ঢাকা ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

‘নিখোঁজ’ কলেজছাত্রী সুকন্যা এখন ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে

  • আপডেট সময় : ১২:৪৫:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ অগাস্ট ২০২২
  • ৭৬ বার পড়া হয়েছে


নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘নিখোঁজ’ কলেজছাত্রী ইয়াশা মৃধা সুকন্যাকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁওয়ের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে। যদিও সুকন্যা ওই সময়ে আত্মগোপনে থাকার দাবি করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, যেহেতু এ ঘটনায় মামলা হয়েছে, তাকে আদালতে নেওয়া হবে।
গতকাল বুধবার সকালে ডিএমপির মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাকে উদ্ধার করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানো হয়। পুলিশের রমনা জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপকমিশনার মিশু বিশ্বাস বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ইয়াশা নিজে থেকেই ‘আত্মগোপনে’ ছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছে। বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তার। যেহেতু এই ঘটনায় তার মা একটি মামলা করেছেন, তাই তাকে আদালতে পাঠানো হবে। আদালত তার জবানবন্দি নিবে, আদালত যে সিদ্ধান্ত দিবে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নিজের মাকে দোষারোপ করে সুকন্যা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিয়ে করার জন্য জোর করা হচ্ছিল। রাতে আমি ভয়ে ঘুমাতে পারতাম না। নানা বাড়ি গেলে, তারাও আমাকে একই কথা বলতেন-বিয়েটা করে ফেলো। সাড়ে ৩ লাখ টাকা পাবি।’
এদিকে এ ঘটনায় সুকন্যার মায়ের করা মামলায় তার বন্ধু ইশতিয়াক চিশতিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এতেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন সুকন্যা। তিনি বলেন, আমার বন্ধু চিশতির কোনও দোষ নেই। তবে মেয়ের অভিযোগের বিষয়ে মা নাজমা ইসলাম বলেছেন, আমি কখনও আমার মেয়ের গায়ে হাত তুলিনি।
গত শনিবার সুকন্যার সন্ধানে মা নাজমা ইসলাম ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ জুন মায়ের সঙ্গে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে মডেল টেস্ট দিতে যান সুকন্যা। পরীক্ষা শেষে অন্য শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে এলেও মেয়ের কোনও খোঁজ পাচ্ছিলেন না মা নাজমা ইসলাম। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, সুকন্যা নামের ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষাই দেয়নি। নিজের কাছে থাকা মেয়ের মুঠোফোনে দেখেন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইশতিয়াক আহমেদ চিশতীর সঙ্গে দেখা করার পূর্বপরিকল্পনা ছিল সুকন্যার। এ তথ্যের সূত্র ধরে পরদিন ইশতিয়াককে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে গেন্ডারিয়ার বিভিন্ন এলাকায় সুকন্যাকে নিয়ে ঘোরাঘুরির কথা বললেও ২৩ জুন রাতে সুকন্যাকে বাসার উদ্দেশে রিকশায় তুলে দেওয়ার দাবি করেন ইশতিয়াক। সিসিটিভি ফুটেজে ২৩ জুন সন্ধ্যা ৭টা ৭ মিনিটে রাজধানী গেন্ডারিয়ায় সুকন্যাকে একই রিকশায় ইশতিয়াকের সঙ্গে দেখা যায়। প্রায় ঘণ্টাখানেক পর রাত ৮টা ৫ মিনিটে দুজনকে দেখা যায় আলাদা দুটি রিকশায়।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

‘নিখোঁজ’ কলেজছাত্রী সুকন্যা এখন ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে

আপডেট সময় : ১২:৪৫:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ অগাস্ট ২০২২


নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘নিখোঁজ’ কলেজছাত্রী ইয়াশা মৃধা সুকন্যাকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁওয়ের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে। যদিও সুকন্যা ওই সময়ে আত্মগোপনে থাকার দাবি করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, যেহেতু এ ঘটনায় মামলা হয়েছে, তাকে আদালতে নেওয়া হবে।
গতকাল বুধবার সকালে ডিএমপির মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাকে উদ্ধার করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানো হয়। পুলিশের রমনা জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপকমিশনার মিশু বিশ্বাস বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ইয়াশা নিজে থেকেই ‘আত্মগোপনে’ ছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছে। বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তার। যেহেতু এই ঘটনায় তার মা একটি মামলা করেছেন, তাই তাকে আদালতে পাঠানো হবে। আদালত তার জবানবন্দি নিবে, আদালত যে সিদ্ধান্ত দিবে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নিজের মাকে দোষারোপ করে সুকন্যা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিয়ে করার জন্য জোর করা হচ্ছিল। রাতে আমি ভয়ে ঘুমাতে পারতাম না। নানা বাড়ি গেলে, তারাও আমাকে একই কথা বলতেন-বিয়েটা করে ফেলো। সাড়ে ৩ লাখ টাকা পাবি।’
এদিকে এ ঘটনায় সুকন্যার মায়ের করা মামলায় তার বন্ধু ইশতিয়াক চিশতিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এতেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন সুকন্যা। তিনি বলেন, আমার বন্ধু চিশতির কোনও দোষ নেই। তবে মেয়ের অভিযোগের বিষয়ে মা নাজমা ইসলাম বলেছেন, আমি কখনও আমার মেয়ের গায়ে হাত তুলিনি।
গত শনিবার সুকন্যার সন্ধানে মা নাজমা ইসলাম ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে একটি সংবাদ সম্মেলন করেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ জুন মায়ের সঙ্গে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে মডেল টেস্ট দিতে যান সুকন্যা। পরীক্ষা শেষে অন্য শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে এলেও মেয়ের কোনও খোঁজ পাচ্ছিলেন না মা নাজমা ইসলাম। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, সুকন্যা নামের ওই শিক্ষার্থী পরীক্ষাই দেয়নি। নিজের কাছে থাকা মেয়ের মুঠোফোনে দেখেন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইশতিয়াক আহমেদ চিশতীর সঙ্গে দেখা করার পূর্বপরিকল্পনা ছিল সুকন্যার। এ তথ্যের সূত্র ধরে পরদিন ইশতিয়াককে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে গেন্ডারিয়ার বিভিন্ন এলাকায় সুকন্যাকে নিয়ে ঘোরাঘুরির কথা বললেও ২৩ জুন রাতে সুকন্যাকে বাসার উদ্দেশে রিকশায় তুলে দেওয়ার দাবি করেন ইশতিয়াক। সিসিটিভি ফুটেজে ২৩ জুন সন্ধ্যা ৭টা ৭ মিনিটে রাজধানী গেন্ডারিয়ায় সুকন্যাকে একই রিকশায় ইশতিয়াকের সঙ্গে দেখা যায়। প্রায় ঘণ্টাখানেক পর রাত ৮টা ৫ মিনিটে দুজনকে দেখা যায় আলাদা দুটি রিকশায়।