাটা, ফেরত আসা অথবা না আসা; আপনারা যে দোদুল্যমান অবস্থায় আছেন; সেটা তামিম ইকবালের কাছ থেকেই আসুক। তিনি যেহেতু তার পরিবারের কাছ থেকে দূরে আছেন, সিলেটে আছেন, চট্টগ্রামে তার পরিবার থাকে; তো সে কারণেই আমার মনে হয় যে এটা ফেয়ার কল। ’