ঢাকা ০৪:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নিবেদন আর প্রেরণা দিয়ে ফাইনাল জেতা যাবে না: আনচেলত্তি

  • আপডেট সময় : ১০:৪৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ মে ২০২২
  • ১৯ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নক আউট পর্বে অবিশ্বাস্য সব প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলেও দলের সামগ্রিক পারফরম্যান্সে খুশি হতে পারছেন না রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি। খেলোয়াড়দের নিবেদন নিয়ে অবশ্য কোনো প্রশ্ন নেই। তবে ফাইনাল জিততে শিষ্যদের কাছে আরও বেশি কিছু চান বর্ষীয়ান এই কোচ।
ইউরোপ সেরার লড়াইয়ে আগামী শনিবার লিভারপুলের মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ। মঙ্গলবার মাদ্রিদে সংবাদ সম্মেলনে আসছে ম্যাচে সাফল্য পেতে নিজের ভাবনা জানান আনচেলত্তি।
“আমরা নিজেদের খেলায় অসাধারণ কিছু দেখাতে পারিনি। কিন্তু নিবেদন ও প্রেরণার দিক থেকে কেউ আমাদের হারাতে পারেনি। কেবল নিবেদন ও প্রেরণা ফাইনাল জেতার জন্য যথেষ্ট হবে না, কিন্তু ফাইনালে এগুলো থাকতে হবে। ফাইনালে কেউ ফেভারিট নয়, তবে বড় খেলায় আমরা যা করি সেটা দিয়েই এটা অর্জন করতে হবে।”
কিলিয়ান এমবাপেকে খুব করে দলে ভেড়াতে চেয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। চুক্তির পথে অনেক দূর এগিয়ে গেলেও ফরাসি তারকা শেষ পর্যন্ত পিএসজিতেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে এমবাপের এই সিদ্ধান্ত রিয়ালের ড্রেসিংরুমে কোনো প্রভাব ফেলেনি বলে দাবি আনচেলত্তির।
এই নিয়ে সবশেষ আট বছরে পঞ্চম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল খেলতে যাচ্ছে রিয়াল। খেলোয়াড়দের এই অভিজ্ঞতাকে বাড়তি সুবিধা হিসেবে দেখছেন ৬২ বছর বয়সী কোচ।
“কীভাবে ফাইনাল খেলতে হয়, কিছু খেলোয়াড়ও আমাকে তা শেখাতে পারে (হাসিমুখে)। তারা আমার চেয়ে বেশি ফাইনাল খেলেছে। ড্রেসিংরুমে দলকে উজ্জীবিত করা আমার জন্য সহজ হবে। আসলে আমার কিছু বলারও দরকার নেই। তারা জানে কীভাবে ভালো প্রস্তুতি নিতে হয়, কারণ গত বছরগুলোতে তারা এভাবেই এগিয়েছে।”
“যে বিষয়টা আমাকে সবচেয়ে বেশি অবাক করে তা হলো, এই দলের খেলোয়াড়রা এত সাফল্য পাওয়ার পরও অনেক বিনয়ী এবং কঠোর পরিশ্রমী। তারা প্রস্তুত ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, একই সঙ্গে মুহূর্তটি উপভোগও করছে।”
ইউরোপের শীর্ষ ক্লাব প্রতিযোগিতায় ভিন্ন ক্লাবের হয়ে তিনবার ট্রফি জয়ী প্রথম কোচ আনচেলত্তি। এবার প্রথম কোচ হিসেবে চতুর্থ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপার হাতছানি তার সামনে। একটু যেন মজা করেই আনচেলত্তি বললেন, মৌসুমে শেষ বড় ম্যাচের আগে আবেগকে ঠিক নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছেন না তিনি। “আমি প্রচুর ঘামছি, আমার হার্ট বিটও বাড়তে শুরু করেছেৃকেন এমন হচ্ছে, ঠিক বর্ণনা করতে পারব না। সময়টা কঠিন, কারণ খেলা শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু করা সম্ভব না।”
“কিক-অফের পর, সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যায়। কিন্তু এমন কোনো ওষুধ নেই যা ম্যাচ শুরুর তিন ঘণ্টা আগের অনুভূতি পরিবর্তন করতে পারে।”
আনচেলত্তি জানিয়েছেন, তার খেলোয়াড়রা সবাই ভালো আছেন। অর্থাৎ দলে কোনো চোট সমস্যা নেই। পুরো শক্তির দলই তিনি পাচ্ছেন ফাইনালে।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার লার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নিবেদন আর প্রেরণা দিয়ে ফাইনাল জেতা যাবে না: আনচেলত্তি

আপডেট সময় : ১০:৪৪:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ মে ২০২২

ক্রীড়া ডেস্ক : চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নক আউট পর্বে অবিশ্বাস্য সব প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলেও দলের সামগ্রিক পারফরম্যান্সে খুশি হতে পারছেন না রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি। খেলোয়াড়দের নিবেদন নিয়ে অবশ্য কোনো প্রশ্ন নেই। তবে ফাইনাল জিততে শিষ্যদের কাছে আরও বেশি কিছু চান বর্ষীয়ান এই কোচ।
ইউরোপ সেরার লড়াইয়ে আগামী শনিবার লিভারপুলের মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ। মঙ্গলবার মাদ্রিদে সংবাদ সম্মেলনে আসছে ম্যাচে সাফল্য পেতে নিজের ভাবনা জানান আনচেলত্তি।
“আমরা নিজেদের খেলায় অসাধারণ কিছু দেখাতে পারিনি। কিন্তু নিবেদন ও প্রেরণার দিক থেকে কেউ আমাদের হারাতে পারেনি। কেবল নিবেদন ও প্রেরণা ফাইনাল জেতার জন্য যথেষ্ট হবে না, কিন্তু ফাইনালে এগুলো থাকতে হবে। ফাইনালে কেউ ফেভারিট নয়, তবে বড় খেলায় আমরা যা করি সেটা দিয়েই এটা অর্জন করতে হবে।”
কিলিয়ান এমবাপেকে খুব করে দলে ভেড়াতে চেয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। চুক্তির পথে অনেক দূর এগিয়ে গেলেও ফরাসি তারকা শেষ পর্যন্ত পিএসজিতেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে এমবাপের এই সিদ্ধান্ত রিয়ালের ড্রেসিংরুমে কোনো প্রভাব ফেলেনি বলে দাবি আনচেলত্তির।
এই নিয়ে সবশেষ আট বছরে পঞ্চম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল খেলতে যাচ্ছে রিয়াল। খেলোয়াড়দের এই অভিজ্ঞতাকে বাড়তি সুবিধা হিসেবে দেখছেন ৬২ বছর বয়সী কোচ।
“কীভাবে ফাইনাল খেলতে হয়, কিছু খেলোয়াড়ও আমাকে তা শেখাতে পারে (হাসিমুখে)। তারা আমার চেয়ে বেশি ফাইনাল খেলেছে। ড্রেসিংরুমে দলকে উজ্জীবিত করা আমার জন্য সহজ হবে। আসলে আমার কিছু বলারও দরকার নেই। তারা জানে কীভাবে ভালো প্রস্তুতি নিতে হয়, কারণ গত বছরগুলোতে তারা এভাবেই এগিয়েছে।”
“যে বিষয়টা আমাকে সবচেয়ে বেশি অবাক করে তা হলো, এই দলের খেলোয়াড়রা এত সাফল্য পাওয়ার পরও অনেক বিনয়ী এবং কঠোর পরিশ্রমী। তারা প্রস্তুত ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, একই সঙ্গে মুহূর্তটি উপভোগও করছে।”
ইউরোপের শীর্ষ ক্লাব প্রতিযোগিতায় ভিন্ন ক্লাবের হয়ে তিনবার ট্রফি জয়ী প্রথম কোচ আনচেলত্তি। এবার প্রথম কোচ হিসেবে চতুর্থ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপার হাতছানি তার সামনে। একটু যেন মজা করেই আনচেলত্তি বললেন, মৌসুমে শেষ বড় ম্যাচের আগে আবেগকে ঠিক নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছেন না তিনি। “আমি প্রচুর ঘামছি, আমার হার্ট বিটও বাড়তে শুরু করেছেৃকেন এমন হচ্ছে, ঠিক বর্ণনা করতে পারব না। সময়টা কঠিন, কারণ খেলা শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু করা সম্ভব না।”
“কিক-অফের পর, সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যায়। কিন্তু এমন কোনো ওষুধ নেই যা ম্যাচ শুরুর তিন ঘণ্টা আগের অনুভূতি পরিবর্তন করতে পারে।”
আনচেলত্তি জানিয়েছেন, তার খেলোয়াড়রা সবাই ভালো আছেন। অর্থাৎ দলে কোনো চোট সমস্যা নেই। পুরো শক্তির দলই তিনি পাচ্ছেন ফাইনালে।