ঢাকা ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

নিম্নমানের কার্ভিস্টোন ও বালু দিয়ে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ

  • আপডেট সময় : ০৪:০৯:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫
  • ৩৫ বার পড়া হয়েছে

মানিকগঞ্জ সংবাদদাতা: মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার বেলতা রাস্তায় নিম্নমানের ইউনি ব্লক, কার্ভিস্টোন ও বালু দিয়ে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে মেসার্স নোভা এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে।

উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, কাতরাশিন তারা মসজিদ থেকে বেলতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ১ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৩৮০ মিটার ইউনিব্লকের ও ১৮০ মিটার প্যালাসাইটিংসহ রাস্তা নির্মাণের বরাদ্দ দেয়া হয়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জিওবি মেইনটেনেন্সের আওয়াতায় মেসার্স নাভা এন্টারপ্রাইজ কাজটি পায়। নির্দিষ্ট সময়ে কোম্পানি কাজটি সম্পন্ন করতে না পারায় পরে সময় বাড়ায়।

সরেজমিন দেখা গেছে, রাস্তার উচ্চতা অনুযায়ী ঢালু না করে এবং এজিংয়ের পাশে জায়গা তৈরি না করে কার্ভিস্টোন দিয়ে এজিং করে যাচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। যার ফলে উঠে যাচ্ছে এজিং এর কার্ভিস্টোন। আবার ২.২ এফএম বালু দিয়ে ইউনিব্লক বসানোর আগে বেড তৈরি করার কথা থাকলেও তা না দিয়ে ভিটে বালি দিয়ে বেড তৈরি করে নিম্নমানের ইউনিব্লক বসিয়ে যাচ্ছে। ফলে রাস্তার স্থায়িত্ব নিয়ে হতাশায় এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, রাস্তা নির্মাণকালেই খুলে পড়েছে ইউনিব্লক ও কার্ভিস্টোন। রাস্তার পাশে ঝুকিপূর্ণ কয়েক স্থানে গাইডওয়াল প্রয়োজন থাকলেও তা দেয়া হয়নি। এসব বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজনকে এলাকাবাসী জানালেও কর্ণপাত করেনি। মাটি ধরে রাখতে দায়সাড়াভাবে কয়েক স্থানে বাশ ও নেটের বাধ দেয়া হয়েছে। যা নির্মাণের কিছু দিনের মধ্যে ধ্বসে পড়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। ব্লকের ফাঁকা স্থানে ঢালাই ছাড়াও খোয়া ও মাটি দিয়ে সমান্তরাল করা হয়েছে। ব্লক ধরে রাখতে দু’পাশের কার্ভিটোন ব্লকে এক ইঞ্চি উচ থাকার কথা থাকলেও সেগুলো ব্লকের নিচে রয়েছে। আর সব স্থানে গাইডওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে তা রাস্তার উচ্চতা অনুযায়ী ঢালু করা হয়নি। যার ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি ধ্বসে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশলীর কর্মকর্তাদের দায়সাড়া তদারকি ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বেশি লাভের আশায় নিম্নমানের কাজ করে যাচ্ছেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় এ কাজটি বাগিয়ে নেয় এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক আওয়ামী লীগের দোসর হওয়ায় দায়সাড়া ভাবে দ্রুত কাজ করে পালিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করেন এলাকাবাসী।

এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মাকসুদ কাজীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে সাইট ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম নিশাত জানান, প্রথমে ভিটি বালু ব্যবহার করা হয়েছিল। এখন ২.২ এফএম বালু ব্যবহার করা হচ্ছে। গাইডওয়াল গত বছর নির্মাণ করায় বৃষ্টিতে কিছু জায়গায় মাটি ধ্বসে গেছে। এখানে মাটি না পাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে রাস্তার দু পাশে শোল্ডার করা যাচ্ছে না। তবে, ব্লকের কাজ শেষ করেই মাটি দেয়া হবে।

শিবালয় উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজে যদি কোন অনিয়ম থাকে তাহলে অবশ্যই আমি ব্যবস্থা নেব।

এ ব্যাপারে শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বেলাল হোসেন বলেন,‘রাস্তাটি মানসম্পন্ন হচ্ছে না বলে এলাকাবাসী আমার কাছে অভিযোগ করেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নিম্নমানের কার্ভিস্টোন ও বালু দিয়ে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৪:০৯:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫

মানিকগঞ্জ সংবাদদাতা: মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার বেলতা রাস্তায় নিম্নমানের ইউনি ব্লক, কার্ভিস্টোন ও বালু দিয়ে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে মেসার্স নোভা এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে।

উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, কাতরাশিন তারা মসজিদ থেকে বেলতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ১ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৩৮০ মিটার ইউনিব্লকের ও ১৮০ মিটার প্যালাসাইটিংসহ রাস্তা নির্মাণের বরাদ্দ দেয়া হয়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জিওবি মেইনটেনেন্সের আওয়াতায় মেসার্স নাভা এন্টারপ্রাইজ কাজটি পায়। নির্দিষ্ট সময়ে কোম্পানি কাজটি সম্পন্ন করতে না পারায় পরে সময় বাড়ায়।

সরেজমিন দেখা গেছে, রাস্তার উচ্চতা অনুযায়ী ঢালু না করে এবং এজিংয়ের পাশে জায়গা তৈরি না করে কার্ভিস্টোন দিয়ে এজিং করে যাচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। যার ফলে উঠে যাচ্ছে এজিং এর কার্ভিস্টোন। আবার ২.২ এফএম বালু দিয়ে ইউনিব্লক বসানোর আগে বেড তৈরি করার কথা থাকলেও তা না দিয়ে ভিটে বালি দিয়ে বেড তৈরি করে নিম্নমানের ইউনিব্লক বসিয়ে যাচ্ছে। ফলে রাস্তার স্থায়িত্ব নিয়ে হতাশায় এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, রাস্তা নির্মাণকালেই খুলে পড়েছে ইউনিব্লক ও কার্ভিস্টোন। রাস্তার পাশে ঝুকিপূর্ণ কয়েক স্থানে গাইডওয়াল প্রয়োজন থাকলেও তা দেয়া হয়নি। এসব বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজনকে এলাকাবাসী জানালেও কর্ণপাত করেনি। মাটি ধরে রাখতে দায়সাড়াভাবে কয়েক স্থানে বাশ ও নেটের বাধ দেয়া হয়েছে। যা নির্মাণের কিছু দিনের মধ্যে ধ্বসে পড়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। ব্লকের ফাঁকা স্থানে ঢালাই ছাড়াও খোয়া ও মাটি দিয়ে সমান্তরাল করা হয়েছে। ব্লক ধরে রাখতে দু’পাশের কার্ভিটোন ব্লকে এক ইঞ্চি উচ থাকার কথা থাকলেও সেগুলো ব্লকের নিচে রয়েছে। আর সব স্থানে গাইডওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে তা রাস্তার উচ্চতা অনুযায়ী ঢালু করা হয়নি। যার ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি ধ্বসে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশলীর কর্মকর্তাদের দায়সাড়া তদারকি ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বেশি লাভের আশায় নিম্নমানের কাজ করে যাচ্ছেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় এ কাজটি বাগিয়ে নেয় এবং ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক আওয়ামী লীগের দোসর হওয়ায় দায়সাড়া ভাবে দ্রুত কাজ করে পালিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করেন এলাকাবাসী।

এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মাকসুদ কাজীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে সাইট ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম নিশাত জানান, প্রথমে ভিটি বালু ব্যবহার করা হয়েছিল। এখন ২.২ এফএম বালু ব্যবহার করা হচ্ছে। গাইডওয়াল গত বছর নির্মাণ করায় বৃষ্টিতে কিছু জায়গায় মাটি ধ্বসে গেছে। এখানে মাটি না পাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে রাস্তার দু পাশে শোল্ডার করা যাচ্ছে না। তবে, ব্লকের কাজ শেষ করেই মাটি দেয়া হবে।

শিবালয় উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজে যদি কোন অনিয়ম থাকে তাহলে অবশ্যই আমি ব্যবস্থা নেব।

এ ব্যাপারে শিবালয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বেলাল হোসেন বলেন,‘রাস্তাটি মানসম্পন্ন হচ্ছে না বলে এলাকাবাসী আমার কাছে অভিযোগ করেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

আজকের প্রত্যাশা/কেএমএএ