ঢাকা ০৮:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫

নিয়োগে এনআইডি জমা বাধ্যতামূলক চায় ইসি

  • আপডেট সময় : ০৮:৫০:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
  • ৪৩ বার পড়া হয়েছে

মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলন -ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি নিয়োগে জাতীয় পরিচয়পত্র জমা নেওয়াটা বাধ্যতামূলক করতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থাকে অনুরোধ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি জনপ্রশাসন সংশ্লিষ্ট আইনি কাঠামোয় অন্তর্ভুক্ত হোক, সেটাও চায় কমিশন। চাকরিজীবিদের বেতন-ভাতা ‘সুচারু’ করতে এমন উদ্যোগের কথা ভাবা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এসএম হুমায়ুন কবীর।

মঙ্গলবার (৩ জুন) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি বলেন, এনআইডি আইনে এটা বাধ্যতামূলক আছে, আইবাসেও আছে। তাই সব সংস্থা যেন ভবিষ্যতে নিয়োগের ক্ষেত্রে এনআইডি আইন অনুসরণ করে।

এ নিয়ে আগের দিন সরকারের ২৭টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন ইসি সচিব। সেখানে চাকরি দেওয়ার সময় এনআইডির তথ্যাদি ‘আমলে নেওয়া’ এবং এনআইডি ছাড়া চাকরিজীবীরে বিষয়ে করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়।

সোমবারের বৈঠকের অগ্রগতি তুলে ধরে হুমায়ুন কবীর বলেন, ইসিতে এনআইডি সংশোধনকারীদের বিরাট একটি অংশ সরকারি চাকরিজীবি। আগে তারা ভাউচারের মাধ্যেম বেতন পেতেন। আইবাসের মাধ্যমে এনআইডি ভিত্তিতে বেতন পান। এর সঙ্গে তাদের রুটি রুজি, ভেতন-ভাতা, সন্তানাদিদের ভরণ-পোষন ইত্যাদি জড়িয়ে আছে। আইবাসে বেতন হওয়ার জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতা নির্ধারণের সফটওয়্যার ‘আইবাস++’ ব্যবহার করা হয়। হুমায়ুন কবীর বলেন, কোনো কোনো অফিস এনআইডি ঠিক না হলে বেতন বন্ধ হয়ে যাবে বলেছে। তখন তারা আইবাসে যায়, আইবাস থেকে তাদের অফিসে যায়, তারা বলে তাদের কিছু করার নেই। তখন তারা আমাদের কাছে আসেন। আমাদের অফিসে এলেও অনেক সময় সরাসরি সংশোধন করা যায় না। অনেক সময় নিস্কৃতিও দেওয়া যায় না।

চাকরির ক্ষেত্রে যারা এনআইডিকে গুরুত্ব দেয়নি, তাদের কে চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট দপ্তর সংস্থাদের নিয়ে সোমবার বৈঠক করা হয় বলে জানান এ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, যে আলোচনা হয়েছে, যেহেতু বাধ্যতামূলকভাবে জনপ্রশাসন থেকে আইনি কাঠামোর মধ্যে বিষয়টি আসেনি, তাই হয়তো ইগনোর করা হয়েছে। আইনি কাঠামোর মধ্যে এলে এটা আর থাকবে না। যদিও এনআইডি আইনে এর ব্যবহার বাধ্যতামূলক আছে, আইবাসেরও আছে। তাই সব সংস্থা যেন ভবিষ্যতে এনআইডি অনুসরণ করে, সেটা আমরা চেয়েছি। তারা বলেছেন, যাদের বেতন ভাতা আটকে গেছে, যদি কর্তৃপক্ষের পক্ষে বেতনভাতার ব্যবস্থা করা যায়, সে উদ্যোগ নেওয়ার কথা তারা বলেছেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নিয়োগে এনআইডি জমা বাধ্যতামূলক চায় ইসি

আপডেট সময় : ০৮:৫০:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি নিয়োগে জাতীয় পরিচয়পত্র জমা নেওয়াটা বাধ্যতামূলক করতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থাকে অনুরোধ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি জনপ্রশাসন সংশ্লিষ্ট আইনি কাঠামোয় অন্তর্ভুক্ত হোক, সেটাও চায় কমিশন। চাকরিজীবিদের বেতন-ভাতা ‘সুচারু’ করতে এমন উদ্যোগের কথা ভাবা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এসএম হুমায়ুন কবীর।

মঙ্গলবার (৩ জুন) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি বলেন, এনআইডি আইনে এটা বাধ্যতামূলক আছে, আইবাসেও আছে। তাই সব সংস্থা যেন ভবিষ্যতে নিয়োগের ক্ষেত্রে এনআইডি আইন অনুসরণ করে।

এ নিয়ে আগের দিন সরকারের ২৭টি মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন ইসি সচিব। সেখানে চাকরি দেওয়ার সময় এনআইডির তথ্যাদি ‘আমলে নেওয়া’ এবং এনআইডি ছাড়া চাকরিজীবীরে বিষয়ে করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়।

সোমবারের বৈঠকের অগ্রগতি তুলে ধরে হুমায়ুন কবীর বলেন, ইসিতে এনআইডি সংশোধনকারীদের বিরাট একটি অংশ সরকারি চাকরিজীবি। আগে তারা ভাউচারের মাধ্যেম বেতন পেতেন। আইবাসের মাধ্যমে এনআইডি ভিত্তিতে বেতন পান। এর সঙ্গে তাদের রুটি রুজি, ভেতন-ভাতা, সন্তানাদিদের ভরণ-পোষন ইত্যাদি জড়িয়ে আছে। আইবাসে বেতন হওয়ার জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতা নির্ধারণের সফটওয়্যার ‘আইবাস++’ ব্যবহার করা হয়। হুমায়ুন কবীর বলেন, কোনো কোনো অফিস এনআইডি ঠিক না হলে বেতন বন্ধ হয়ে যাবে বলেছে। তখন তারা আইবাসে যায়, আইবাস থেকে তাদের অফিসে যায়, তারা বলে তাদের কিছু করার নেই। তখন তারা আমাদের কাছে আসেন। আমাদের অফিসে এলেও অনেক সময় সরাসরি সংশোধন করা যায় না। অনেক সময় নিস্কৃতিও দেওয়া যায় না।

চাকরির ক্ষেত্রে যারা এনআইডিকে গুরুত্ব দেয়নি, তাদের কে চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট দপ্তর সংস্থাদের নিয়ে সোমবার বৈঠক করা হয় বলে জানান এ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, যে আলোচনা হয়েছে, যেহেতু বাধ্যতামূলকভাবে জনপ্রশাসন থেকে আইনি কাঠামোর মধ্যে বিষয়টি আসেনি, তাই হয়তো ইগনোর করা হয়েছে। আইনি কাঠামোর মধ্যে এলে এটা আর থাকবে না। যদিও এনআইডি আইনে এর ব্যবহার বাধ্যতামূলক আছে, আইবাসেরও আছে। তাই সব সংস্থা যেন ভবিষ্যতে এনআইডি অনুসরণ করে, সেটা আমরা চেয়েছি। তারা বলেছেন, যাদের বেতন ভাতা আটকে গেছে, যদি কর্তৃপক্ষের পক্ষে বেতনভাতার ব্যবস্থা করা যায়, সে উদ্যোগ নেওয়ার কথা তারা বলেছেন।