ঢাকা ০৩:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নির্দেশনা না মেনে তেল কিনছে চালকরা

  • আপডেট সময় : ১২:৪১:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২
  • ১০৬ বার পড়া হয়েছে

নীলফামারী সংবাদদাতা : নীলফামারীর সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় অকালে প্রাণ হারাচ্ছেন অনেকে, কেউ কেউ বরণ করছেন পঙ্গুত্ব। আর এসব দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে বিভিন্ন নিয়ম চালু করেছে প্রশাসন। এরই মধ্যে মোটরসাইকেলচালকদের হেলমেট ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে জেলায় ‘নো হেলমেট, নো পেট্রোল’ কর্মসূচি শুরু করেছে পুলিশ। পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এ কর্মসূচির নির্দেশনা মানছেন না ফিলিং স্টেশন মালিকরা। জানা গেছে, ২৭ নভেম্বর পেট্রোল পাম্প মালিকদের সঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বৈঠক করে সবার সম্মতিতে এই সিদ্ধান্ত নেন। পরে ১ ডিসেম্বর থেকে নীলফামারীর পেট্রোল পাম্পগুলোতে চালু হয় এ নিয়ম। তবে সপ্তাহ না যেতেই পেট্রোল পাম্প মালিকরা মোটরসাইকেলচালকদের হেলমেট ছাড়া দিচ্ছেন জ্বালানি। অনেকে আবার ফিলিং স্টেশন থেকেই হেলমেট ধার নিয়ে তেল-পেট্রোল নিচ্ছেন। কেউবা আবার ড্রামে করে ফিলিং স্টেশন থেকে নিয়ে যাচ্ছেন জ্বালানি। এদিকে, পুলিশ বলছেন নির্দেশনা মানছে পাম্প মালিকরা, অব্যাহত আছে অভিযান। অন্যদিকে মুদি দোকানে বোতলেই মিলছে জ্বালানি তেল। যেখানে নেই পরিমাপের কোনো বালাই, নেই তদারকি। জেলার একাধিক ফিলিং স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, হেলমেট ছাড়া অনেকেই মোটরসাইকেলে তেল নিতে আসছেন ফিলিং স্টেশনে। পাম্পেই হেলমেট রেখে অভিনব কৌশলে তেল বিক্রি করতে দেখা গেছে ফিলিং স্টেশনগুলোতে। এছাড়াও ড্রামে করে বোতলে বিক্রির জন্য পাম্প থেকে জ্বালানি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন এলাকার মুদি দোকানিরা।
জেলা শহরের পাঁচ মাথা বাইপাস এলাকার ভাই ভাই ফিলিং স্টেশনে হেলমেট ছাড়া তেল নিতে আসা আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, রংপুর থেকে আসলাম। আমাকে বাড়ির লোক মোটরসাইকেলে করে নিতে এসেছে। যে বাড়ি থেকে নিতে এসেছে সে ভুলে হেলমেট নিয়ে আসেনি, এজন্য হেলমেট নাই। তবে পাম্পের হেলমেট মাথায় দিয়ে তেল নিলাম। বিপদ তো বলে কয়ে আসে না। এজন্য মাঝে মধ্যে ছাড় দেওয়া উচিত। আলু ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার বাড়ি কিশোরগঞ্জ, সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় হেলমেট আনতে ভুলে গেছি। তবে পাম্পের মধ্যে হেলমেট পাওয়ায় অসুবিধা হয়নি। কিন্তু হেলমেটটা নিজের জন্য ব্যবহার করা দরকার আর এমন ভুল হবে না। ভাই ভাই ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার নজরুল ইসলাম বলেন, হেলমেট ধার করে তেল দেওয়া নেওয়া কোনো বিষয় না। সিসিটিভির ভিতরে হেলমেট পরে তেল নিলেই হলো। যা করার আছে করেন। নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউপ বলেন, পাম্প মালিকরা তো নির্দেশনা মানছেন। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। পাম্পে হেলমেট রেখে তেল বিক্রি করার বিষয়টি আপনার কাছে শুনলাম, আমরা খোঁজ নিয়ে বিষয়টা দেখছি।
নীলফামারী জেলা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। পাম্প মালিকদের সঙ্গে করা মিটিংয়ে তারা আমাদের কথা দিয়েছে নির্দেশনা মানবেন। বিভিন্ন দোকানে জ্বালানি তেল বিক্রির বিষয়টি দেখা হবে। আর পুরো জেলাজুড়ে হেলমেট বিহীন মোটরসাইকেল ধরার অভিযান কঠোর ভাবে চলছে। এক মাসে হাজারের উপরে হেলমেট ও কাগজপত্র ছাড়া মোটরসাইকেল মামলা হয়েছে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নির্দেশনা না মেনে তেল কিনছে চালকরা

আপডেট সময় : ১২:৪১:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২২

নীলফামারী সংবাদদাতা : নীলফামারীর সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় অকালে প্রাণ হারাচ্ছেন অনেকে, কেউ কেউ বরণ করছেন পঙ্গুত্ব। আর এসব দুর্ঘটনা থেকে বাঁচতে বিভিন্ন নিয়ম চালু করেছে প্রশাসন। এরই মধ্যে মোটরসাইকেলচালকদের হেলমেট ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে জেলায় ‘নো হেলমেট, নো পেট্রোল’ কর্মসূচি শুরু করেছে পুলিশ। পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এ কর্মসূচির নির্দেশনা মানছেন না ফিলিং স্টেশন মালিকরা। জানা গেছে, ২৭ নভেম্বর পেট্রোল পাম্প মালিকদের সঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বৈঠক করে সবার সম্মতিতে এই সিদ্ধান্ত নেন। পরে ১ ডিসেম্বর থেকে নীলফামারীর পেট্রোল পাম্পগুলোতে চালু হয় এ নিয়ম। তবে সপ্তাহ না যেতেই পেট্রোল পাম্প মালিকরা মোটরসাইকেলচালকদের হেলমেট ছাড়া দিচ্ছেন জ্বালানি। অনেকে আবার ফিলিং স্টেশন থেকেই হেলমেট ধার নিয়ে তেল-পেট্রোল নিচ্ছেন। কেউবা আবার ড্রামে করে ফিলিং স্টেশন থেকে নিয়ে যাচ্ছেন জ্বালানি। এদিকে, পুলিশ বলছেন নির্দেশনা মানছে পাম্প মালিকরা, অব্যাহত আছে অভিযান। অন্যদিকে মুদি দোকানে বোতলেই মিলছে জ্বালানি তেল। যেখানে নেই পরিমাপের কোনো বালাই, নেই তদারকি। জেলার একাধিক ফিলিং স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, হেলমেট ছাড়া অনেকেই মোটরসাইকেলে তেল নিতে আসছেন ফিলিং স্টেশনে। পাম্পেই হেলমেট রেখে অভিনব কৌশলে তেল বিক্রি করতে দেখা গেছে ফিলিং স্টেশনগুলোতে। এছাড়াও ড্রামে করে বোতলে বিক্রির জন্য পাম্প থেকে জ্বালানি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন এলাকার মুদি দোকানিরা।
জেলা শহরের পাঁচ মাথা বাইপাস এলাকার ভাই ভাই ফিলিং স্টেশনে হেলমেট ছাড়া তেল নিতে আসা আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, রংপুর থেকে আসলাম। আমাকে বাড়ির লোক মোটরসাইকেলে করে নিতে এসেছে। যে বাড়ি থেকে নিতে এসেছে সে ভুলে হেলমেট নিয়ে আসেনি, এজন্য হেলমেট নাই। তবে পাম্পের হেলমেট মাথায় দিয়ে তেল নিলাম। বিপদ তো বলে কয়ে আসে না। এজন্য মাঝে মধ্যে ছাড় দেওয়া উচিত। আলু ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার বাড়ি কিশোরগঞ্জ, সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় হেলমেট আনতে ভুলে গেছি। তবে পাম্পের মধ্যে হেলমেট পাওয়ায় অসুবিধা হয়নি। কিন্তু হেলমেটটা নিজের জন্য ব্যবহার করা দরকার আর এমন ভুল হবে না। ভাই ভাই ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার নজরুল ইসলাম বলেন, হেলমেট ধার করে তেল দেওয়া নেওয়া কোনো বিষয় না। সিসিটিভির ভিতরে হেলমেট পরে তেল নিলেই হলো। যা করার আছে করেন। নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউপ বলেন, পাম্প মালিকরা তো নির্দেশনা মানছেন। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। পাম্পে হেলমেট রেখে তেল বিক্রি করার বিষয়টি আপনার কাছে শুনলাম, আমরা খোঁজ নিয়ে বিষয়টা দেখছি।
নীলফামারী জেলা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। পাম্প মালিকদের সঙ্গে করা মিটিংয়ে তারা আমাদের কথা দিয়েছে নির্দেশনা মানবেন। বিভিন্ন দোকানে জ্বালানি তেল বিক্রির বিষয়টি দেখা হবে। আর পুরো জেলাজুড়ে হেলমেট বিহীন মোটরসাইকেল ধরার অভিযান কঠোর ভাবে চলছে। এক মাসে হাজারের উপরে হেলমেট ও কাগজপত্র ছাড়া মোটরসাইকেল মামলা হয়েছে।