প্রত্যশা ডেস্ক: ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডি একজন নারী— তা প্রমাণে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ ও তার স্ত্রী ব্রিজিত ম্যাখোঁ মার্কিন আদালতে ছবি ও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পেশ করার পরিকল্পনা করছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তাদের আইনজীবী এই খবর জানিয়েছেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এর আগে ম্যাখোঁ দম্পতি মার্কিন কনজারভেটিভ ইনফ্লুয়েন্সার এবং পডকাস্টার ক্যান্ডেস ওয়েন্সের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন। ওয়েন্স দাবি করেন, ব্রিজিত আসলে জন্মসূত্রে পুরুষ। তবে ওয়েন্সের আইনজীবীরা মামলাটি খারিজের আবেদন জানিয়েছেন।
বিবিসির একটি পডকাস্টে ম্যাখোঁ দম্পতির আইনজীবী টম ক্লেয়ার জানান, ডানপন্থী ওয়েন্সের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানির মামলায় এই প্রমাণ উপস্থাপন করা হবে। এসব অভিযোগ ব্রিজিতের জন্য ‘অত্যন্ত ক্ষতিকর’ এবং এগুলো ফরাসি প্রেসিডেন্টের জন্যও বিভ্রান্তি তৈরি করছে।
তিনি বলেন, আমি এটা বলতে চাই না তিনি একেবারেই দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। কিন্তু পেশাগত জীবন আর পারিবারিক জীবন একসঙ্গে সামলাতে গিয়ে যখন আপনার পরিবার আক্রমণের শিকার হয়, সেটা আপনাকে ভোগান্তিতে ফেলে। তিনি যে একটি দেশের প্রেসিডেন্ট, তা সত্ত্বেও এ থেকে মুক্ত নন।
টম ক্লেয়ার জানান, মামলায় বৈজ্ঞানিক বিশেষজ্ঞদের সাক্ষ্য আদালতে উপস্থাপন করা হবে। তবে তিনি এর সুনির্দিষ্ট বিবরণ প্রকাশ করেননি। তিনি বলেন, অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ করতে ম্যাখোঁ দম্পতি পুরোপুরি প্রস্তুত। এটা ভীষণ কষ্টকর আপনাকে এ ধরনের প্রমাণ হাজির করতে হবে। কিন্তু তিনি সত্য প্রকাশ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
ম্যাখোঁ দম্পতির পরিবারের ব্যক্তিগত ছবি, যেমন ব্রিজিতের গর্ভাবস্থা বা সন্তান পালনের ছবি আদালতে পেশ করা হবে কিনা জানতে চাইলে এই আইনজীবী বলেন, এই প্রমাণ আছে এবং আদালতের নিয়ম অনুযায়ী তা উপস্থাপন করা হবে
ক্যান্ডেস ওয়েন্সের সোশ্যাল মিডিয়ায় লক্ষাধিক অনুসারী রয়েছে। তিনি বারবার দাবি করেছেন, ব্রিজিত ম্যাখোঁ একজন পুরুষ। ২০২৪ সালের মার্চে তিনি বলেছিলেন, এই অভিযোগ আনতে তিনি নিজের ‘পেশাগত খ্যাতি’ ঝুঁকিতে ফেলতে রাজি। তবে এই গুজব প্রথমে ফরাসি ব্লগার আমান্ডাইন রয় এবং নাতাশা রে-এর ২০২১ সালের একটি ইউটিউব ভিডিও থেকে ছড়ায়। ২০২৪ সালে ফ্রান্সে রয় ও রে-এর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা জিতে নেন ম্যাখোঁ দম্পতি। তবে ২০২৫ সালে আপিলে সেই রায় বাতিল হয়, যা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ভিত্তিতে হয়েছিল।
ওআ/আপ্র/১৮/০৯/২০২৫