ঢাকা ১২:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫

নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দাম, ব্যবসায়ীদের দুষছেন বাণিজ্যমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০২:০২:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ অগাস্ট ২০২২
  • ৮৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সুযোগ নিয়ে ‘এক শ্রেণির ব্যবসায়ী’ পণ্যমূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে দুষছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বলেন, ‘পণ্যমূল্য যে পরিমাণ বাড়ার কথা তার চেয়ে অনেক বেশি বাড়িয়ে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।’ বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সরকার কাজ করছে জানিয়ে মন্ত্রী আগামী দুয়েক মাসের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে আশাবাদী। তিনি স্বীকার করছেন, ‘পণ্যমূল্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। দাম নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।’
সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের একথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা টিসিবির এক কোটি পরিবারের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়। টিপু মুনশি বলেন, ‘টিসিবির মাধ্যমে প্রতি মাসে এক কোটি পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপণ্য দেওয়া হবে। যাদের ফ্যামিলি কার্ড আছে তারাই এই পণ্য কেনার সুযোগ পাবে।’
এরইমধ্যে ৮৫ শতাংশ কার্ড তৈরি হয়েছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৩ লাখ কার্ড বিতরণ করা হবে। একটি ওয়ার্ডে একাধিক ডিলারের দোকান থাকবে। সেখান থেকে মাসে একবার কার্ড স্ক্যানিং করে পণ্য নিতে পারবে।’ নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে মানুষের দুর্ভোগ লাগবে সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা সত্য কথাই বলেছেন। আমরা এ বিষয়গুলো দেখছি। তবে সবকিছু বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ করে না। দাম যে পরিমাণ বাড়ার কথা তার থেকে অনেক বেশি সুযোগ নিয়েছে।’
সিন্ডিকেট করে নিত্য প্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম বাড়ানোর যে অভিযোগ আসছে তা মনিটরিং করা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সচিবকে বলেছি যে যেই মন্ত্রণালয়ে আছেন সবাইকে চেষ্টা করতে হবে।’ ‘আমাদের কাছে হিসাব আছে। ধরেন, তেলের দাম বাড়ায় পরিবহন খরচের জন্য প্রতি কেজিতে ৫০ পয়সা করে বাড়তে পারে। সেখানে ব্যবসায়ীরা ৪ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এখানে কোনো লজিক আছে? নাই।’ দাম কবে নাগাদ কমে আসবে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সেটা বলা যাবে না। তবে আমরা খুব আশাবাদী অক্টোবরের মধ্যে কিছুটা কমে আসবে। কতগুলো ফ্যাক্টর কাজ করে। আমি জানি না পুতিন সাহেব কবে যুদ্ধ বন্ধ করবেন। সেটা তো আমার হিসাবের মধ্যে নেই।’
দাম কমানোর স্বার্থে প্রয়োজনে ডিম আমদানি: নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডিমের দামও। বাজারে প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। মন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন ছিল—ডিমের দাম অস্বাভাবিক বাড়ার বিষয়ে আমদানির কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে কি না। উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দাম কমানোর স্বার্থে প্রয়োজনে ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে একটু সময় তো লাগবে। আমরা একটু দেখি। যদি এমনটাই হয় যে, ডিম আমদানি করলে পরে এটা কমবে, তাহলে আমরা আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবো।’
‘আমরা কৃষি, মৎস্যসহ কয়েকটা মন্ত্রণালয় মিলে কীভাবে ডিমের দাম কমানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা করব। তবে সবকিছু কিন্তু রাতারাতি করা সম্ভব না’—বাণিজ্যমন্ত্রী।

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দাম, ব্যবসায়ীদের দুষছেন বাণিজ্যমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০২:০২:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ অগাস্ট ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সুযোগ নিয়ে ‘এক শ্রেণির ব্যবসায়ী’ পণ্যমূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে দুষছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বলেন, ‘পণ্যমূল্য যে পরিমাণ বাড়ার কথা তার চেয়ে অনেক বেশি বাড়িয়ে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।’ বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সরকার কাজ করছে জানিয়ে মন্ত্রী আগামী দুয়েক মাসের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে আশাবাদী। তিনি স্বীকার করছেন, ‘পণ্যমূল্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। দাম নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।’
সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের একথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা টিসিবির এক কোটি পরিবারের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ সম্মেলনটির আয়োজন করা হয়। টিপু মুনশি বলেন, ‘টিসিবির মাধ্যমে প্রতি মাসে এক কোটি পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপণ্য দেওয়া হবে। যাদের ফ্যামিলি কার্ড আছে তারাই এই পণ্য কেনার সুযোগ পাবে।’
এরইমধ্যে ৮৫ শতাংশ কার্ড তৈরি হয়েছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৩ লাখ কার্ড বিতরণ করা হবে। একটি ওয়ার্ডে একাধিক ডিলারের দোকান থাকবে। সেখান থেকে মাসে একবার কার্ড স্ক্যানিং করে পণ্য নিতে পারবে।’ নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে মানুষের দুর্ভোগ লাগবে সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা সত্য কথাই বলেছেন। আমরা এ বিষয়গুলো দেখছি। তবে সবকিছু বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ করে না। দাম যে পরিমাণ বাড়ার কথা তার থেকে অনেক বেশি সুযোগ নিয়েছে।’
সিন্ডিকেট করে নিত্য প্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম বাড়ানোর যে অভিযোগ আসছে তা মনিটরিং করা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সচিবকে বলেছি যে যেই মন্ত্রণালয়ে আছেন সবাইকে চেষ্টা করতে হবে।’ ‘আমাদের কাছে হিসাব আছে। ধরেন, তেলের দাম বাড়ায় পরিবহন খরচের জন্য প্রতি কেজিতে ৫০ পয়সা করে বাড়তে পারে। সেখানে ব্যবসায়ীরা ৪ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এখানে কোনো লজিক আছে? নাই।’ দাম কবে নাগাদ কমে আসবে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সেটা বলা যাবে না। তবে আমরা খুব আশাবাদী অক্টোবরের মধ্যে কিছুটা কমে আসবে। কতগুলো ফ্যাক্টর কাজ করে। আমি জানি না পুতিন সাহেব কবে যুদ্ধ বন্ধ করবেন। সেটা তো আমার হিসাবের মধ্যে নেই।’
দাম কমানোর স্বার্থে প্রয়োজনে ডিম আমদানি: নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডিমের দামও। বাজারে প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। মন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন ছিল—ডিমের দাম অস্বাভাবিক বাড়ার বিষয়ে আমদানির কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে কি না। উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দাম কমানোর স্বার্থে প্রয়োজনে ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে একটু সময় তো লাগবে। আমরা একটু দেখি। যদি এমনটাই হয় যে, ডিম আমদানি করলে পরে এটা কমবে, তাহলে আমরা আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবো।’
‘আমরা কৃষি, মৎস্যসহ কয়েকটা মন্ত্রণালয় মিলে কীভাবে ডিমের দাম কমানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা করব। তবে সবকিছু কিন্তু রাতারাতি করা সম্ভব না’—বাণিজ্যমন্ত্রী।