ঢাকা ০১:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫

নিজের তৈরি রকেটে মহাকাশ ভ্রমণে রিচার্ড

  • আপডেট সময় : ১২:০৪:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই ২০২১
  • ৮৫ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক : বাতাসবিহীন পরিবেশ মহাশূণ্যে ভ্রমণ করা সবার স্বপ্ন পূরণ সম্ভব হয় না। বাস্তবে নতুন মহাকাশ যুগের সূচনা করলেন বৃটিশ ধনকুবের এবং অভিযাত্রী রিচার্ড ব্র্যানসন। সম্প্রতি তার প্রতিষ্ঠান ভার্জিন গ্যালাকটিকের রকেট যানে চড়ে মহাকাশ ছুঁয়ে সফলভাবে অবতরণ করেছেন ভূ-পৃষ্ঠে।
বরাবর স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন রিচার্ড ব্র্যানসন। রকেট যানটি ভূ-পৃষ্ঠ থেকে দুই লাখ ৮২ হাজার ফিট বা ৮৫ কিলোমিটারর উচ্চতায় পৌঁছায়। তার সঙ্গে ছিলেন রকেট যানের দুই পাইলট, ডেভ ম্যাকেই ও মাইকেল মাসুচ্চি এবং তিনজন মিশন স্পেশালিস্ট বেথ মোজেস, কলিন বেনেট এবং সিরিশা ব্র্যান্ডলা।
নিজের তৈরি রকেটে মহাশূন্যের পথে পাড়ি। ইঞ্জিন স্টার্ট হতেই স্বপ্নপূরণের হাসি হাসলেন রিচার্ড ব্র্যানসন। এক ঘন্টার যাত্রায় ইউনিটি-২২ নামের এই মহাকাশযানটি ঘণ্টায় তিন হাজার কিলোমিটারেরও বেশি গতিতে উড়ে যায়।
ভার্জিন গ্যালাকটিকের এই রকেট সাধারণ রকেট নয়। এটিকে ক্যারিয়ার রকেট বলা যেতে পারে। তার কারণ উচ্চ আংশে গিয়ে ছোট একটি স্পেসক্র্যাফ্ট ছেড়ে ইঞ্জিনে আগুন ধরায়। তারপর আবার পৃথিবীতে ফিরে আসে।
ফাইটের পর এক সংবাদ সম্মেলনে রিচার্ড ব্র্যানসন বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই এই মুহুর্তের স্বপ্ন দেখেছি। কিন্তু সত্যি বলতে কী মহাকাশ থেকে পৃথিবীর দৃশ্যের জন্য আসলে কোনো প্রস্তুতিই মূল অভিজ্ঞতার কাছাকাছি নয়। পুরো বিষয়টি ছিল যাদুকরী।
ব্র্যানসনের টিমে অন্যতম হলেন সংস্থার সরকারি বিষয়ক ও সংস্থার গবেষণা কার্যক্রমের সহ-সভাপতি সিরিশা বান্দলা। কল্পনা চাওলার পর ফের ইতিহাস সৃষ্টি করলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই মহিলা।
ভার্জিন গ্যালাকটিকের তরফে এটি চত্র্থুতম মহাকাশ সফর। আগামী বছর বাণিজ্যিকভাবে এই এ ধরনের পর্যটন শুরুর কথা রয়েছে।
ভূমিতে ফিরে আসার পর তিন মিশন স্পেশালিস্টের সঙ্গে স্যার রিচার্ডকে বাণিজ্যিক নভোচারীর উইং পরিয়ে দেন স্পেস স্পেশনের সাবেক কমান্ডার ও কানাডীয় নভোচারী ক্রিস হ্যাডফিল্ড।
আগামী বছর থেকেই রিচার্ড ব্র্যানসন মহাকাশ পর্যটনের জন্য টিকেট বিক্রি শুরু করার পরিকল্পনা করেছেন। তার আগে এটি ছিল পূর্ণ ক্রুসহ টেস্ট ফাইট। তবে মহাশূন্যে অভিযানের এই পথটি রিচার্ড ব্র্যানসনের জন্য সহজ ছিল না। তিনি ২০০৪ সাল থেকে মহাশূন্যে বাণিজ্যিক ভ্রমণ চালু করার প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছেন। আশা ছিল ২০০৭ সালেই এই ভ্রমণ চালু হবে, কিন্তু রকেটে প্রাণঘাতী এক বিস্ফোরণের পর উদ্যোগটি মাঝপথে থেমে যায়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নিজের তৈরি রকেটে মহাকাশ ভ্রমণে রিচার্ড

আপডেট সময় : ১২:০৪:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুলাই ২০২১

প্রযুক্তি ডেস্ক : বাতাসবিহীন পরিবেশ মহাশূণ্যে ভ্রমণ করা সবার স্বপ্ন পূরণ সম্ভব হয় না। বাস্তবে নতুন মহাকাশ যুগের সূচনা করলেন বৃটিশ ধনকুবের এবং অভিযাত্রী রিচার্ড ব্র্যানসন। সম্প্রতি তার প্রতিষ্ঠান ভার্জিন গ্যালাকটিকের রকেট যানে চড়ে মহাকাশ ছুঁয়ে সফলভাবে অবতরণ করেছেন ভূ-পৃষ্ঠে।
বরাবর স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন বলে আগেই জানিয়েছিলেন রিচার্ড ব্র্যানসন। রকেট যানটি ভূ-পৃষ্ঠ থেকে দুই লাখ ৮২ হাজার ফিট বা ৮৫ কিলোমিটারর উচ্চতায় পৌঁছায়। তার সঙ্গে ছিলেন রকেট যানের দুই পাইলট, ডেভ ম্যাকেই ও মাইকেল মাসুচ্চি এবং তিনজন মিশন স্পেশালিস্ট বেথ মোজেস, কলিন বেনেট এবং সিরিশা ব্র্যান্ডলা।
নিজের তৈরি রকেটে মহাশূন্যের পথে পাড়ি। ইঞ্জিন স্টার্ট হতেই স্বপ্নপূরণের হাসি হাসলেন রিচার্ড ব্র্যানসন। এক ঘন্টার যাত্রায় ইউনিটি-২২ নামের এই মহাকাশযানটি ঘণ্টায় তিন হাজার কিলোমিটারেরও বেশি গতিতে উড়ে যায়।
ভার্জিন গ্যালাকটিকের এই রকেট সাধারণ রকেট নয়। এটিকে ক্যারিয়ার রকেট বলা যেতে পারে। তার কারণ উচ্চ আংশে গিয়ে ছোট একটি স্পেসক্র্যাফ্ট ছেড়ে ইঞ্জিনে আগুন ধরায়। তারপর আবার পৃথিবীতে ফিরে আসে।
ফাইটের পর এক সংবাদ সম্মেলনে রিচার্ড ব্র্যানসন বলেন, আমি ছোটবেলা থেকেই এই মুহুর্তের স্বপ্ন দেখেছি। কিন্তু সত্যি বলতে কী মহাকাশ থেকে পৃথিবীর দৃশ্যের জন্য আসলে কোনো প্রস্তুতিই মূল অভিজ্ঞতার কাছাকাছি নয়। পুরো বিষয়টি ছিল যাদুকরী।
ব্র্যানসনের টিমে অন্যতম হলেন সংস্থার সরকারি বিষয়ক ও সংস্থার গবেষণা কার্যক্রমের সহ-সভাপতি সিরিশা বান্দলা। কল্পনা চাওলার পর ফের ইতিহাস সৃষ্টি করলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই মহিলা।
ভার্জিন গ্যালাকটিকের তরফে এটি চত্র্থুতম মহাকাশ সফর। আগামী বছর বাণিজ্যিকভাবে এই এ ধরনের পর্যটন শুরুর কথা রয়েছে।
ভূমিতে ফিরে আসার পর তিন মিশন স্পেশালিস্টের সঙ্গে স্যার রিচার্ডকে বাণিজ্যিক নভোচারীর উইং পরিয়ে দেন স্পেস স্পেশনের সাবেক কমান্ডার ও কানাডীয় নভোচারী ক্রিস হ্যাডফিল্ড।
আগামী বছর থেকেই রিচার্ড ব্র্যানসন মহাকাশ পর্যটনের জন্য টিকেট বিক্রি শুরু করার পরিকল্পনা করেছেন। তার আগে এটি ছিল পূর্ণ ক্রুসহ টেস্ট ফাইট। তবে মহাশূন্যে অভিযানের এই পথটি রিচার্ড ব্র্যানসনের জন্য সহজ ছিল না। তিনি ২০০৪ সাল থেকে মহাশূন্যে বাণিজ্যিক ভ্রমণ চালু করার প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছেন। আশা ছিল ২০০৭ সালেই এই ভ্রমণ চালু হবে, কিন্তু রকেটে প্রাণঘাতী এক বিস্ফোরণের পর উদ্যোগটি মাঝপথে থেমে যায়।