ঢাকা ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিরাপত্তাজনিত কারণে আদালতে তোলা হয়নি মামুনুল হককে

  • আপডেট সময় : ০২:৪৯:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৩
  • ১০৬ বার পড়া হয়েছে

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার আসামি মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জ আদালতে হাজির করা হয়নি। ওই মামলায় গতকাল বুধবার নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন নির্ধারণ ছিল। এই দিন পুলিশ কর্মকর্তাসহ সাত জনের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। তবে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী এ কে এম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, ‘আজ মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় তিন পুলিশ কর্মকর্তাসহ সাত জনের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। নতুন করে পুলিশের তিন এএসআইসহ (সোনারগাঁ থানার এএসআই আনিসুর রহমান, কর্ণ কুমার হালদার ও শেখ ফরিদ) আগের তারিখের অনুপস্থিত চার সাক্ষীর সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে মামুনুল হককে আদালতে আনা হয়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে এই সংক্রান্ত একটি দরখাস্ত দেওয়া হয়েছে।’
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আজ আদালতে মামুনুল হকের মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন নির্ধারণ ছিল। তিনি আজকে আসেননি। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি তার মামলার তারিখ পড়েছে। তবে কী কারণে তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি তা জানা নেই।’
এর আগে, গত ৩ অক্টোবর সপ্তম দফায় সাক্ষ্য গ্রহণের দিন আট জনের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে দুজন পুলিশ কর্মকর্তা আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তারা হলেন— সোনারগাঁ থানার এসআই বোরহান দর্জি ও কোবায়েদ হোসেন। আর যারা অনুপস্থিত ছিলেন তারা হলেন— সোনারগাঁ থানার এসআই আরিফ হাওলাদার, নুরুল ইসলাম, এর আগের তারিখে দুজন সাক্ষী ও সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক সাইদুজ্জামান ও এসআই ইয়াউর রহমানসহ পারভেজ ও মেহেদী হাসান।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করা অবস্থায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মামুনুল হককে ঘেরাও করেন। পরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে নিয়ে যান। ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন তার সঙ্গে থাকা ওই নারী। কিন্তু মামুনুল হকের দাবি, ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নিরাপত্তাজনিত কারণে আদালতে তোলা হয়নি মামুনুল হককে

আপডেট সময় : ০২:৪৯:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৩

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার আসামি মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জ আদালতে হাজির করা হয়নি। ওই মামলায় গতকাল বুধবার নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন নির্ধারণ ছিল। এই দিন পুলিশ কর্মকর্তাসহ সাত জনের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। তবে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী এ কে এম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, ‘আজ মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলায় তিন পুলিশ কর্মকর্তাসহ সাত জনের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। নতুন করে পুলিশের তিন এএসআইসহ (সোনারগাঁ থানার এএসআই আনিসুর রহমান, কর্ণ কুমার হালদার ও শেখ ফরিদ) আগের তারিখের অনুপস্থিত চার সাক্ষীর সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে মামুনুল হককে আদালতে আনা হয়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে এই সংক্রান্ত একটি দরখাস্ত দেওয়া হয়েছে।’
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আজ আদালতে মামুনুল হকের মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন নির্ধারণ ছিল। তিনি আজকে আসেননি। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি তার মামলার তারিখ পড়েছে। তবে কী কারণে তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি তা জানা নেই।’
এর আগে, গত ৩ অক্টোবর সপ্তম দফায় সাক্ষ্য গ্রহণের দিন আট জনের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। এর মধ্যে দুজন পুলিশ কর্মকর্তা আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তারা হলেন— সোনারগাঁ থানার এসআই বোরহান দর্জি ও কোবায়েদ হোসেন। আর যারা অনুপস্থিত ছিলেন তারা হলেন— সোনারগাঁ থানার এসআই আরিফ হাওলাদার, নুরুল ইসলাম, এর আগের তারিখে দুজন সাক্ষী ও সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক সাইদুজ্জামান ও এসআই ইয়াউর রহমানসহ পারভেজ ও মেহেদী হাসান।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করা অবস্থায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মামুনুল হককে ঘেরাও করেন। পরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে নিয়ে যান। ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন তার সঙ্গে থাকা ওই নারী। কিন্তু মামুনুল হকের দাবি, ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী।