ঢাকা ০৩:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

নিজের নামে সোলার পার্ক চান না প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট সময় : ০১:৪৯:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অগাস্ট ২০২১
  • ৯২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রস্তাবিত একশ’ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি সোলার পার্কের নামকরণ নিজের নামে করার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে তিনি এ বিরোধিতা করেন। পরে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘একনেক বৈঠক পর্যন্ত এর নাম ছিল শেখ হাসিনা সোলার পার্ক, মাদারগঞ্জ, জামালপুর। প্রধানমন্ত্রী এই নামকরণে ঘোরতর আপত্তি করেছেন। তিনি বলেছেন, এতে তার নাম থাকবে না। কমিটির সদস্যরা তার নামে নামকরণে একাধিকবার অনুরোধ করেন। নামকরণের বিষয়টি বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট থেকে আগেই অনুমতি নেওয়া হয়েছে বলেও বৈঠকে জানানো হয়। সবাই বলেছেন, দেশের সব থেকে বড় সোলার পার্ক এটি, একটি আইকনিক প্রকল্প; এতে আপনার নাম থাকা উচিত। এ জন্য উনাকে বারবার অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু জবাবে তিনি বলেছেন, হবে না, হবে না, হবে না। পরে উনার জোর আপত্তির পর শেখ হাসিনা অংশটি বাদ দিয়ে নামকরণ করা হয় “সোলার পার্ক, মাদারগঞ্জ, জামালপুর”।’ এই নামটির প্রস্তাবও প্রধানমন্ত্রী করেন বলে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান। ভারতীয় ঋণ থেকে এই সোলার পার্ক স্থাপন করা হবে বলেও তিনি জানান।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা। সোলার পার্ক স্থাপনে প্রচুর জমির প্রয়োজন। এই প্রকল্পে সাড়ে তিনশ’ একরের বেশি জমি দরকার হবে। এসব বিবেচনায় এ ধরনের প্রকল্পের যৌক্তিকতা বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শরিফা খান বলেন, ‘সোলার পার্ক স্থাপনে অনেক জমি প্রয়োজন হয়, এটা অস্বীকার করছি না। তবে, এই পুরো জমিটাই খাস এবং অনাবাদি। এখানে কোনও চাষাবাদ হয় না। আর সোলার প্যানেল স্থাপনের পরে জমি অন্য কোনও কাজে লাগানো হবে কিনা এ বিষয়ে কোনও চিন্তা করা হয়নি। ভবিষ্যতে হলে তা জানানো হবে।’
অবশ্য এ সোলার পার্কটি বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার কোদালিয়ায় স্থাপনের প্রস্তাব হলেও ফিজিবিলিটি স্ট্যাডিতে তা নাকচ হয়ে যায়। একনেকে এই প্রকল্পসহ ৭ হাজার ৯৮৫ কোটি ৮ লাখ টাকার ব্যয়ে ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শেরেবাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। গণভবন থেকে এতে সংযুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
একনেকে আট হাজার কোটি টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন : সাত হাজার ৯৮৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)। এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৬ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা, প্রকল্প ঋণ থেকে এক হাজার ১৮৮ কোটি টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ১৩৭ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।
গতকাল মঙ্গলবার একনেক সভায় এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষের সঙ্গে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ভিডিও কনফারেন্স ও সরাসরি সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
অনুমোদিত ১০ প্রকল্প হলো-
১. ‘জরাজীর্ণ, অপ্রশস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বিদ্যমান বেইলি ও অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ সেতু প্রতিস্থাপন প্রকল্প (রংপুর জোন)’ বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৮৬১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর।

২. ‘বাগেরহাট-রামপাল-মংলা জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৬৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। প্রকল্পটি চলতি বছরের জুলাই থেকে জুন ২০২৪ সালে বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর।

৩. ‘গ্রাম পর্যায়ে টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং ৫জি সেবা প্রদানে নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ন’ প্রকল্পটির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ১৪৪ কোটি টাকা। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রকল্পটি চলতি বছরের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের নভেম্বরে বাস্তবায়ন করবে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড।

৪. ‘দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে মুক্তিযুদ্ধের অডিও ভিজুয়াল দলিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণ এবং বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সক্ষমতা বৃদ্ধি’ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৬২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। প্রকল্পটি জুলাই ২০২০ সাল থেকে জুন ২০২৩ সালে বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ।

৫. ‘চর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট প্রজেক্ট-ব্রিজিং (অতিরিক্ত অর্থায়ন, এলজিইডি অংশ)’ প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর।

৬. ‘ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৯০ কোটি টাকা। প্রকল্পটি চলতি বছরের এপ্রিল থেকে মার্চ ২০২৬ সালে বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)।

৭. পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের ‘পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্প- ৩য় পর্যায়’ প্রকল্পর ব্যয় ধরা হয়েছে ৯২৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। চলতি বছরের জুলাই থেকে জুন ২০২৬ সালে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি)।

৮. ‘কুড়িগ্রাম জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত দুধকুমার নদী ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন’ প্রকল্পটির জন্য ব্যয় হবে ৬৯২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এই প্রকল্পটি চলতি বছরের জুলাই থেকে জুন ২০২৪ সালে বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো)।

৯. মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পটি প্রথম সংশোধনের মাধ্যমে ব্যয় বেড়ে হচ্ছে ১৫৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। প্রকল্পটির মূল ব্যয় ছিল ৯৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। প্রকল্পটি সংশোধন হলে দুই বছর মেয়াদ বেড়ে হবে জুন ২০২৩ সাল পর্যন্ত।

১০. ‘শেখ হাসিনা সোলার পার্ক, জামালপুরে মাদারগঞ্জ ১০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ’ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা। প্রকল্পটি চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর ২০২৩ সালে বাস্তবায়ন করবে রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (আরপিসিএল)।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নিজের নামে সোলার পার্ক চান না প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০১:৪৯:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অগাস্ট ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রস্তাবিত একশ’ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি সোলার পার্কের নামকরণ নিজের নামে করার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে তিনি এ বিরোধিতা করেন। পরে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘একনেক বৈঠক পর্যন্ত এর নাম ছিল শেখ হাসিনা সোলার পার্ক, মাদারগঞ্জ, জামালপুর। প্রধানমন্ত্রী এই নামকরণে ঘোরতর আপত্তি করেছেন। তিনি বলেছেন, এতে তার নাম থাকবে না। কমিটির সদস্যরা তার নামে নামকরণে একাধিকবার অনুরোধ করেন। নামকরণের বিষয়টি বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট থেকে আগেই অনুমতি নেওয়া হয়েছে বলেও বৈঠকে জানানো হয়। সবাই বলেছেন, দেশের সব থেকে বড় সোলার পার্ক এটি, একটি আইকনিক প্রকল্প; এতে আপনার নাম থাকা উচিত। এ জন্য উনাকে বারবার অনুরোধ করা হয়েছে। কিন্তু জবাবে তিনি বলেছেন, হবে না, হবে না, হবে না। পরে উনার জোর আপত্তির পর শেখ হাসিনা অংশটি বাদ দিয়ে নামকরণ করা হয় “সোলার পার্ক, মাদারগঞ্জ, জামালপুর”।’ এই নামটির প্রস্তাবও প্রধানমন্ত্রী করেন বলে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান। ভারতীয় ঋণ থেকে এই সোলার পার্ক স্থাপন করা হবে বলেও তিনি জানান।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা। সোলার পার্ক স্থাপনে প্রচুর জমির প্রয়োজন। এই প্রকল্পে সাড়ে তিনশ’ একরের বেশি জমি দরকার হবে। এসব বিবেচনায় এ ধরনের প্রকল্পের যৌক্তিকতা বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শরিফা খান বলেন, ‘সোলার পার্ক স্থাপনে অনেক জমি প্রয়োজন হয়, এটা অস্বীকার করছি না। তবে, এই পুরো জমিটাই খাস এবং অনাবাদি। এখানে কোনও চাষাবাদ হয় না। আর সোলার প্যানেল স্থাপনের পরে জমি অন্য কোনও কাজে লাগানো হবে কিনা এ বিষয়ে কোনও চিন্তা করা হয়নি। ভবিষ্যতে হলে তা জানানো হবে।’
অবশ্য এ সোলার পার্কটি বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার কোদালিয়ায় স্থাপনের প্রস্তাব হলেও ফিজিবিলিটি স্ট্যাডিতে তা নাকচ হয়ে যায়। একনেকে এই প্রকল্পসহ ৭ হাজার ৯৮৫ কোটি ৮ লাখ টাকার ব্যয়ে ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শেরেবাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। গণভবন থেকে এতে সংযুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
একনেকে আট হাজার কোটি টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন : সাত হাজার ৯৮৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)। এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৬ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা, প্রকল্প ঋণ থেকে এক হাজার ১৮৮ কোটি টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ১৩৭ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।
গতকাল মঙ্গলবার একনেক সভায় এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেন একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষের সঙ্গে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ভিডিও কনফারেন্স ও সরাসরি সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
অনুমোদিত ১০ প্রকল্প হলো-
১. ‘জরাজীর্ণ, অপ্রশস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বিদ্যমান বেইলি ও অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ সেতু প্রতিস্থাপন প্রকল্প (রংপুর জোন)’ বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৮৬১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর।

২. ‘বাগেরহাট-রামপাল-মংলা জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৬৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। প্রকল্পটি চলতি বছরের জুলাই থেকে জুন ২০২৪ সালে বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর।

৩. ‘গ্রাম পর্যায়ে টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং ৫জি সেবা প্রদানে নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ন’ প্রকল্পটির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ১৪৪ কোটি টাকা। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রকল্পটি চলতি বছরের এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের নভেম্বরে বাস্তবায়ন করবে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড।

৪. ‘দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে মুক্তিযুদ্ধের অডিও ভিজুয়াল দলিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণ এবং বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সক্ষমতা বৃদ্ধি’ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৬২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। প্রকল্পটি জুলাই ২০২০ সাল থেকে জুন ২০২৩ সালে বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ।

৫. ‘চর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট প্রজেক্ট-ব্রিজিং (অতিরিক্ত অর্থায়ন, এলজিইডি অংশ)’ প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর।

৬. ‘ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৯০ কোটি টাকা। প্রকল্পটি চলতি বছরের এপ্রিল থেকে মার্চ ২০২৬ সালে বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি)।

৭. পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের ‘পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্প- ৩য় পর্যায়’ প্রকল্পর ব্যয় ধরা হয়েছে ৯২৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। চলতি বছরের জুলাই থেকে জুন ২০২৬ সালে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি)।

৮. ‘কুড়িগ্রাম জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত দুধকুমার নদী ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন’ প্রকল্পটির জন্য ব্যয় হবে ৬৯২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এই প্রকল্পটি চলতি বছরের জুলাই থেকে জুন ২০২৪ সালে বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো)।

৯. মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পটি প্রথম সংশোধনের মাধ্যমে ব্যয় বেড়ে হচ্ছে ১৫৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। প্রকল্পটির মূল ব্যয় ছিল ৯৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। প্রকল্পটি সংশোধন হলে দুই বছর মেয়াদ বেড়ে হবে জুন ২০২৩ সাল পর্যন্ত।

১০. ‘শেখ হাসিনা সোলার পার্ক, জামালপুরে মাদারগঞ্জ ১০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ’ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা। প্রকল্পটি চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর ২০২৩ সালে বাস্তবায়ন করবে রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (আরপিসিএল)।