ঢাকা ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিবন্ধন পেতে যাচ্ছে এনসিপিসহ ৬ রাজনৈতিক দল

  • আপডেট সময় : ০১:০২:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৪ বার পড়া হয়েছে

ছবি সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চূড়ান্ত নিবন্ধন পেতে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) ছয়টি নতুন রাজনৈতিক দল। কমিশনের স্বাক্ষর হওয়ার পর নতুন নিবন্ধিত দলগুলোর বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করবে নির্বাচন কমিশন।

ইসির দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ২২টি দলের মাঠ পর্যায়ে যাচাই-বাছাই শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় লীগসহ ছয়টি দলকে চূড়ান্তভাবে নিবন্ধন দিতে নথিতে ফাইল তোলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট শাখার কার্যক্রম বা স্বাক্ষর হয়েছে গত রোববার। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) কমিশনের অনুমোদনের জন্য ফাইল কমিশনের কাছে পাঠানো হবে। তবে কমিশন চাইলে শাখার প্রস্তাবে সংযোজন-বিয়োজন করতে পারবে। মূলত কমিশনের চূড়ান্ত অনুমোদনের পর গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।

এক প্রশ্নে ওই সূত্র আরো জানায়, মোট ৬টি দলের নিবন্ধনের জন্য কমিশনের কাছে নথিতে ফাইল তোলা হয়েছে। ১০টি দলের বিষয়ে পুনতদন্ত করা হবে এবং বাকি ৬টি দলের আবেদন বাতিল করা হয়েছে। এই ১০টি দলের মধ্যে ৯টির মাঠ পর্যায়ে পুনতদন্ত এবং একটি দলের পুনতদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে নির্বাচন কমিশনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে।

এর আগে, নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব আলী নেওয়াজ গত ১৪ এবং ১৫ সেপ্টেম্বর দুটি দল ছাড়া ২০টি দলের শুনানি করে। অন্যান্যবারের মতো এবারও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দল নিবন্ধনের আবেদন আহ্বান করে ইসি। এতে ১৪৩টি নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন চেয়ে আবেদন করেছিল। প্রথম দফায় কোনো দলই শর্ত পূরণ না করায় সবাইকে সময় দিয়ে ঘাটতি পূরণ করতে বলেছিল ইসি। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ ৮৪টি দল সাড়া দিলেও অন্যরা সাড়া দেয়নি। ৮৪টি দলের মধ্যে আবার ৬২টি দল ঘাটতি পূরণ করতে তথ্য জমা দিয়েও শর্ত পূরণ করতে পারেনি। তাই বর্তমানে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ ২২টি দলের মাঠ পর্যায়ে তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শুনানি করে ইসি।

যে ২২টি দলের মাঠ পর্যায়ে তদন্ত করা হয়—

ফরোয়ার্ড পার্টি, আমজনতার দল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি), বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি), বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), মৌলিক বাংলা, বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, জাতীয় জনতা পার্টি, জনতার দল, জনতা পার্টি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি, জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি, বাংলাদেশ জাতীয় লীগ, ভাসানী জনশক্তি পাটি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ-শাহজাহান সিরাজ), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ বেকার সমাজ (বাবেস), বাংলাদেশ সলুশন পার্টি এবং নতুন বাংলাদেশ পার্টি।

আইন অনুযায়ী, নিবন্ধন পেতে ইচ্ছুক দলের একটি কেন্দ্রীয় কমিটি, এক তৃতীয় জেলা ও ১০০টি উপজেলা কমিটি এবং প্রতিটি কমিটিতে ২০০ ভোটারের সমর্থনের প্রমাণ থাকতে হয়। এছাড়া কোনো দলের কেউ আগে সংসদ সদস্য থাকলে বা আগের নির্বাচনের পাঁচ শতাংশ ভোট পেলেও নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে ধরে থাকে ইসি। এ প্রধান শর্তগুলো ছাড়াও বেশকিছু নিয়ম কানুন মেনে আবেদন করতে হয়।

নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় দলগুলোর আবেদন পাওয়ার পর কমিশন প্রথমে এগুলো প্রাথমিক বাছাই করে। এরপর প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ দলগুলোর তথ্যাবলি সরেজমিন তদন্ত শেষে বাছাই সম্পন্ন করা হয়। পরবর্তীতে মনোনীত দলগুলোর বিরুদ্ধে কারো কোনো অভিযোগ থাকলে দাবি-আপত্তি চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। সেখানে কোনো আপত্তি এলে শুনানি করে তা নিষ্পত্তি করে কমিশন। আর কোনো আপত্তি না থাকলে সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে নিবন্ধন সনদ প্রদান করে সংস্থাটি। নিবন্ধন ছাড়া কোনো দল নিজ প্রতীকে ভোটে প্রার্থী দিতে পারে না।

বর্তমানে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫১টি (আওয়ামী লীগসহ)। এবার আরো ছয়টি দল নিবন্ধন পেলে ইসির নিবন্ধিত মোট দলের সংখ্যা দাঁড়াবে ৫৭টি। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন প্রথা চালু করে ইসি|

এসি/আপ্র/২২/০৯/২০২৫

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নিবন্ধন পেতে যাচ্ছে এনসিপিসহ ৬ রাজনৈতিক দল

আপডেট সময় : ০১:০২:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্বাচন কমিশনের (ইসি) চূড়ান্ত নিবন্ধন পেতে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) ছয়টি নতুন রাজনৈতিক দল। কমিশনের স্বাক্ষর হওয়ার পর নতুন নিবন্ধিত দলগুলোর বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করবে নির্বাচন কমিশন।

ইসির দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ২২টি দলের মাঠ পর্যায়ে যাচাই-বাছাই শেষে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় লীগসহ ছয়টি দলকে চূড়ান্তভাবে নিবন্ধন দিতে নথিতে ফাইল তোলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট শাখার কার্যক্রম বা স্বাক্ষর হয়েছে গত রোববার। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) কমিশনের অনুমোদনের জন্য ফাইল কমিশনের কাছে পাঠানো হবে। তবে কমিশন চাইলে শাখার প্রস্তাবে সংযোজন-বিয়োজন করতে পারবে। মূলত কমিশনের চূড়ান্ত অনুমোদনের পর গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।

এক প্রশ্নে ওই সূত্র আরো জানায়, মোট ৬টি দলের নিবন্ধনের জন্য কমিশনের কাছে নথিতে ফাইল তোলা হয়েছে। ১০টি দলের বিষয়ে পুনতদন্ত করা হবে এবং বাকি ৬টি দলের আবেদন বাতিল করা হয়েছে। এই ১০টি দলের মধ্যে ৯টির মাঠ পর্যায়ে পুনতদন্ত এবং একটি দলের পুনতদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে নির্বাচন কমিশনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে।

এর আগে, নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব আলী নেওয়াজ গত ১৪ এবং ১৫ সেপ্টেম্বর দুটি দল ছাড়া ২০টি দলের শুনানি করে। অন্যান্যবারের মতো এবারও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দল নিবন্ধনের আবেদন আহ্বান করে ইসি। এতে ১৪৩টি নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন চেয়ে আবেদন করেছিল। প্রথম দফায় কোনো দলই শর্ত পূরণ না করায় সবাইকে সময় দিয়ে ঘাটতি পূরণ করতে বলেছিল ইসি। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ ৮৪টি দল সাড়া দিলেও অন্যরা সাড়া দেয়নি। ৮৪টি দলের মধ্যে আবার ৬২টি দল ঘাটতি পূরণ করতে তথ্য জমা দিয়েও শর্ত পূরণ করতে পারেনি। তাই বর্তমানে জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ ২২টি দলের মাঠ পর্যায়ে তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শুনানি করে ইসি।

যে ২২টি দলের মাঠ পর্যায়ে তদন্ত করা হয়—

ফরোয়ার্ড পার্টি, আমজনতার দল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি), বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি (বিআরপি), বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), মৌলিক বাংলা, বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, জাতীয় জনতা পার্টি, জনতার দল, জনতা পার্টি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি, জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি, বাংলাদেশ জাতীয় লীগ, ভাসানী জনশক্তি পাটি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ-শাহজাহান সিরাজ), জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ বেকার সমাজ (বাবেস), বাংলাদেশ সলুশন পার্টি এবং নতুন বাংলাদেশ পার্টি।

আইন অনুযায়ী, নিবন্ধন পেতে ইচ্ছুক দলের একটি কেন্দ্রীয় কমিটি, এক তৃতীয় জেলা ও ১০০টি উপজেলা কমিটি এবং প্রতিটি কমিটিতে ২০০ ভোটারের সমর্থনের প্রমাণ থাকতে হয়। এছাড়া কোনো দলের কেউ আগে সংসদ সদস্য থাকলে বা আগের নির্বাচনের পাঁচ শতাংশ ভোট পেলেও নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে ধরে থাকে ইসি। এ প্রধান শর্তগুলো ছাড়াও বেশকিছু নিয়ম কানুন মেনে আবেদন করতে হয়।

নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় দলগুলোর আবেদন পাওয়ার পর কমিশন প্রথমে এগুলো প্রাথমিক বাছাই করে। এরপর প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ দলগুলোর তথ্যাবলি সরেজমিন তদন্ত শেষে বাছাই সম্পন্ন করা হয়। পরবর্তীতে মনোনীত দলগুলোর বিরুদ্ধে কারো কোনো অভিযোগ থাকলে দাবি-আপত্তি চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। সেখানে কোনো আপত্তি এলে শুনানি করে তা নিষ্পত্তি করে কমিশন। আর কোনো আপত্তি না থাকলে সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে নিবন্ধন সনদ প্রদান করে সংস্থাটি। নিবন্ধন ছাড়া কোনো দল নিজ প্রতীকে ভোটে প্রার্থী দিতে পারে না।

বর্তমানে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫১টি (আওয়ামী লীগসহ)। এবার আরো ছয়টি দল নিবন্ধন পেলে ইসির নিবন্ধিত মোট দলের সংখ্যা দাঁড়াবে ৫৭টি। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন প্রথা চালু করে ইসি|

এসি/আপ্র/২২/০৯/২০২৫