ঢাকা ১২:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

নিউমার্কেটে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

  • আপডেট সময় : ০৩:০৬:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ এপ্রিল ২০২৩
  • ৭১ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকা ক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। ঈদের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই বেচাকেনা জমে উঠেছে। পোশাক বিক্রেতারা বলছেন, বিগত বছরগুলোর লোকসান এবার কাটিয়ে উঠতে পারবেন তারা।
গতকাল বুধবার রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বিক্রেতারা ব্যস্ত সময় পার করছেন। ক্রেতারা তাদের পছন্দমতো পণ্য কিনছেন। রাজধানীর উত্তরা থেকে তিন সন্তান নিয়ে ঈদের পোশাক কিনতে আসা শানজিদা বেগম বলেন, আমি একটু তাড়াতাড়ি নিউমার্কেটে ঈদের শপিং করতে আসছি, যেনো স্বাচ্ছন্দ্যে পোশাক ক্রয় করতে পারি। কিন্তু এসে দেখি সেই যানজট, মানুষের ভিড়। মেয়েদের সাথে নিয়ে আসছি ওদের পছন্দমতো পোশাক নিচ্ছি। নিউমার্কেট আসার মূল কারণ হলো এখানে বাজেটের মধ্যে সেরা পণ্যটি পাওয়া যায়। তবে এবার বিগত বছরগুলোর তুলনায় দাম একটু বেশি।
কেরাণীগঞ্জ থেকে পরিবার নিয়ে শপিং করতে আসা আজাদ শরিফ বলেন, আমি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করি। আজ সময় পেয়েছি তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে আসলাম। আমাদের গ্রামের বাড়ি রংপুরে। রমজানে শেষের দিকে বাড়ি যাবো, তাই নিজ পরিবার ও স্বজনদের জন্য ঈদের শপিং করছি। দাম সম্পর্কে তিনি জানান, এবার জিনিসপত্রের দাম একটু বেশি। বিক্রেতারা বলছেন ডলার সংকটসহ নানা কারণে এবার দাম বাড়ছে। এছাড়াও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বেশি হওয়ায় একটু হিসেব করে কিনতে হচ্ছে। না কিনে তো উপায় নেই, বছরের একটি দিন, সবাই নতুন পোশাক পড়ার একটু আনন্দ কে না নিতে চায়।
নিউমার্কেটের রেড অ্যান্ড গ্রীন ফ্যাশন হাউজের স্বত্বাধিকারী মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আস্তে আস্তে ক্রেতা বাড়ছে। সামনে আরও বাড়বো বলে আশা করছি। তবে ১৫ রোজার পর সাধারণত ভিড় বেড়ে যায়, তখন বিক্রিও বেড়ে যাবে। গত কয়েকদিন ধরে ভালো বিক্রি হচ্ছে। দাম এবার একটু বেশি। তবে মানুষ কোয়ালিটি প্রোডাক্ট বেশি দাম হলেও নিচ্ছে। আশা করছি করোনায় আমাদের যে লোকসান গুনতে হয়েছে তা কিছুটা হলেও এবার কাটিয়ে উঠতে পারবো।
ইভেন শপের আরেক বিক্রেতা কাবির আহমেদ কাওসার বলেন, এবার ঈদের বাজার এখন থেকেই শুরু হয়েছে। আমরা কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য দিতে পারছি। বিশেষ করে আমাদের দোকানের পাঞ্জাবি বেশি বিক্রি হয়। রোজা আরও কিছু গেলে বিক্রি আরও বাড়বে। তবে এবার দাম কিছুটা বাড়তি হওয়ায় ক্রেতাদের বিভিন্ন মন্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। আমরা আবার তাদের বুঝিয়ে বলি। কারণ বিদ্যুৎ বিল, কর্মচারীর বেতন, দোকান ভাড়া সবমিলিয়ে আমাদের চিন্তা করতে হয়। তবে এবার আমরা আশা করছি, গত দুই বছরের যে ক্ষতি তা কিছুটা হলেও কমে আসবে।
ঢাকা নিউসুপার মার্কেট দক্ষিণের অ্যাডহক কমিটির সদস্য কামরুল হাসান সিদ্দিকী বলেন, আমরা ক্রেতাদের সুবিধার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। যেসব মায়েরা বাচ্চা নিয়ে আসেন তাদের জন্য কিডস জোন তৈরি করছি। আছে বেস্ট ফিডিং ব্যবস্থা। লোকাল থানা, র‌্যাব ও আমাদের নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক সর্তক আছে। কোন ক্রেতারা অভিযোগ করলে আমরা তৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। এছাড়াও দোকানের কর্মচারীদের দ্বারা আমাদের ক্রেতারা যেন কোন হেনস্থার শিকার না হয়, সেজন্য আমরা বারবার সতর্ক করছি।

ট্যাগস :

যোগাযোগ

সম্পাদক : ডা. মোঃ আহসানুল কবির, প্রকাশক : শেখ তানভীর আহমেদ কর্তৃক ন্যাশনাল প্রিন্টিং প্রেস, ১৬৭ ইনার সার্কুলার রোড, মতিঝিল থেকে মুদ্রিত ও ৫৬ এ এইচ টাওয়ার (৯ম তলা), রোড নং-২, সেক্টর নং-৩, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০ থেকে প্রকাশিত। ফোন-৪৮৯৫৬৯৩০, ৪৮৯৫৬৯৩১, ফ্যাক্স : ৮৮-০২-৭৯১৪৩০৮, ই-মেইল : [email protected]
আপলোডকারীর তথ্য

নিউমার্কেটে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

আপডেট সময় : ০৩:০৬:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকা ক্রেতাদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। ঈদের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই বেচাকেনা জমে উঠেছে। পোশাক বিক্রেতারা বলছেন, বিগত বছরগুলোর লোকসান এবার কাটিয়ে উঠতে পারবেন তারা।
গতকাল বুধবার রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বিক্রেতারা ব্যস্ত সময় পার করছেন। ক্রেতারা তাদের পছন্দমতো পণ্য কিনছেন। রাজধানীর উত্তরা থেকে তিন সন্তান নিয়ে ঈদের পোশাক কিনতে আসা শানজিদা বেগম বলেন, আমি একটু তাড়াতাড়ি নিউমার্কেটে ঈদের শপিং করতে আসছি, যেনো স্বাচ্ছন্দ্যে পোশাক ক্রয় করতে পারি। কিন্তু এসে দেখি সেই যানজট, মানুষের ভিড়। মেয়েদের সাথে নিয়ে আসছি ওদের পছন্দমতো পোশাক নিচ্ছি। নিউমার্কেট আসার মূল কারণ হলো এখানে বাজেটের মধ্যে সেরা পণ্যটি পাওয়া যায়। তবে এবার বিগত বছরগুলোর তুলনায় দাম একটু বেশি।
কেরাণীগঞ্জ থেকে পরিবার নিয়ে শপিং করতে আসা আজাদ শরিফ বলেন, আমি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করি। আজ সময় পেয়েছি তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে আসলাম। আমাদের গ্রামের বাড়ি রংপুরে। রমজানে শেষের দিকে বাড়ি যাবো, তাই নিজ পরিবার ও স্বজনদের জন্য ঈদের শপিং করছি। দাম সম্পর্কে তিনি জানান, এবার জিনিসপত্রের দাম একটু বেশি। বিক্রেতারা বলছেন ডলার সংকটসহ নানা কারণে এবার দাম বাড়ছে। এছাড়াও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বেশি হওয়ায় একটু হিসেব করে কিনতে হচ্ছে। না কিনে তো উপায় নেই, বছরের একটি দিন, সবাই নতুন পোশাক পড়ার একটু আনন্দ কে না নিতে চায়।
নিউমার্কেটের রেড অ্যান্ড গ্রীন ফ্যাশন হাউজের স্বত্বাধিকারী মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আস্তে আস্তে ক্রেতা বাড়ছে। সামনে আরও বাড়বো বলে আশা করছি। তবে ১৫ রোজার পর সাধারণত ভিড় বেড়ে যায়, তখন বিক্রিও বেড়ে যাবে। গত কয়েকদিন ধরে ভালো বিক্রি হচ্ছে। দাম এবার একটু বেশি। তবে মানুষ কোয়ালিটি প্রোডাক্ট বেশি দাম হলেও নিচ্ছে। আশা করছি করোনায় আমাদের যে লোকসান গুনতে হয়েছে তা কিছুটা হলেও এবার কাটিয়ে উঠতে পারবো।
ইভেন শপের আরেক বিক্রেতা কাবির আহমেদ কাওসার বলেন, এবার ঈদের বাজার এখন থেকেই শুরু হয়েছে। আমরা কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য দিতে পারছি। বিশেষ করে আমাদের দোকানের পাঞ্জাবি বেশি বিক্রি হয়। রোজা আরও কিছু গেলে বিক্রি আরও বাড়বে। তবে এবার দাম কিছুটা বাড়তি হওয়ায় ক্রেতাদের বিভিন্ন মন্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। আমরা আবার তাদের বুঝিয়ে বলি। কারণ বিদ্যুৎ বিল, কর্মচারীর বেতন, দোকান ভাড়া সবমিলিয়ে আমাদের চিন্তা করতে হয়। তবে এবার আমরা আশা করছি, গত দুই বছরের যে ক্ষতি তা কিছুটা হলেও কমে আসবে।
ঢাকা নিউসুপার মার্কেট দক্ষিণের অ্যাডহক কমিটির সদস্য কামরুল হাসান সিদ্দিকী বলেন, আমরা ক্রেতাদের সুবিধার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। যেসব মায়েরা বাচ্চা নিয়ে আসেন তাদের জন্য কিডস জোন তৈরি করছি। আছে বেস্ট ফিডিং ব্যবস্থা। লোকাল থানা, র‌্যাব ও আমাদের নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক সর্তক আছে। কোন ক্রেতারা অভিযোগ করলে আমরা তৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। এছাড়াও দোকানের কর্মচারীদের দ্বারা আমাদের ক্রেতারা যেন কোন হেনস্থার শিকার না হয়, সেজন্য আমরা বারবার সতর্ক করছি।