ঢাকা ০২:০৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫

নিরাপত্তা চুক্তির মাধ্যমে ইউক্রেন সমস্যার সমাধান চান মাখোঁ

  • আপডেট সময় : ০১:২১:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৭৮ বার পড়া হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যুতে একটি চুক্তির মাধ্যমে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ এড়ানো সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ। নিজস্ব নিরাপত্তা বিষয়ে রাশিয়ার উদ্বিগ্ন হওয়াকেও বৈধ বলে মত দেন।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, ইউক্রেনে যেকোনো ধরনের যুদ্ধ এড়াতে মধ্যস্থতার জন্য রাশিয়া সফরে গিয়েছেন মাখোঁ। সেখানে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে এক আলোচনায়ও মিলিত হন তিনি। পরে তিনি ইউক্রেনে যাবেন। ইউক্রেনের সীমান্তে এক লাখের বেশি সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। যদিও, যেকোনো ধরনের হামলার পরিকল্পনা উড়িয়ে দেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। তবে, শুধুমাত্র একটি সাক্ষাৎকারের (পুতিন ও মাখোঁ) মাধ্যমেই চলমান সংকট নিরসন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন পুতিনের মুখপাত্র। মাখোঁ জানান, রাশিয়া ইউক্রেন ইস্যুতেই শুধুমাত্র উদ্বিগ্ন না। তিনি ওই অঞ্চলে ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের আধিপত্য নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন। রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে মাখোঁর আলোচনার সমন্বয় করছে জার্মানি ও পশ্চিমা মিত্ররা।
শুধুমাত্র ওয়াশিংটনের উপর নির্ভর না করে, রাশিয়ার সঙ্গে নতুনভাবে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের প্রতি গত জানুয়ারি মাসে আহ্বান জানিয়েছিলেন মাখোঁ।
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে মধ্যস্থাকারী হিসেবে মাখোঁর খ্যাতি রয়েছে। ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে পুতনের সঙ্গে তার বেশ কয়েকবার সাক্ষাৎ হয়। যদিও ন্যাটোর অনেক সদস্য মাখোঁ এ সম্পর্ক ইতিবাচক হিসেবে নেয়নি। প্রেসিডেন্ট মাখোঁর দু’জন ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, আগামী এপ্রিল মাস পর্যন্ত যেন ইউক্রেন ইস্যুতে উত্তেজনা তীব্র না হয়, তা নিশ্চিত করা মাখোঁর অন্যতম লক্ষ্য। কারণ ফ্রান্সসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশে এপ্রিল মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ফলে, মাখোঁর ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় যাবার ক্ষেত্রেও ইউক্রেন ইস্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ কারণেই ইউক্রেন ইস্যুতে মাখোঁ বেশি উদগ্রীব। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মাখোঁ নিজেকে ইউরোপ মহাদেশের নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। এর জন্য যেকোনো পদক্ষেপ নিতে তিনি পিছপা হবেন না।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

এই রক্তস্রোত যেন বৃথা না যায়, ঐক্য বজায় রাখতে হবে: খালেদা জিয়া

নিরাপত্তা চুক্তির মাধ্যমে ইউক্রেন সমস্যার সমাধান চান মাখোঁ

আপডেট সময় : ০১:২১:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যুতে একটি চুক্তির মাধ্যমে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ এড়ানো সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ। নিজস্ব নিরাপত্তা বিষয়ে রাশিয়ার উদ্বিগ্ন হওয়াকেও বৈধ বলে মত দেন।
বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, ইউক্রেনে যেকোনো ধরনের যুদ্ধ এড়াতে মধ্যস্থতার জন্য রাশিয়া সফরে গিয়েছেন মাখোঁ। সেখানে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে এক আলোচনায়ও মিলিত হন তিনি। পরে তিনি ইউক্রেনে যাবেন। ইউক্রেনের সীমান্তে এক লাখের বেশি সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। যদিও, যেকোনো ধরনের হামলার পরিকল্পনা উড়িয়ে দেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। তবে, শুধুমাত্র একটি সাক্ষাৎকারের (পুতিন ও মাখোঁ) মাধ্যমেই চলমান সংকট নিরসন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন পুতিনের মুখপাত্র। মাখোঁ জানান, রাশিয়া ইউক্রেন ইস্যুতেই শুধুমাত্র উদ্বিগ্ন না। তিনি ওই অঞ্চলে ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের আধিপত্য নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন। রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে মাখোঁর আলোচনার সমন্বয় করছে জার্মানি ও পশ্চিমা মিত্ররা।
শুধুমাত্র ওয়াশিংটনের উপর নির্ভর না করে, রাশিয়ার সঙ্গে নতুনভাবে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের প্রতি গত জানুয়ারি মাসে আহ্বান জানিয়েছিলেন মাখোঁ।
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে মধ্যস্থাকারী হিসেবে মাখোঁর খ্যাতি রয়েছে। ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে পুতনের সঙ্গে তার বেশ কয়েকবার সাক্ষাৎ হয়। যদিও ন্যাটোর অনেক সদস্য মাখোঁ এ সম্পর্ক ইতিবাচক হিসেবে নেয়নি। প্রেসিডেন্ট মাখোঁর দু’জন ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, আগামী এপ্রিল মাস পর্যন্ত যেন ইউক্রেন ইস্যুতে উত্তেজনা তীব্র না হয়, তা নিশ্চিত করা মাখোঁর অন্যতম লক্ষ্য। কারণ ফ্রান্সসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশে এপ্রিল মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ফলে, মাখোঁর ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় যাবার ক্ষেত্রেও ইউক্রেন ইস্যু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ কারণেই ইউক্রেন ইস্যুতে মাখোঁ বেশি উদগ্রীব। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মাখোঁ নিজেকে ইউরোপ মহাদেশের নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান। এর জন্য যেকোনো পদক্ষেপ নিতে তিনি পিছপা হবেন না।