ক্রড়িা প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সের সুইমিংপুলের বিপরীত ভবনের নিচতলায় ভারত্তোলন ফেডারেশনের জিমনিশিয়াম। ছোট্ট একটি কক্ষে চলছে সপ্তম আন্তঃসার্ভিস ভারত্তোলন প্রতিযোগিতা। বাংলাদেশের ভারত্তোলন সার্ভিসেস দল নির্ভর হওয়ায় শীর্ষ ভারত্তোলকরাই এতে অংশগ্রহণ করছেন। দুই এসএ গেমসে স্বর্ণজয়ী ভারত্তোলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত বাংলাদেশ আনসারের হয়ে খেলেন। আজ ৭১ কেজি ওজন শ্রেণীতে প্রথম স্থান ধরে রাখার পাশাপাশি রেকর্ডও করেছেন। ভারত্তোলনের দু’টি অংশ ক্লিন ও জার্ক। দুই বিভাগেই তিন কেজি করে বেশি তুলেছেন। ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১১১ কেজি উত্তোলন করেছেন। সার্ভিসেস প্রতিযোগিতা হলেও ৭১ কেজি ওজন শ্রেণীতে নতুন জাতীয় রেকর্ড করেছেন মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। ঘরোয়া পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় মাবিয়া নিজেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী। এ নিয়ে তার মন্তব্য,‘আসলে এখন লড়াইটা নিজের সঙ্গে নিজেরই। প্রতি টুর্নামেন্টে চেষ্টা থাকে বিগত ওজন ছাড়িয়ে যাওয়ার। ’ ২০১৪ সাল থেকে জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হচ্ছেন সীমান্ত। গত এক দশকে অনেক চ্যাম্পিয়ন ও রেকর্ড গড়েছেন-ভেঙেছেন। তাই নিজের কীর্তি নিজেরই মনে রাখা কষ্টকর, ‘ঠিক মনে নেই, কতবার রেকর্ড হলো বা ভাঙলাম। যত দিন খেলব তত দিনই রেকর্ড করতে চাই।’ ২০১৬ ও ১৯ সালে এসএ গেমসে ৬৩ কেজি ওজন শ্রেণীতে খেলেছিলেন মাবিয়া। ভারত্তোলনের বয়সের সঙ্গে ওজনের শ্রেণী বদলায়। গত বছর থেকে ৭১ কেজিতে খেলছেন। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বাহরাইনে বিশ্ব ভারত্তোলন চ্যাম্পিয়নশীপ খেলবেন এই ওজন শ্রেণীতেই। তার সঙ্গী আনসারের আরেক ভারত্তোলক বাকী বিল্লাহ। ঘরোয়া পর্যায়ে রেকর্ডের পর রেকর্ড দক্ষিণ এশিয়ার গন্ডির বাইরের পারফরম্যান্স তেমন আশাব্যাঞ্জক নয়। এর কারণ সম্পর্কে নির্মম বাস্তবতার কথাই তুলে ধরলেন মাবিয়া,‘আমার ওজন শ্রেণীতে এশিয়ান সেরার মানদন্ডে কয়েক কেজি পিছিয়ে। একজন ভারত্তোলকের খাবার, অনুশীলন, কোচ থেকে শুরু করে অনেক বিষয় জড়িত। বাংলাদেশের ভারত্তোলকরা সব কিছুতেই পিছিয়ে। ফলে বড় পর্যায়ে ভালো করা দুঃসাধ্যই।’
জনপ্রিয় সংবাদ