অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক : রাজধানী ঢাকার গুলশান, বারিধারা, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও ডেমরার বিভিন্ন মার্কেটে অভিমান চালিয়ে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভ্যাট নিবন্ধন না নেয়ায় তথ্য পেয়েছে ভ্যাট গোয়েন্দা।
গত সোমবার জরিপ টিম কার্যক্রম চালিয়ে এ তথ্য পেয়েছে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের (মূল্য সংযোজন কর) মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।
তিনি জানান, ভ্যাট গোয়েন্দার জরিপ টিম নিবন্ধন না নেয়া প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি নিবন্ধন নেয়ার পরও ভ্যাট না দেয়া প্রতিষ্ঠানের তথ্য পেয়েছে। ভ্যাট আইন অনুসারে এসব প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি জানান, ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টারের হোসেন মার্কেটে মোট ২২১টি রয়েছে। এর মধ্যে নিবন্ধন আছে ১২টি। বিপরীতে ২০৯টির নিবন্ধন নেই। আর কেন্দ্রীয় নিবন্ধন ২টি। মার্কেটটির দুটি দোকান ৫০০০ টাকার উপরে ভ্যাট দেয়।
ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টারের হাজী হোসেন প্লাজায় জরিপ চালিয়ে ভ্যাট গোয়েন্দা মোট দোকান পেয়েছে ১৮৮টি। এর মধ্যে নিবন্ধন আছে ১০টি। বিপরীতে ১৭৮টির নিবন্ধন নেই। এখান থেকে মাসে ৫০০০ টাকার বেশি ভ্যাট দেয় ১টি।
ধানমন্ডি সানরাইজ প্লাজায় ভ্যাট গোয়েন্দা মোট দোকান পেয়েছে ৫৭টি। এর মধ্যে নিবন্ধন আছে ৩০টির। বিপরীতে ২৭টির নিবন্ধন নেই। এখান থেকে মাসে ৫০০০ টাকার বেশি ভ্যাট দেয় ৪টি এবং ২৬টি প্রতিষ্ঠান ৫০০০ টাকার কম ভ্যাট দেয়।
মোহাম্মদপুরের টোকিও স্কয়ার জরিপ চালিয়ে ভ্যাট গোয়েন্দা মোট দোকান পেয়েছে ২৪০টি। এর মধ্যে নিবন্ধন আছে ১৯৮টির। বিপরীতে নিবন্ধন নেই ৪২টির। এখান থেকে মাসে ৫০০০ টাকার বেশি ভ্যাট দেয় ২টি এবং ৪০টি প্রতিষ্ঠান ৫০০০ টাকার কম ভ্যাট দেয়।
বারিধারা ডিওএইচএস অনন্যা শপিং সেন্টার ভ্যাট গোয়েন্দা মোট দোকান পেয়েছে ৫২টি। যার মধ্যে নিবন্ধন আছে ৩১টির। বিপরীতে ২১টির নিবন্ধন নেই। এখান থেকে নিয়মিত ভ্যাট দেয় ১১টি। একটিও মাসে ৫০০০ টাকার উপরে ভ্যাট দেয় না। আবার নিবন্ধিত হওয়ার পরও ২০টি ভ্যাট দেয় না। গুলশান-১ এর নাভানা শপিং কমপ্লেক্স জরিপ চালিয়ে ভ্যাট গোয়েন্দা মোট প্রতিষ্ঠান পেয়েছে ২৮টি। এর মধ্যে নিবন্ধন আছে ২৬টির। বাকি দুটির নিবন্ধন নেই।
নিবন্ধন নেই বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের : গোয়েন্দা জরিপ
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ