ঢাকা ০৩:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

নিজেকে প্রমাণের চ্যালেঞ্জ জিতে খুশি মাহমুদউল্লাহ

  • আপডেট সময় : ০৯:১০:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ জুলাই ২০২১
  • ৭৬ বার পড়া হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক : পারিপার্শ্বিকতা ছিল প্রতিকূল। মাহমুদউল্লাহ চেয়েছেন জয় করতে। ম্যাচের পরিস্থিতি ছিল কঠিন। মাহমুদউল্লাহ চেয়েছেন নিজের প্রতিজ্ঞা পূরণ করতে। পেরেছেন তিনি সবকিছুই। দেড় বছর পর টেস্টে ফিরে সব চাওয়া পূরণ করতে পেরে অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার পাচ্ছেন দারুণ স্বস্তি। ১৫০ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে মাহমুদউল্লাহ রাঙিয়ে তোলেন ফেরার টেস্ট। হারারে টেস্টের প্রথম দিনে ১৩২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে যখন কাঁপছিল দল, তখন থেকে শুরু তার লড়াই। শুরুতে লিটন দাসের সঙ্গে গড়েন শতরানের জুটি। পরে তাসকিন আহমেদের সঙ্গে নবম উইকেটে গড়েন ১৯১ রানের অভাবনীয় জুটি। বিপর্যয় কাটিয়ে বাংলাদেশ পায় ৪৬৮ রানের পুঁজি। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে টেস্ট থেকে বাদ পড়ার পর সাদা পোশাকে তার ক্যারিয়ারের ইতি দেখে ফেলেছিলেন অনেক। বাংলাদেশের বাস্তবতায় এই বয়সে জায়গা হারালে ফেরা কঠিন। এবার জিম্বাবুয়ে সফরের আগে আরেকটি সুযোগ পেয়ে যান তিনি নাটকীয়ভাবে। প্রথম ঘোষিত দলে তিনি ছিলেন না। দল ঘোষণার তিন দিন পর তাকে যুক্ত করা হয় তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমের চোট শঙ্কা বিবেচনায় রেখে। তখন থেকেই তার ভাবনায় ছিল, একাদশে সুযোগ পেলে মেলে ধরবেন নিজেকে। সেটা করতে পেরে তিনি নিজের ভালো লাগার কথা জানালেন তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বিসিবির ভিডিও বার্তায়। “সত্যি বলতে, এটা আমার জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল নিজেকে প্রমাণের। আমি খুশি যে দলে অবদান রাখতে পেরেছি এবং আমরা ভালো স্কোর গড়তে পেরেছি। দলের জন্য অবদান রাখা সবসময় আনন্দের। সেটা করতে পেরেছি বলে ভালো লাগছে।”“কাজটি সহজ ছিল না, কারণ দেড় বছরের মতো সময় লাল বলের ক্রিকেটের বাইরে ছিলাম। এই সফরেও শুরুতে স্কোয়াডে ছিলাম না, পরে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরপর থেকেই মনোযোগ ছিল যে যদি সুযোগ পাই, তাহলে যেন পারফর্ম করতে পারি এবং দলে অবদান রাখতে পারি।” সাফল্যের পেছনে টেকনিক্যাল রদবদলের খুব বেশি ভূমিকা নেই বলে জানালেন মাহমুদউল্লাহ। তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন মানসিকভাবে মানিয়ে নেওয়ায়। “টেকনিক্যাল অ্যাডজাস্টমেন্টের চেয়ে মানসিক অ্যাডজাস্টমেন্ট বেশি ছিল। লাল বল খেলছিলাম না, টেস্ট খেলিনি এর মধ্যে। মানসিকভাবে ওটা চিন্তা করেছি যে কিভাবে মানিয়ে নেওয়া যায়, বা বোলারগুলোকে নিয়ে চিন্তা করেছি যে কে কখন কতটা সুইংয়ের সাহায্যে বল করে। চেষ্টা করেছি ওই জিনিসগুলো বের করার ও পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার। আমার মনে হয়, সব মিলিয়ে মানসিক ব্যালান্স ভালো থাকার কারণে ব্যাটিং ভালো হয়েছে।”

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নিজেকে প্রমাণের চ্যালেঞ্জ জিতে খুশি মাহমুদউল্লাহ

আপডেট সময় : ০৯:১০:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ জুলাই ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক : পারিপার্শ্বিকতা ছিল প্রতিকূল। মাহমুদউল্লাহ চেয়েছেন জয় করতে। ম্যাচের পরিস্থিতি ছিল কঠিন। মাহমুদউল্লাহ চেয়েছেন নিজের প্রতিজ্ঞা পূরণ করতে। পেরেছেন তিনি সবকিছুই। দেড় বছর পর টেস্টে ফিরে সব চাওয়া পূরণ করতে পেরে অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার পাচ্ছেন দারুণ স্বস্তি। ১৫০ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে মাহমুদউল্লাহ রাঙিয়ে তোলেন ফেরার টেস্ট। হারারে টেস্টের প্রথম দিনে ১৩২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে যখন কাঁপছিল দল, তখন থেকে শুরু তার লড়াই। শুরুতে লিটন দাসের সঙ্গে গড়েন শতরানের জুটি। পরে তাসকিন আহমেদের সঙ্গে নবম উইকেটে গড়েন ১৯১ রানের অভাবনীয় জুটি। বিপর্যয় কাটিয়ে বাংলাদেশ পায় ৪৬৮ রানের পুঁজি। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে টেস্ট থেকে বাদ পড়ার পর সাদা পোশাকে তার ক্যারিয়ারের ইতি দেখে ফেলেছিলেন অনেক। বাংলাদেশের বাস্তবতায় এই বয়সে জায়গা হারালে ফেরা কঠিন। এবার জিম্বাবুয়ে সফরের আগে আরেকটি সুযোগ পেয়ে যান তিনি নাটকীয়ভাবে। প্রথম ঘোষিত দলে তিনি ছিলেন না। দল ঘোষণার তিন দিন পর তাকে যুক্ত করা হয় তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমের চোট শঙ্কা বিবেচনায় রেখে। তখন থেকেই তার ভাবনায় ছিল, একাদশে সুযোগ পেলে মেলে ধরবেন নিজেকে। সেটা করতে পেরে তিনি নিজের ভালো লাগার কথা জানালেন তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বিসিবির ভিডিও বার্তায়। “সত্যি বলতে, এটা আমার জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল নিজেকে প্রমাণের। আমি খুশি যে দলে অবদান রাখতে পেরেছি এবং আমরা ভালো স্কোর গড়তে পেরেছি। দলের জন্য অবদান রাখা সবসময় আনন্দের। সেটা করতে পেরেছি বলে ভালো লাগছে।”“কাজটি সহজ ছিল না, কারণ দেড় বছরের মতো সময় লাল বলের ক্রিকেটের বাইরে ছিলাম। এই সফরেও শুরুতে স্কোয়াডে ছিলাম না, পরে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরপর থেকেই মনোযোগ ছিল যে যদি সুযোগ পাই, তাহলে যেন পারফর্ম করতে পারি এবং দলে অবদান রাখতে পারি।” সাফল্যের পেছনে টেকনিক্যাল রদবদলের খুব বেশি ভূমিকা নেই বলে জানালেন মাহমুদউল্লাহ। তিনি গুরুত্ব দিয়েছেন মানসিকভাবে মানিয়ে নেওয়ায়। “টেকনিক্যাল অ্যাডজাস্টমেন্টের চেয়ে মানসিক অ্যাডজাস্টমেন্ট বেশি ছিল। লাল বল খেলছিলাম না, টেস্ট খেলিনি এর মধ্যে। মানসিকভাবে ওটা চিন্তা করেছি যে কিভাবে মানিয়ে নেওয়া যায়, বা বোলারগুলোকে নিয়ে চিন্তা করেছি যে কে কখন কতটা সুইংয়ের সাহায্যে বল করে। চেষ্টা করেছি ওই জিনিসগুলো বের করার ও পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার। আমার মনে হয়, সব মিলিয়ে মানসিক ব্যালান্স ভালো থাকার কারণে ব্যাটিং ভালো হয়েছে।”