মহানগর প্রতিবেদন : আসন্ন অমর একুশে বইমেলা ২০২২ এর সার্বিক নিরাপত্তার লক্ষ্যে পুরো মেলা প্রাঙ্গণ ও আশপাশের সকল প্রবেশপথ সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হযেছে।
গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় মেলা প্রাঙ্গণে বইমেলার নিরাপত্তাবিষয়ক এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম। এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর উপস্থিত ছিলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ পুরো মেলার প্রতিটি ইঞ্চি জায়গা সিসিটিভির আওতায় নিয়ে এসেছে। শুধু মেলা প্রাঙ্গণ নয়, আশপাশে যতগুলো প্রবেশপথ দিয়ে দর্শকরা আসবেন সেগুলোও সিসিটিভির আওতায় থাকবে। মেলার ভিতরে ও বাইরে বিভিন্ন জায়গায় আমাদের সাদা পোশাকে ও ইউনিফর্মে ফোর্স মোতায়েন থাকবে। মোটর সাইকেল ও পিকআপ গাড়িতেও পুলিশ চারদিকে টহল দেবে। বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট, এ কে- ৯ (ডগ স্কোয়াড) রেডি থাকবে এবং সোয়াতের ভ্যান সার্বক্ষণিকভাবে রেডি থাকবে।
শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘শহীদ মিনার, নীলক্ষেত ও শাহবাগ- টিএসসি এলাকায় আমাদের একটা তল্লাশি দল থাকবে। সন্দেহজনক কিছু দেখলে তারা তল্লাশি করবে এবং এদিকে যেন কোনো গাড়ি না ঢুকতে পারে সেটিও তারা নিশ্চিত করবে। মেলার মূল প্যান্ডেলে ঢোকার আগে প্রতিটি গেটে আমাদের ফিজিক্যাল সার্চিং সিস্টেম থাকবে এবং কাউকে সন্দেহ হলে তাকে পৃথক কক্ষে নিয়ে তল্লাশি করা হবে। বাংলা একাডেমির সামনে দুটি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চারটি গেট থাকবে এবং চারটি বহির্গমন গেট থাকবে।’
ঢাকার নগর পুলিশ প্রধান আরও বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে যেকোনো জরুরি পরিস্থিতিতে মানুষকে নিরাপত্তা দিতে ও অগ্নি নির্বাপক কাজে তাদের সব সরঞ্জাম সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে। এছাড়া মেডিকেল টিম থাকবে, ডিএমপির পক্ষ থেকে মানুষকে বিভিন্ন স্পটে খাওয়ার পানি সরবরাহ করা হবে এবং পুলিশের কন্ট্রোল রুমের ভিতরে একটি কক্ষ তৈরি করে দেওয়া হবে, যেখানে দুগ্ধপোষ্য শিশুদের দুগ্ধপান করার ব্যবস্থা করা যাবে।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমরা সিনিয়র অফিসার যারা আছি, আমরা নিয়মিত মেলা পরিদর্শন করব। দুপুর ২টার পর থেকে শাহবাগ-টিএসসিমুখী মেলার প্রবেশপথ বন্ধ থাকবে। ছুটির দিনে ৯টা থেকে মেলা শুরু হবে তাই সেদিন ৯টা থেকেই এটি বন্ধ থাকবে।’
শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা পারিপার্শ্বিক সব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করছি, যাতে কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। প্রতিবছরই কিছু আপত্তিকর বই মেলায় চলে আসে এবং সেটা নিয়ে একটা হৈচৈ পড়ে যায়। এ বিষয়টা মাথায় রেখে আমরা প্রস্তুতি মিটিংয়ে কথা বলেছি। আসলে বাংলা একাডেমির পক্ষে প্রতিদিন যে শত শত বই প্রকাশিত হয় তা পড়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। এটার জন্য এবার আমাদের লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে এজেন্সি থেকে লোক থাকবে, ডিবি থেকে লোক থাকবে। প্রতিদিন কি কি বই আসছে সেটি আমরা আলাদা করে মনিটরিং করব। কিন্তু যদি আমাদের ডিউটির পর কেউ এরকম কোনো বই এনে ঢুকায় তাহলে সে দায়ভার বইয়ের স্টল মালিক ও প্রকাশনাকেই নিতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে মন্ত্রিপরিষদ থেকে দেওয়া নির্দেশনা বাস্তবায়নে জোর দেওয়া হবে বলেও জানান শফিকুল ইসলাম।