ঢাকা ০৯:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

নির্দেশ পেলেই সংসদ থেকে পদত্যাগ করবেন বিএনপির এমপিরা

  • আপডেট সময় : ০৮:৫৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২২
  • ৬৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধি, মানুষের ভোগান্তি ও কষ্ট এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচনসহ নানান ইস্যুতে কয়েক মাস ধরে জোরে শোরেই আন্দোলন করে যাচ্ছে বিএনপি। জাতীয় সংসদে দলটির সদস্য সংখ্যা কম থাকায় অনেক ইস্যুতে কার্যকর ভূমিকাও রাখতে পারছেন না দলের সংসদ সদস্যরা। এ ছাড়া সরকারকে অবৈধ বলে আবার সংসদে নিজেদের উপস্থিতি- বিএনপির প্রতি মানুষের আস্থার সংকট তৈরি করেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করবেন বলে কয়েকদিন ধরে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। একজন সংসদ সদস্য বলেছেন, তারা দলের হাইকমান্ডের নির্দেশের অপেক্ষায় আছেন। নির্দেশ আসা মাত্র এক মিনিটও দেরি না করে একযোগে সংসদ থেকে পদত্যাগ করবেন। এদিকে গাইবান্ধার উপ-নির্বাচনে ভোট বন্ধ করাকে নির্বাচন কমিশনের কৌশল হিসেবে দেখছে দলটি। দলের নেতারা মনে করেন, ইসি বিএনপিকে আস্থায় আনতে তড়িঘড়ি করে এমনটি করে থাকতে পারে।
অন্যদিকে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলেও দলের নেতারা এখনো মনে করেন, সময়মতো একটা না একটা উপায় বের হবেই। সেক্ষেত্রে নির্বাচনের সময় চেয়ারপারসনের ভূমিকা কী হবে তাও মাথায় রেখেছেন দলের শীর্ষ নেতারা। এ ছাড়া চলমান আন্দোলনে দলের চেয়ারপারসনকে জনসম্মুখে কিভাবে আনা যায় তা নিয়েও কৌশল খুঁজছে দলের শীর্ষ মহল।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ বলেন, গাইবান্ধা নির্বাচনে স্পষ্ট বুঝা গেছে, স্থানীয় প্রশাসন এত বেশি শক্তিশালী যে, তারা নির্বাচন কমিশনকেও তোয়াক্কা করে না। যা ইতোমধ্যে দেশবাসী দেখতে পেয়েছে। এই উপনির্বাচন বন্ধ করে দেয়ায় এটা প্রমাণিত হয় না যে, ভবিষ্যৎতে তারা স্বচ্ছ নির্বাচন করতে পারবে।’
‘বিএনপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলে দেশ-বিদেশে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না’ জানিয়ে তিনি বলেন, মূলত বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে এটা হয়তো নির্বাচন কমিশন কিংবা সরকারের পক্ষ থেকে একটা সাজানো কৌশল। তাছাড়া সেখানে নৌকার প্রার্থী হারছিলেন টের পেয়েই নির্বাচন বন্ধ করে দিয়েছে কমিশন। আমার বক্তব্য স্পষ্ট, গাইবান্ধার নির্বাচন কোনভাবেই ভবিষ্যতের কোনো প্রতিফলন নয়।’
এক উপনির্বাচনেই ইসির লেজেগোবরে অবস্থা- জাতীয় নির্বাচন এই ইসি কিভাবে সামাল দেবে এই প্রশ্ন তুলে বিএনপির এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘একটি আসনের উপনির্বাচনে সিসিটিভি দেখে পদক্ষেপ নিয়েছেন। কিন্তু একদিনে ৩০০ আসনের ভোট গ্রহণ কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন আপনারা? গাইবান্ধায় কী নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ছিলেন না? আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ছিলেন না? অবশ্যই ছিলেন।’
নির্বাচনে ভোটগ্রহণে এতএত মানুষ থাকা স্বত্বেও এমনটি ঘটল কিভাবে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমেই নির্বাচন কমিশনের অদক্ষতা এবং ফেইলিওর প্রমাণ করে।’
সামনের নির্বাচনের প্রেক্ষাপট ভিন্ন জানিয়ে তিনি বলেন, একটা উপনির্বাচনে যদি আওয়ামী লীগ হারেও তাতে কিন্তু সরকার পরিবর্তন হচ্ছে না। কিন্তু আগামী জাতীয় নির্বাচনে যদি সুষ্ঠু ভোট হয় তাহলে সরকার পরিবর্তনের একটা সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে সামনে নির্বাচনের প্রেক্ষাপট একেবারেই ভিন্ন। সুতরাং গাইবান্ধার নির্বাচনের সঙ্গে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে মেলানো উচিত নয়।’
খালেদা জিয়া আজ পর্যন্ত কোনো নির্বাচনে হারেননি জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তার কাছে টিকতে না পেরে তার নামে প্রতিহিংসার মামলা করে প্রহসনের রায় দেয়া হয়েছে। যাতে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পারেন। এটা আওয়ামী লীগের পুরনো অভ্যাস। খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ না নিতে পারলেও জামিনে মুক্ত থাকলে অবশ্যই তিনি দেশবাসীর সামনে আসবেন। আশা করছি এতে কোনো বাধা নেই।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের একটা দুরভিসন্ধি এবং ষড়যন্ত্র হল- খালেদা জিয়াকে রাজনীতি এবং মানুষের কাছ থেকে দূরে রাখা। এতে তাদের সুবিধা হয়। বেগম খালেদা জিয়া যাতে কোনোভাবেই নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন সে জন্য সব চেষ্টাই করে যাচ্ছে সরকার। জেলখানায় আটকের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার শেষ চেষ্টা চালায় তারা।
এদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে বর্তমান সরকারকে অবৈধ সরকার বলে অভিযোগ করে আসলেও দলটির ৬ জন এমপি এখনো এই সংসদে দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন। তাহলে তারা কোন মুখে সরকারকে অবৈধ সরকার বলছেন- এমন অভিযোগ সামনে আসায় বিএনপির দলীয় সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে শ্যামা ওবায়েদ বলেন, ‘সংসদে আমাদের মাত্র অল্প কয়জন সদস্য। তারা পদত্যাগ করবে কিনা এটা দলীয় সিদ্ধান্ত। দল সিদ্ধান্ত দিলে সদস্যরা অবশ্যই তা পালন করবে।’
‘নির্বাচনের আগে বিএনপির সংসদ সদস্যরা সংসদ থেকে পদত্যাগ করবেন কিনা এমন প্রশ্নে বিএনপি নেতা ও সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য রয়েছে। হাই কমান্ড যখনই এমপিদের পদত্যাগ করতে সিদ্ধান্ত দেবে, এক মুহূর্তও দেরি না করে আমরা পদত্যাগ করব। এতে কোনো সন্দেহ নেই।’
দল থেকে এখনো এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি জানিয়ে বগুড়া-৪ আসনের এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘নির্বাচনের পূর্বমুহূর্ত কিংবা দল যখন সিদ্ধান্ত নেবে ঠিক তখনই সংসদ থেকে আমরা একযোগে পদত্যাগ করব।’
জনগণের ন্যায্য অধিকার আদায়ে আন্দোলন চলছে জানিয়ে মোশারফ হোসেন বলেন, সরকার বিরোধিতার চেয়েও দ্রব্যমূল্য কমিয়ে এনে তা মানুষের ক্রয়সীমায় আনার জন্য বিএনপি আন্দোলন করছে। এছাড়া রাতে নয়, মানুষ যেন দিনের ভোট দিনেই দিতে পারে সে জন্যও আন্দোলন করছে আমাদের দল।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নির্দেশ পেলেই সংসদ থেকে পদত্যাগ করবেন বিএনপির এমপিরা

আপডেট সময় : ০৮:৫৭:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধি, মানুষের ভোগান্তি ও কষ্ট এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচনসহ নানান ইস্যুতে কয়েক মাস ধরে জোরে শোরেই আন্দোলন করে যাচ্ছে বিএনপি। জাতীয় সংসদে দলটির সদস্য সংখ্যা কম থাকায় অনেক ইস্যুতে কার্যকর ভূমিকাও রাখতে পারছেন না দলের সংসদ সদস্যরা। এ ছাড়া সরকারকে অবৈধ বলে আবার সংসদে নিজেদের উপস্থিতি- বিএনপির প্রতি মানুষের আস্থার সংকট তৈরি করেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করবেন বলে কয়েকদিন ধরে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। একজন সংসদ সদস্য বলেছেন, তারা দলের হাইকমান্ডের নির্দেশের অপেক্ষায় আছেন। নির্দেশ আসা মাত্র এক মিনিটও দেরি না করে একযোগে সংসদ থেকে পদত্যাগ করবেন। এদিকে গাইবান্ধার উপ-নির্বাচনে ভোট বন্ধ করাকে নির্বাচন কমিশনের কৌশল হিসেবে দেখছে দলটি। দলের নেতারা মনে করেন, ইসি বিএনপিকে আস্থায় আনতে তড়িঘড়ি করে এমনটি করে থাকতে পারে।
অন্যদিকে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় নির্বাচনে অংশ নিতে না পারলেও দলের নেতারা এখনো মনে করেন, সময়মতো একটা না একটা উপায় বের হবেই। সেক্ষেত্রে নির্বাচনের সময় চেয়ারপারসনের ভূমিকা কী হবে তাও মাথায় রেখেছেন দলের শীর্ষ নেতারা। এ ছাড়া চলমান আন্দোলনে দলের চেয়ারপারসনকে জনসম্মুখে কিভাবে আনা যায় তা নিয়েও কৌশল খুঁজছে দলের শীর্ষ মহল।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ বলেন, গাইবান্ধা নির্বাচনে স্পষ্ট বুঝা গেছে, স্থানীয় প্রশাসন এত বেশি শক্তিশালী যে, তারা নির্বাচন কমিশনকেও তোয়াক্কা করে না। যা ইতোমধ্যে দেশবাসী দেখতে পেয়েছে। এই উপনির্বাচন বন্ধ করে দেয়ায় এটা প্রমাণিত হয় না যে, ভবিষ্যৎতে তারা স্বচ্ছ নির্বাচন করতে পারবে।’
‘বিএনপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলে দেশ-বিদেশে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না’ জানিয়ে তিনি বলেন, মূলত বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে এটা হয়তো নির্বাচন কমিশন কিংবা সরকারের পক্ষ থেকে একটা সাজানো কৌশল। তাছাড়া সেখানে নৌকার প্রার্থী হারছিলেন টের পেয়েই নির্বাচন বন্ধ করে দিয়েছে কমিশন। আমার বক্তব্য স্পষ্ট, গাইবান্ধার নির্বাচন কোনভাবেই ভবিষ্যতের কোনো প্রতিফলন নয়।’
এক উপনির্বাচনেই ইসির লেজেগোবরে অবস্থা- জাতীয় নির্বাচন এই ইসি কিভাবে সামাল দেবে এই প্রশ্ন তুলে বিএনপির এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘একটি আসনের উপনির্বাচনে সিসিটিভি দেখে পদক্ষেপ নিয়েছেন। কিন্তু একদিনে ৩০০ আসনের ভোট গ্রহণ কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন আপনারা? গাইবান্ধায় কী নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ছিলেন না? আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ছিলেন না? অবশ্যই ছিলেন।’
নির্বাচনে ভোটগ্রহণে এতএত মানুষ থাকা স্বত্বেও এমনটি ঘটল কিভাবে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমেই নির্বাচন কমিশনের অদক্ষতা এবং ফেইলিওর প্রমাণ করে।’
সামনের নির্বাচনের প্রেক্ষাপট ভিন্ন জানিয়ে তিনি বলেন, একটা উপনির্বাচনে যদি আওয়ামী লীগ হারেও তাতে কিন্তু সরকার পরিবর্তন হচ্ছে না। কিন্তু আগামী জাতীয় নির্বাচনে যদি সুষ্ঠু ভোট হয় তাহলে সরকার পরিবর্তনের একটা সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে সামনে নির্বাচনের প্রেক্ষাপট একেবারেই ভিন্ন। সুতরাং গাইবান্ধার নির্বাচনের সঙ্গে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে মেলানো উচিত নয়।’
খালেদা জিয়া আজ পর্যন্ত কোনো নির্বাচনে হারেননি জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তার কাছে টিকতে না পেরে তার নামে প্রতিহিংসার মামলা করে প্রহসনের রায় দেয়া হয়েছে। যাতে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হতে না পারেন। এটা আওয়ামী লীগের পুরনো অভ্যাস। খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ না নিতে পারলেও জামিনে মুক্ত থাকলে অবশ্যই তিনি দেশবাসীর সামনে আসবেন। আশা করছি এতে কোনো বাধা নেই।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের একটা দুরভিসন্ধি এবং ষড়যন্ত্র হল- খালেদা জিয়াকে রাজনীতি এবং মানুষের কাছ থেকে দূরে রাখা। এতে তাদের সুবিধা হয়। বেগম খালেদা জিয়া যাতে কোনোভাবেই নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন সে জন্য সব চেষ্টাই করে যাচ্ছে সরকার। জেলখানায় আটকের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার শেষ চেষ্টা চালায় তারা।
এদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে বর্তমান সরকারকে অবৈধ সরকার বলে অভিযোগ করে আসলেও দলটির ৬ জন এমপি এখনো এই সংসদে দলের প্রতিনিধিত্ব করছেন। তাহলে তারা কোন মুখে সরকারকে অবৈধ সরকার বলছেন- এমন অভিযোগ সামনে আসায় বিএনপির দলীয় সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে শ্যামা ওবায়েদ বলেন, ‘সংসদে আমাদের মাত্র অল্প কয়জন সদস্য। তারা পদত্যাগ করবে কিনা এটা দলীয় সিদ্ধান্ত। দল সিদ্ধান্ত দিলে সদস্যরা অবশ্যই তা পালন করবে।’
‘নির্বাচনের আগে বিএনপির সংসদ সদস্যরা সংসদ থেকে পদত্যাগ করবেন কিনা এমন প্রশ্নে বিএনপি নেতা ও সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য রয়েছে। হাই কমান্ড যখনই এমপিদের পদত্যাগ করতে সিদ্ধান্ত দেবে, এক মুহূর্তও দেরি না করে আমরা পদত্যাগ করব। এতে কোনো সন্দেহ নেই।’
দল থেকে এখনো এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি জানিয়ে বগুড়া-৪ আসনের এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘নির্বাচনের পূর্বমুহূর্ত কিংবা দল যখন সিদ্ধান্ত নেবে ঠিক তখনই সংসদ থেকে আমরা একযোগে পদত্যাগ করব।’
জনগণের ন্যায্য অধিকার আদায়ে আন্দোলন চলছে জানিয়ে মোশারফ হোসেন বলেন, সরকার বিরোধিতার চেয়েও দ্রব্যমূল্য কমিয়ে এনে তা মানুষের ক্রয়সীমায় আনার জন্য বিএনপি আন্দোলন করছে। এছাড়া রাতে নয়, মানুষ যেন দিনের ভোট দিনেই দিতে পারে সে জন্যও আন্দোলন করছে আমাদের দল।