রাজবাড়ী সংবাদদাতা : ঢাকায় বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিকা-ের পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন রাজবাড়ীর গৃহবধু এলিনা ইয়াসমিন (৪০) ও চন্দ্রিমা চৌধুরী ওরফে সৌমি (২৮)। তাদের দুজনের বাড়িতেই চলছে শোকের মাতম। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকায় যাওয়ার জন্য বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠেন এলিনা, রতœা, ইকবাল বাহার ও তাদের সন্তান এবং সৌমিসহ বেশকিছু যাত্রী। কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছানোর আগেই রাজধানীর গোপীবাগে ট্রনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। আগুনে ট্রেনটির চারটি বগি পুড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই দগ্ধ হয়ে মারা যান চারজন। এ ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ রয়েছেন রাজবাড়ী সদর উপজেলার লক্ষ্মীকোলের এলিনা ইয়াসমিন। বাবা সাঈদুর রহমান বাবুর কুলখানি শেষে ছয় মাসের শিশুসন্তান, বোন ডেইজি আক্তার রতœা, বোন জামাই ইকবাল বাহার ও তাদের দুই সন্তানসহ বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের ‘চ’ বগিতে করে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। অন্যদিকে রাজবাড়ী খানগঞ্জ বেলগাছি সরকার বাড়ির চন্দ্রিমা চৌধুরী ওরফে সৌমিও (২৮) নিখোঁজ রয়েছেন। তিনিও রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকায় তার ভাই-ভাবির বাসায় বেড়াতে যাচ্ছিলেন। নিখোঁজ এলিনার মামা দাদশী ইউপির সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বলেন, ২৭ ডিসেম্বর এলিনার বাবা মারা যান। তার বাবার ধর্মীয় সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে গতকাল সন্ধ্যায় রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকায় যাওয়ার জন্য বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠেন এলিনা, রতœা, ইকবাল বাহার ও তাদের সন্তান। কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছানোর আগেই ট্রেনে আগুন লাগে। এরপর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন এলিনা। বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘জীবিত হোক বা মৃত, আমরা এলিনার সন্ধান চাই।’