ঢাকা ০৯:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

নিজের দেওয়া বাজেট ৯৮ গুণ বাড়িয়েছিলেন মুহিত

  • আপডেট সময় : ০১:৩৯:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সদ্যপ্রয়াত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত দেশের সর্বোচ্চ বাজেট পেশকারীদের একজন। তার সমান ১২ বার জাতীয় বাজেট পেশ করেছেন আরেক প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান। এর বাইরেও অর্থমন্ত্রী হিসেবে একটি রেকর্ড রয়েছে এই রাজনীতিকের। তিনি নিজের দেওয়া প্রথম বাজেটের তুলনায় শেষ বাজেট বৃদ্ধি করেছিলেন ৯৮ গুণ।
মরহুম রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সময় ১৯৮২-৮৩ অর্থবছরে মুহিত প্রথম বাজেট পেশ করেন। সে বাজেটের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। সর্বশেষ তিনি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আবদুল মুহিত তার ১২তম বাজেট পেশ করেন। ওই অর্থবছরে তার প্রস্তাবিত বাজেটে ছিল ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা।
মুহিতের হাত ধরেই বাংলাদেশ লাখ কোটি টাকা বাজেটের মাইলফলক স্পর্শ করে। বর্তমান আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর প্রথম বছরই তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০০৯-১০ অর্থ বছরে এক ১৩ হাজার ৮১৫ কোটি টাকার বাজেট দেন।
অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে থেকে বিএনপির এম সাইফুর রহমান ১৯৮০-৮১ ও ১৯৮১-৮২ অর্থবছরে দু’বার এবং ১৯৯১-৯২, ১৯৯২-৯৩, ১৯৯৩-৯৪, ১৯৯৪-৯৫, ১৯৯৫-৯৬ অর্থবছরে পাঁচবার এবং ২০০২-০৩, ২০০৩-০৪, ২০০৪-০৫, ২০০৫-০৬, ২০০৬-০৭ পর্যন্ত আরও পাঁচ বারসহ সর্বমোট ১২ বার বাজেট পেশ করেন।
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ১৯৮২-৮৩ ও ১৯৮৩-৮৪ অর্থবছরে দুই বার, ২০০৯-১০, ২০১০-১১, ২০১১-১২, ২০১২-১৩, ২০১৩-১৪, ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬, ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১০ বারসহ সর্বমোট ১২ বার বাজেট পেশ করেন।
সদ্যবিদায়ী এ অর্থমন্ত্রীর হাত ধরেই জিডিপি প্রবৃদ্ধির রেকর্ড করে। ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬.০১ শতাংশ। তা ২০১৮-২০১৯ অর্থবছর তা দাঁড়ায় ৮ দশমিক ১৫ শতাংশে। মুহিত অর্থমন্ত্রী পথ থেকে বিদায় নেওয়ার পর প্রবৃদ্ধি কিছুটা শ্লথ গতি লক্ষ্য করা গেছে। সর্বশেষে ২০২০-২১ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। অবশ্য এর চলন গতির প্রধান কারণ বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমণ। করোনার কারণে সারা পৃথিবীর অর্থনৈতিক নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য করা গেছে। সেই তুলনায় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় ভালো।
আবদুল মুহিত মোট ১২ বার বাজেট পেশ করেছেন। এর আগে এরশাদ সরকারের আমলে ১৯৮২-৮৩ এবং ৮৩-৮৪ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেছিলেন তিনি। পরে ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের পক্ষে সিলেট-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মুহিত। ওই বছর ৬ জানুয়ারি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনেও তিনি একই আসন থেকে নির্বাচিত হন এবং একই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। আওয়ামী লীগের দুই কারণে তিনি টানা ১০ বার বাজেট পেশ করেন। সর্বশেষ তিনি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেছিলেন। এরপর তিনি ২০১৮ সালের নির্বাচন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি। তার আসন থেকে তার ভাই একে আবদুল মোমেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হন এবং সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।
মুহিত অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পায়। বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতিটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণাটি মুহিতের সময় কালে না হলেও তার সময়কার অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভিত্তিতে এ স্বীকৃতি মিলেছে।
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমানিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কর্ণফুলীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল, ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন সড়ক, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেস ওয়ে, মেট্রোরেলসহ দেশের সব মেগা প্রকল্পের কাজ মুহিত অর্থমন্ত্রী থাকার সময় শুরু হয়। এসব প্রকল্পের কাজ এখন দৃশ্যমান।
১৯৩৪ সালের ৬ অক্টোবর অবিভক্ত ভারতের তৎকালীন শ্রীহট্ট বর্তমান সিলেটে জন্ম নেন আবদুল মুহিত। তার কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৬০ সালে। পাকিস্তান সিভিল সার্ভিস সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব হিসেবে চাকরি জীবন শুরু করেন। টানা ৯ বছর তিনি এ দায়িত্ব পালন করার পর আমেরিকায় তৎকালীন পাকিস্তান দূতাবাসে যোগ দেন। চাকরিরত অবস্থায় পাকিস্তান কর্মপরিকল্পনা কমিশনের প্রধান ও উপসচিব ছিলেন। এ সময় তিনি পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের বৈষম্য প্রতিবেদন আকারে তুলে ধরেন এবং পাকিস্তান জাতীয় কংগ্রেসে পেশ করেন।
স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে তাকে পরিকল্পনা কমিশনের সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৭৭ সালে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বহিসম্পদ বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মুহিত। ১৯৮১ সালে সরকারি চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেন মুহিত। ১৯৮২-৮৩ সালে এরশাদ সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ফোর্ড ফাউন্ডেশন, বিশ্বব্যাংক, আইডিবি, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন সংস্থাসহ (ইফাদ) জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নানা পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নিজের দেওয়া বাজেট ৯৮ গুণ বাড়িয়েছিলেন মুহিত

আপডেট সময় : ০১:৩৯:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ এপ্রিল ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক : সদ্যপ্রয়াত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত দেশের সর্বোচ্চ বাজেট পেশকারীদের একজন। তার সমান ১২ বার জাতীয় বাজেট পেশ করেছেন আরেক প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান। এর বাইরেও অর্থমন্ত্রী হিসেবে একটি রেকর্ড রয়েছে এই রাজনীতিকের। তিনি নিজের দেওয়া প্রথম বাজেটের তুলনায় শেষ বাজেট বৃদ্ধি করেছিলেন ৯৮ গুণ।
মরহুম রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সময় ১৯৮২-৮৩ অর্থবছরে মুহিত প্রথম বাজেট পেশ করেন। সে বাজেটের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। সর্বশেষ তিনি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আবদুল মুহিত তার ১২তম বাজেট পেশ করেন। ওই অর্থবছরে তার প্রস্তাবিত বাজেটে ছিল ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা।
মুহিতের হাত ধরেই বাংলাদেশ লাখ কোটি টাকা বাজেটের মাইলফলক স্পর্শ করে। বর্তমান আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর প্রথম বছরই তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০০৯-১০ অর্থ বছরে এক ১৩ হাজার ৮১৫ কোটি টাকার বাজেট দেন।
অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে থেকে বিএনপির এম সাইফুর রহমান ১৯৮০-৮১ ও ১৯৮১-৮২ অর্থবছরে দু’বার এবং ১৯৯১-৯২, ১৯৯২-৯৩, ১৯৯৩-৯৪, ১৯৯৪-৯৫, ১৯৯৫-৯৬ অর্থবছরে পাঁচবার এবং ২০০২-০৩, ২০০৩-০৪, ২০০৪-০৫, ২০০৫-০৬, ২০০৬-০৭ পর্যন্ত আরও পাঁচ বারসহ সর্বমোট ১২ বার বাজেট পেশ করেন।
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ১৯৮২-৮৩ ও ১৯৮৩-৮৪ অর্থবছরে দুই বার, ২০০৯-১০, ২০১০-১১, ২০১১-১২, ২০১২-১৩, ২০১৩-১৪, ২০১৪-১৫, ২০১৫-১৬, ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১০ বারসহ সর্বমোট ১২ বার বাজেট পেশ করেন।
সদ্যবিদায়ী এ অর্থমন্ত্রীর হাত ধরেই জিডিপি প্রবৃদ্ধির রেকর্ড করে। ২০০৭-২০০৮ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৬.০১ শতাংশ। তা ২০১৮-২০১৯ অর্থবছর তা দাঁড়ায় ৮ দশমিক ১৫ শতাংশে। মুহিত অর্থমন্ত্রী পথ থেকে বিদায় নেওয়ার পর প্রবৃদ্ধি কিছুটা শ্লথ গতি লক্ষ্য করা গেছে। সর্বশেষে ২০২০-২১ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। অবশ্য এর চলন গতির প্রধান কারণ বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস সংক্রমণ। করোনার কারণে সারা পৃথিবীর অর্থনৈতিক নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য করা গেছে। সেই তুলনায় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় ভালো।
আবদুল মুহিত মোট ১২ বার বাজেট পেশ করেছেন। এর আগে এরশাদ সরকারের আমলে ১৯৮২-৮৩ এবং ৮৩-৮৪ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেছিলেন তিনি। পরে ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের পক্ষে সিলেট-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মুহিত। ওই বছর ৬ জানুয়ারি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনেও তিনি একই আসন থেকে নির্বাচিত হন এবং একই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। আওয়ামী লীগের দুই কারণে তিনি টানা ১০ বার বাজেট পেশ করেন। সর্বশেষ তিনি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট পেশ করেছিলেন। এরপর তিনি ২০১৮ সালের নির্বাচন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি। তার আসন থেকে তার ভাই একে আবদুল মোমেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হন এবং সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান।
মুহিত অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পায়। বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতিটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণাটি মুহিতের সময় কালে না হলেও তার সময়কার অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভিত্তিতে এ স্বীকৃতি মিলেছে।
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমানিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কর্ণফুলীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল, ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন সড়ক, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেস ওয়ে, মেট্রোরেলসহ দেশের সব মেগা প্রকল্পের কাজ মুহিত অর্থমন্ত্রী থাকার সময় শুরু হয়। এসব প্রকল্পের কাজ এখন দৃশ্যমান।
১৯৩৪ সালের ৬ অক্টোবর অবিভক্ত ভারতের তৎকালীন শ্রীহট্ট বর্তমান সিলেটে জন্ম নেন আবদুল মুহিত। তার কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৬০ সালে। পাকিস্তান সিভিল সার্ভিস সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব হিসেবে চাকরি জীবন শুরু করেন। টানা ৯ বছর তিনি এ দায়িত্ব পালন করার পর আমেরিকায় তৎকালীন পাকিস্তান দূতাবাসে যোগ দেন। চাকরিরত অবস্থায় পাকিস্তান কর্মপরিকল্পনা কমিশনের প্রধান ও উপসচিব ছিলেন। এ সময় তিনি পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের বৈষম্য প্রতিবেদন আকারে তুলে ধরেন এবং পাকিস্তান জাতীয় কংগ্রেসে পেশ করেন।
স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে তাকে পরিকল্পনা কমিশনের সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৭৭ সালে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বহিসম্পদ বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মুহিত। ১৯৮১ সালে সরকারি চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেন মুহিত। ১৯৮২-৮৩ সালে এরশাদ সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ফোর্ড ফাউন্ডেশন, বিশ্বব্যাংক, আইডিবি, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন সংস্থাসহ (ইফাদ) জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নানা পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।